তিনি বলেন, ‘যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তবে দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আমি দেখতে পাচ্ছি। আর তা না করে যদি নির্বাচনকে আঘাত দেয়া হয় ভয়াবহ পরিণতি হবে। এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।’
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন মিলনায়তনে ৭০তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস-২০১৮ ও বিজয়ের ৪৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘মানবাধিকার, সুশাসন ও ভোটাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মানবাধিকার ফেডারেশন।
ভোটাধিকার নিয়ে মানুষের শঙ্কা দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে ড. কামাল বলেন, ‘ভোটাররা স্বাধীনভাবে ভোট দেবে, এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। স্বাধীন দেশে মানুষ যদি স্বাধীনভাবে ভোট দিতে ব্যর্থ হয় তবে এটি স্বাধীনতার ওপর আঘাত। এই আঘাত দেয়া উচিৎ না। কেননা, এই আঘাত দেশদ্রোহীতার শামিল।’
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি আহ্বান ও অনুরোধ জানিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের আর যে ১০দিন আছে এই সময়ে দেশের মানুষ ও স্বাধীনতার জন্য ক্ষমতার পুরোপুরি ব্যবহার করুন, নিজেদের ক্ষমতাকে কাজে লাগান। সরকার যদি পরিপন্থী কিছু করে তবে তা থেকে বিরত রাখার, আদেশ দেয়ার ক্ষমতা আপনাদের (ইসি) আছে। পুলিশ যেভাবে ভয়ভীতির সৃষ্টি করছে এটা থেকে মানুষকে রক্ষা করা অপরিহার্য বলে আমরা মনে করি। অবিলম্বে পুলিশকে তাদের পরিপন্থী কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলুন।’
সরকারের উদ্দেশে ড. কামাল বলেন, ‘লাখ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন সংবিধান পেয়েছি। এটি ভুলে গেলে চলবে না। তথাকথিত নির্বাচনে যদি আপনারা ৩০০ সিট চান তাহলে বলেন, আমরা দিয়ে দেই। আপনারা ইতিমধ্যে বলেছেন অসম্পন্ন কাজ করতে আরও ৫ বছর থাকতে চান। ওই ৫ বছর পর অসম্পন্ন কাজ থাকলে বলেন প্রয়োজনে আরও ৫ বছর সময় আপনাদের দেয়া হবে। আসলে এটি নির্বাচনের নামে প্রহসন।’
ফেডারেশনের সভাপতি ড. মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার ইকতেদার আহমেদ প্রমুখ।
এর আগে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি ড. গোলাম রহমান ভূঁইয়া।