রবিবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুয়োগ নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আমি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি।’
‘আমরা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি-সেনাবাহিনী নিয়োগের ফলে নির্বাচনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টি হবে; যা এতদিন মোটেও বিদ্যমান ছিল না,’ যোগ করেন তিনি।
ফখরুল বলন, ‘আমরা আশা করি-আমাদের দেশের গর্বিত সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য জনগণের স্বার্থের পক্ষে কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন এবং কোনোভাবেই একজন ব্যক্তি বা একটি গোষ্ঠির পক্ষে কাজ করবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময়ই দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত; কোনো ব্যক্তির স্বার্থ রক্ষার কারণে তাদের সুনাম ক্ষুণ্ন হতে পারে না।’
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১০ দিনের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েনে গত ১৩ ডিসেম্বর সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি ভোটের দিন সাত লাখেরও বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন।
এর আগে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে এক হাজার ১৬ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।