নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থীর জামায়াত সংশ্লিষ্ঠতার অভিযোগ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রূনি মিলনায়তনে মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির নেতারা। তবে মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম এতে নিজে উপস্থিত ছিলেন না।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নবানে জর্জরিত হয়ে অনেক বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন জেলা বিএনপির নেতারা।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যায় একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা হয়েছে। তিনি একজন সজ্জন ব্যাবসায়ী ও জাতীয়তাবাদী আদর্শের নেতা হওয়ায় বিগত দিনে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে এবং কারাবরণ করেছেন। তার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ সময়ে সাংবাদিকরা মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামের বিগত দিনে জামায়াতের ইসলামী রাজনীতির সম্পৃক্ততা এবং তার পদ পদবী নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। জবাবে জেলার নেতারা বলেন, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম একসময়ে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি করতেন। পরে তিনি বিগত ২০ বছর ধরে বিএনপি করছেন। তবে এ সংক্রান্ত কোন সুনির্দিষ্ট ডকুমেন্টস তুলে ধরতে পারেননি তারা।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, এই আসনে একসময়ে ডাকসাইটে নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ নির্বাচন করতেন। সেই মুক্তিযোদ্ধার আসনে কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে জেলার নেতারা বলেন, কেন্দ্র থেকে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে মনোনয়ন দিয়েছে।
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামের ছোট মেয়ে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিষ্টার নাসরীন সুলতানা মিলি ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচন করছেন। আবার ফখরুলের তিন ভাই জামায়াতের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত, আরেক মেয়ে জামায়াত নেতার সঙ্গে বিবাহ দেওয়ার ঘটনার বিষয়ে প্রশ্ন করলে জেলার নেতারা বলেন, তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানেন না। তবে একই পরিবারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দর্শন থাকতেই পারে।
আওয়ামী লীগ আমলে সুবিধাভোগি ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের সাথে সখ্যতা ও ব্যবসায়ী অংশীদার বিষয়ে প্রশ্ন করলে জেলার নেতারা তা অস্বীকার করেন।
২০০৯ সালে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন করার বিষয়ে প্রশ্ন করলে জেলার নেতারা তা অস্বীকার করেন। তবে সেখানে উপস্থিত একজন নেতা বলেন, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম জামায়াতের প্রার্থী হিসেবেই ওই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
তুরস্কে আবাসন খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে অভিযোগও অস্বীকার করেন বিএনপি নেতারা।
আওয়ামী লীগ আমলে নির্যাতিত হলে ২০২২ সালে পদ্মা লাইফ ইন্সুরেন্সের চেয়ারম্যান কিভাবে নিযুক্ত হলেন এবং অর্থ লোপাটের অভিযোগ কিভাবে আসলো এমন অভিযোগেরও কোন সদুত্তর দিতে পারেনি নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।