অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আয়োজিত এ বৈঠকে নির্বাচন, দুর্নীতি, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে করণীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
শফিকুল আলম বলেন, বর্ধিত সময়সীমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ছয়টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে পাঁচটি আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশা করছে সরকার।
আরও পড়ুন: দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
এই ছয়টি কমিশন হলো— ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন, টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন, আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
এ সময় জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণে যা বলেছেন, তা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
এর আগে, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে ব্রিটিশ সংসদ সদস্য রূপা হককে আশ্বস্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য দুটি সময়সীমা রয়েছে; ২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি। জনগণ কতটুকু সংস্কার চায় তার ওপর নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে।