বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম সত্তা। আরপিওর ৯১ (ই) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যে কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। সংবিধান তাদের এ ক্ষমতা ও স্বাধীনতা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কেউ তার নিজের স্বাধীনতা খর্ব করে? কিন্তু নির্বাচন কমিশন সরকারের কাছে স্বেচ্ছায় নিজেদের স্বাধীনতা সমর্পণ করেছে। তারা নিজেরাই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।’
বিএনপি নেতা শাহীন শওকতের স্ত্রী ছাত্রদল মুন্নিজান হল শাখার সাবেক সভানেত্রী দিলরুবা শওকতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি গণপ্রতিনিধিত্ব আইন-২০২০ এর খসড়া তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার কমিশনের বৈঠকে ৩৪টি সুপারিশ সম্বলিত খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়েছে।
রিজভী বলেন, ইসি তার ক্ষমতা কমাতে এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে একটি পৃথক আইন করার জন্য একটি রেজুলেশন নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সরকার একটি আইন প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নিজের হাতে রাখতে চলেছে। এই আইনটি শেখ হাসিনাকে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ধরে রাখতে সহায়তা করবে। কেউ যদি সরকারের কথা না শুনে তাকে বাদ দেয়া হবে। বিএনপি ও অন্যান্য দল যদি উত্থাপন করে, তবে তাদের নিবন্ধনের কথা স্বরূপ আইনটি শেখ হাসিনার হাতে থাকায় বাতিল করা হবে। আর এই ক্ষমতা তুলে দিচ্ছেন সরকারের কাছে স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশন ও তার কতিপয় নির্বাচন কমিশনাররা। কেবলমাত্র একজন এখানে নো-অব ডিসেন্ট দিয়েছেন।’
বিএনপি নেতা বলেন, অন্যান্য দলের রাজনীতি করার অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে একদলীয় বাকশাল শাসনকে নতুন রীতিতে পুনরুদ্ধার করার জন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ‘‘এর অর্থ শেখ হাসিনা অখণ্ড ‘প্রভু’ এবং কেউ যদি তার বক্তব্য বা তিনি যা বলেন তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তবে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। এটি বাকশালের নতুন সংস্করণ।’’
তিনি বলেন, ‘সরকার আইন করে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের ক্ষমতা নেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে।’