ফরিদপুরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলার পর উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়েরের পাঁয়তারার অভিযোগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম ও সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তারা এ অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে নেতারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বুধবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারের জুলুম, নির্যাতন এবং ভুয়া ও গায়েবি মামলার প্রতিবাদে সারা দেশে আহুত প্রতিবাদ সভার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম।
বিবৃতিতে ঘটনার বিবরণে বলা হয়, প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি মঞ্চে ওঠার আগে আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা নিজেরা মাথায় পুলিশের মতো হেলমেট পরে বেপরোয়াভাবে ইট, পাটকেল, লাঠিসোঁটা ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সভায় অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
এ সময় তারা স্টেজের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে সভা বানচাল করে দেয় এবং সভার ব্যানার পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়। এ সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বন্দুকের গুলি ছোড়ে, ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং সভায় উপস্থিত নেতা কর্মীদের ওপর বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল ও পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে।
এতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ. এফ. এম. কাইয়ুম জঙ্গী ও মহানগর মহিলা দলের সভাপতির স্বামী ও বিএনপিকর্মী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এছাড়া এই আওয়ামী লীগের আক্রমণে ফরিদপুর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হন।
এ সময় পুলিশ বিএনপির প্রায় ১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে এবং ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেয়ার পরিকল্পনা করে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়ার পাঁয়তারা করছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
পরে সন্ধ্যায় আহতদের সমবেদনা জানাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান ও ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম, বিএনপির মহানগর আহ্বায়ক ও মহানগর মহিলা দলের সভাপতির বাড়িতে উপস্থিত হন।
নেতারা এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র প্রতিবাদ এবং গ্রেপ্তারদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।