মুজিব শতবর্ষ পালন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কর্মীদের নিকট হতে সংগ্রহ করা অনুদানের টাকায় এসব পণ্য কিনে তাদের মাঝে কমমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।
শহরের ২৭টি ওয়ার্ডে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বাজার মূল্যের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমমূল্যে মানুষের কাছে বিক্রি করছে যুবলীগের কর্মীরা। প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি ট্রাকে করে মানুষের ঘরের সামনে গিয়ে মানুষের কাছে নিয়ে যাচ্ছে এসব পণ্য। সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে শুধু মাস্ক পরিহিতদের কাছেই এসব পণ্য নির্দিষ্ট পরিমাণে বিক্রি করছেন তারা।
এসব ট্রাক থেকে প্রতি কেজি চিকন চাল ৩৮ টাকা দরে, প্রতি কেজি ডাল ৭০ টাকায়, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৯৮ টাকা, আলু ১৯ টাকা, পেঁয়াজ ৩২ টাকা, লবন ১৫ টাকা, ডিম প্রতি হালি ২৪ টাকা এবং আটা বিক্রি করা হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে।
শহরের মাস্টার কলোনির হায়দার আলী নামে একজন ক্রেতা জানালেন, যুবলীগের ব্যানার লাগানো ট্রাকে করে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাস্তার মোড়ে মোড়ে মাইকিং করে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। বাজার দরের চেয়ে অনেক কম দামে এখানে নিত্য পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
বিভিন্ন মহল্লায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তুলনামূলক কমমূল্যে এসব পণ্য কিনতে পেরে সাধারণ মানুয়ের স্বস্তি দেখা যাচ্ছে। সমাজের মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত যারা মানুষের দ্বারে গিয়ে চাইতে পারে না, আবার বেশি দামের কারণেও অনেক সুবিধার মধ্যে রয়েছে তাদের দুর্ভোগ অনেকটাই কমেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য চাল, ডাল, তেল, আটার জন্য বাজার না গিয়ে এখান থেকে কেনার ব্যবস্থা করে দেয়ায় যুবলীগের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।
ভ্রাম্যমাণ বাজারের এ কাজে নিয়োজিত যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম নাছিম জানান, আমরা চেষ্টা করছি যারা সরকারি ত্রাণ বা খাদ্য সহায়তা হাত পেতে নিতে পারে না তাদের দোরগোড়ায় গিয়ে স্বল্প মূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দিতে।
ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এইচএম ফোয়াদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা চাঁদা দিয়ে একটি তহবিল করেছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনুষ্ঠান না হওয়ায় সেই টাকা দিয়েই আমরা মানুষের দোড়গোড়ায় এসব পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। কোনো ব্যবসা নয়, সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের সুবিধার্থেই আমাদের এ প্রচেষ্টা।’