প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার বিভিন্ন দেশে বিএনপি নেতাদের পাচার করা অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির অনেক নেতার টাকা (বিদেশি ব্যাংকে) জমে আছে। আমরা ধীরে ধীরে এগুলো ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’
বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার পরিবারের ‘দুর্নীতির’ সমালোচনা করে তিনি বলেন, সড়ক খাতে দুর্নীতির কারণে বিশ্বব্যাংক বিএনপির শাসনামলে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর সাতরাস্তা মোড়ে আ.লীগের শান্তি মিছিলের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার আগেই বিদেশিরা এবং একজন এফবিআই এজেন্ট তারেকের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলায় সাক্ষ্য দেন।
তিনি বলেন, তাদের (তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো) বিদেশে পাচারের পরিমাণ থেকে সরকার ৪০ কোটি টাকা ফেরত দিতে পেরেছে। ‘কিন্তু সমস্যা হলো তারা টাকা যে দেশে জমা করেছে সেখান থেকে টাকা ফেরত আনা একটি কঠিন বিষয়। দেশগুলো টাকা ছাড়তে চায় না।’
তার সরকারের সাফল্যের প্রতি আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের আমলে ২০০৯ সাল থেকে প্রতিটি খাতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়েছে।
তিনি বলেন,‘আমরা অন্তত দাবি করতে পারি গত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশ অনেক বদলে গেছে। আপনি অবশ্যই এটি উপলব্ধি করতে পারেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সফলভাবে দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১ শতাংশ থেকে এখন ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ দশমিক এক শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।
আরও পড়ুন: বিদেশিরা আসে-যায় বিএনপির আশা পূরণ হয় না: কাদের
তিনি বলেন, সরকার ফসল, মাছ, মাংস ও শাকসবজিসহ খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি ৬ লাখ ভূমিহীন পরিবারকে বিনামূল্যে আধা-পাকা ঘর করে দিয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সাড়ে ১৪ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ধান ও অন্যান্য ফসলের কোনো অভাব নেই।
সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বেকারত্বের হার মাত্র ৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, বেকারত্বের হার আরও কমিয়ে আনতে তরুণদের বিভিন্ন উদ্দীপনা প্যাকেজ ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরির পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে সরকার।
তিনি বলেন, আমরা শুধু বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নই নয়, এর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্যও ব্যাপক কাজ করেছি এবং বাস্তবায়ন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত।
আরও পড়ুন: দেশের অফশোর উইন্ড এনার্জিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব ডেনমার্কের