বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ‘পুলিশ তাদের দলকে বিজয় দিবসের সমাবেশের অনুমতি দিতে গড়িমসি করছে।’
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর)ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে বক্তৃতাকালে তিনি আরও অভিযোগ করেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিএনপিকে পুলিশ বাধা সৃষ্টি করেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (পুলিশ) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপিকে বিজয় সমাবেশের অনুমতি দিতে কৌশল অবলম্বন করে ১৯৭০ সালের হানাদার বাহিনীর মতো ভূমিকা পালন করছে।’
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপনে রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল বেইলি রোডে ডিএমপি কার্যালয়ে গিয়ে চিঠি জমা দেন।
রিজভী আরও অভিযোগ করেন, পুলিশ বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমাদের নেতারা নয়াপল্টনে যেতে পারবেন না।
তিনি দাবি করেন, বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারর্সনের কার্যালয়ে কোনো অনুমতি ছাড়াই পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রতিটি কক্ষে তল্লাশি চালায়।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কার্যালয়ে রাখা পুষ্পস্তবক ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে গেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেউ অফিসে এলে গ্রেপ্তারের হুমকিও দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু তারা (সরকার) বলছে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী।
রিজভী বলেন, গুলশান থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বিএনপি চেয়ারপার্সনেরর কার্যালয়ে প্রবেশ করে পুষ্পস্তবকটি বের করে প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলে। ‘আমরা কোন দেশে বাস করছি? আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী সম্রাজ্ঞী হিসেবে আছেন এবং তারা যাকে খুশি গ্রেপ্তার করতে পারে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে জেলে রাখতে পারে।’
তিনি বলেন, সরকার তার পুতুল রাষ্ট্রযন্ত্রের মদদে নিজস্ব ও ডামি প্রার্থী দিয়ে উদ্ভট নির্বাচন করতে যাচ্ছে।
তিনি দেশের ভোটারদের একতরফা নির্বাচন বর্জন এবং তা প্রতিহত করার আহ্বান জানান।