তিনি বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রতি ভারত সফর ও সেখানে সম্পাদিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পর্কে কিছু বিরূপ আলোচনা চোখে পড়েছে। এই বিষয়ে যৌথ বিবৃতি ও উল্লেখিত চুক্তি সমূহের তালিকা দেখেছি। সেখানে দেশের স্বার্থবিরোধী কিছু চোখে পড়েনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেশপ্রেমের প্রতি আমরা আস্থাশীল।’
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে পার্টির সাংগঠনিক টিমের যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আবরার হত্যাকাণ্ডে আমরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় ও দোষী ব্যক্তিরা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায় আমরা সেটাই চাই। আমরা প্রত্যাশা করি এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।’
শুদ্ধি অভিযান চালানোয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, ‘দেশে এখন দুর্নীতি বিরোধী শুদ্ধি অভিযান চলছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সাহসী পদক্ষেপকে অভিনন্দন জানাই। তিনি নিজ দলের মানুষকেও ছাড় দেন নাই। আমরা আশা করি এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বর্ণিত অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করবে।’
দেশে রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। সামাজিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও অস্থিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিত্রে আমরা সুশৃঙ্খলভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। যাতে করে শক্তিশালী সংগঠনের মাধ্যমে জন প্রত্যাশিত রাজনীতি দিয়ে আমরা অধিকতর জনসমর্থন ও আস্থা লাভ করতে পারি, বলেন তিনি।
এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের বাকি আরও চার বছর। এর মধ্যেই আগামী নির্বাচনের জন্য আমাদের সংসদীয় আসনগুলোতে লক্ষ্য রেখে পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।
‘জনপ্রিয় প্রার্থী নির্বাচন করে এখন থেকেই আমরা সভা-সমাবেশ করে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শ ও কর্মসূচিগুলো সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরব। সম্মিলিতভাবে ওই আসনগুলোতে জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ-সংগঠনগুলো আরও শক্তিশালী করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক টিমের যৌথসভায় আরও বক্তব্য দেন- চট্টগ্রাম বিভাগের আহ্বায়ক কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব মো. আবুল কাশেম, ঢাকা বিভাগের আহ্বায়ক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, বরিশাল বিভাগের আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, রাজশাহী বিভাগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।