সেই সাথে তিনি তার সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, চক্রান্তকারীরা বাংলাদেশের মানুষের ঐক্য বিনষ্ট করে ভিনদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে সামাজিক ও ধর্মীয় অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চায়।
মঙ্গলবার দুপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
চরমোনাই পীর বলেন, একটি সুবিধাভোগী মহল সাধারণ মুসলিম জনতার উত্থাপিত মতামতকে কেন্দ্র করে দেশে লম্ফ-ঝম্ফ, হুমকি-ধমকি দিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির অপচেষ্টা করছে। তাদের পেছনে বাংলাদেশের অর্জন, উন্নয়ন, সামাজিক সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা বিনাশে কর্মরত কিছু দেশি-বিদেশি চক্রেরও ইন্ধন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্পের ঢাকা কেন্দ্রের প্রবেশদ্বারে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে স্থাপিত হতে যাওয়া ভাস্কর্য নিয়ে একটি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ওইখানে ৫-৭টি মসজিদ মাদরাসার মিলন মোহনায়, দুটি মসজিদের অবকাঠামো ভেঙে এ পয়েন্টে ভাস্কর্য স্থাপনের ফলে স্থানীয় ইমাম মুসল্লি ও তৌহিদি জনতা সেখানে ভাস্কর্যের বদলে বিকল্প কোনো উত্তম পন্থায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণীয় করে রাখার দাবি জানিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘উলামায়ে কেরামের দাবির মধ্যে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি কোনো বিদ্বেষ ছিল না, অসম্মানও ছিল না। বরং বিষয়টি ছিল দেশের প্রায় ৯২ ভাগ জনগণের বোধ বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক মূর্তি স্থাপন না করে অন্য কোনো পন্থায় তাকে স্মরণ করার দাবি।’
ভাস্কর্য ও মূর্তি ইস্যুতে চরম উসকানির মুখেও দেশের শান্তি ও স্থিতিশিলতা বজায় রাখার স্বার্থে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সীমাহীন ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে উল্লেখ করে চরমোনাই পীর বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি ভুঁইফোড় সংগঠন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের নামে একটি জঘন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যু মনে করিনি। যে কারণে ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি পর্যাবেক্ষণ করেছি মাত্র। উগ্রবাদী শক্তি ও তাদের উশৃঙ্খল সহযোগীরা আমাদের নীরবতাকে দুর্বলতা ভেবেছে। আমি সরকারকে এসব অন্যায় সীমা লঙ্ঘনকারীদের নিবৃত করার আহ্বান জানাই।’