অপশক্তি
নির্বাচন এলেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ফণা তোলার অপচেষ্টা চালায়: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'আপামর বাঙালি সাম্প্রদায়িক নয়। সবাই মিলে-মিশে একাকার। সেই কারণে এ দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাঝেমধ্যে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করলেও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই অপশক্তি অবদমিত হয়েছে।'
কিন্তু সেই অপশক্তি নির্মূল হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'দেখা যায়, যখন নির্বাচন আসে, তখন এই অপশক্তি আবার ফণা তোলার অপচেষ্টা চালায়। তাই এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।'
শনিবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে রাজধানীর বনানী মাঠে স্থাপিত পূজামণ্ডপে গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন আয়োজিত মহালয়া ১৪৩০ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব সব কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি, তারপর ধর্মের পরিচয়। কিন্তু এই চেতনার বেদিমূলে আঘাতের ফলে পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব সম্প্রদায়ের মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। লাল সূর্যখচিত সবুজ পতাকা ছিনিয়ে এনেছি।'
আরও পড়ৃুন: যুদ্ধের নামে ফিলিস্তিনিদের জিম্মি করা কখনো সমীচীন নয়: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ১৯৭৫ সালের পর সেই সাম্প্রদায়িক ভাবধারা ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। আজকেও সেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আমাদের দেশে আছে। এবং তারা সময়ে সময়ে তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়।'
নির্বাচনকে সামনে রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা গত ১৫ বছরের পথচলায় চেষ্টা করেছি, ১৯৭৫ সালের পরে বাংলাদেশের যে মূল চেতনা হারিয়ে গিয়েছিল, তা ফিরিয়ে আনার। একটি রাষ্ট্রের কখনো 'শত্রু সম্পত্তি আইন' বলে কিছু থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। সেটি বিলুপ্ত করে ভিন্ন আইন করা হয়েছে। এভাবে অনেক কাজ করা হয়েছে।'
হাছান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার বলেন- ধর্ম যার যার উৎসব সবার, ধর্ম যার যার রাষ্ট্রও সবার। আর সেটির প্রতিফলন আমরা দেখি দুর্গাপূজা, ঈদ, প্রবারণা পূর্ণিমাসহ সব ধর্মীয় পার্বণে, যেখানে সব ধর্মের মানুষ উৎসবমুখর হয়ে শামিল হয়।'
মানুষের সামর্থ্য ও সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বিধানের কারণে প্রতি বছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'আশা করি এই শুভ মহালয়ায় দেবী দুর্গার যে আগমনী বার্তা ধ্বনিত হচ্ছে, তা সব ধর্মের যে মর্মবাণী, মানুষে-মানুষে শান্তি-সম্প্রীতি, তা আরও দৃঢ় করবে।'
শিল্পী মনোজ সেনগুপ্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গুলশান-বনানী পূজা উদযাপন ফাউন্ডেশনের সভাপতি পান্না লাল দত্ত, সাধারণ সম্পাদক
প্রাণকৃষ্ণ ঘোষ, সন্তোষ শর্মা প্রমুখ। শেষে ফাউন্ডশনের শিল্পীরা মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
আরও পড়ৃুন: বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে, বেগম জিয়াও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন: তথ্যমন্ত্রীর আশা প্রকাশ
১ বছর আগে
স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যাতে মাথা তুলতে না পারে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সবাইকে সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে; যাতে করে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি গোলাম আজম-নিজামী-মুজাহিদীদের প্রেতাত্মারা আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য অতীতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা চালিয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী পদক্ষেপ এবং সব ধর্ম-বর্ণ ও শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতায় তা কঠোরভাবে দমন করা সম্ভব হয়েছে।
শনিবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত ‘বৌদ্ধ পারিবারিক আইন প্রণয়ন: আমাদের প্রত্যাশা’- শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী অসাম্প্রায়িক সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আজীবন নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল দেশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও সমাদৃত।
আইনমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে আবহমান কাল থেকে সব সম্প্রদায় ও ধর্মের জনগণ স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চা ও ধর্ম পালন করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বসবাসরত সব ধর্মের জনগণের প্রতি সমান সহানুভূতিশীল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় গৌতম বুদ্ধের জন্মভূমি নেপালের লুম্বিনী কনজারভেশন এলাকায় প্রায় ২ একর জমির উপর বাংলাদেশ প্যাগোডা ও বুড্ডিস্ট কালচারাল কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ বিশ্বে অসাম্প্রদায়িকতার নির্দশন হিসেবে ইতিহাসে চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আনা সংশোধনে সাংবাদিকরা খুশি হবেন: আইনমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কার্যাবলীকে আরও বিস্তৃত করে এর কার্যক্রমকে গতিশীল ও ব্যাপকভাবে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে ট্রাস্টের অধ্যাদেশকে ২০১৮ সালে আইনে পরিণত করা হয়েছে। এতে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের সংখ্যা ৮ থেকে ১২ জনে উন্নীত করা হয়েছে। একই সঙ্গে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইনও পাস করা হয়েছে। এটাও শেখ হাসিনার সরকারের অসাম্প্রদায়িক আদর্শের অনন্য উদাহরণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নের বাস্তবায়ন।
আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের মানুষের জন্য মুসলিম পারিবারিক আইন, হিন্দু ধর্মের মানুষের জন্য হিন্দু পারিবারিক আইন এবং খ্রিস্টান ধর্মের মানুষের জন্য খ্রিম্টান ধর্মীয় আইন প্রচলিত আছে। কিন্তু বাংলাদেশের সমতলীয় বৌদ্ধধর্মের মানুষের জন্য কোনো পারিবারিক আইন নেই, এটা চিন্তার বিষয়। বৌদ্ধ পারিবারিক আইন প্রণয়নে তিনি সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।
বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, শিক্ষাবিদ ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, ড. নীরু বড়ুয়া, ট্রাস্টি ববিতা বড়ুয়া প্রমুখ বক্তৃতা দেন।
আরও পড়ুন: লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা গভীর মনস্তাত্ত্বিক ক্ষত সৃষ্টি করে: আইনমন্ত্রী
সংবিধান না মানলে দেশের নাগরিক বলা ঠিক না: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
সম্পর্ককে আরও গভীর করতে অপশক্তিকে পরাজিত করবে ঢাকা-নয়াদিল্লি: শাহরিয়ার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের দীর্ঘ সীমান্তের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। যদিও লালমনিরহাটের মতো কিছু পয়েন্টে সমস্যা রয়ে গেছে।
বুধবার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি এটি শূন্যের স্তরে নেমে আসবে (সকল পয়েন্টে)।’
আরও পড়ুন: মানবাধিকার ইস্যু’র রাজনৈতিক ব্যবহার হিতে বিপরীত হতে পারে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
শাহরিয়ার বলেন, উভয় পক্ষের সদিচ্ছার অভাব নেই এবং বাংলাদেশ গতকাল (মঙ্গলবার) কূটনৈতিক মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সীমান্ত সমস্যা তুলে ধরেছে।
তিনি বলেন, দুই দেশের অনেক অর্জন রয়েছে।
শাহরিয়ার বলেন, সেখানে কিছু বিঘ্নকারী শক্তি রয়েছে। তবে সম্পর্ক আরও গভীর করতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মিডিয়ার ভূমিকা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।
এর আগে বাংলাদেশের নেতারা শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিত করতে কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেন।
উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে যে সীমান্তে যে কোনও মৃত্যু উদ্বেগের বিষয় এবং সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে জনমুখী পদক্ষেপ বাড়ানো এবং বেসামরিক নাগরিকদের এই ধরনের মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে।
সুরজবার্তা মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন আয়োজিত সেমিনারে পানি বণ্টন, সীমান্ত হত্যা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং সম্পর্ক জোরদারে মিডিয়ার ভূমিকাসহ দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে আমরা আরও ভালোভাবে প্রস্তুত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
সীমান্ত হত্যা কারোই কাম্য নয়: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিজয় দিবসে আ.লীগের প্রত্যয়: ২০৪১ সাল নাগাদ পরিপূর্ণ উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপিসহ দেশবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী সমস্ত অপশক্তি ও ষড়যন্ত্রকে দমন-নির্মূল করে ২০৪১ সাল নাগাদ একটি পরিপূর্ণ উন্নত দেশ গড়া এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা রূপায়িত ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করাই আমাদের স্বপ্ন এবং বিজয় দিবসের প্রত্যয়।'
বিজয় দিবসে শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকারের পতন ঘটাতে এসে বিএনপি নিজেদের পতন ঘটিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, 'স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যারা আমাদের পূর্বসুরী মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল, মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিল, সেই জামায়াতে ইসলামী, তাদের বংশধরেরা, বিএনপির যে সমস্ত নেতা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল তারা এবং বিএনপি দলগতভাবে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।'
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে বিশ্বব্যাংক থেকে শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘের মহাসচিব থেকে শুরু করে সবাই প্রশংসা করছে। কিন্তু দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরেও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র আঁটছে। তারা বিদেশিদের কাছে দেশ সম্পর্কে নানা ভুল তথ্য উপাত্ত দিচ্ছে এবং দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।'
সম্প্রচারমন্ত্রী এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে, দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এবং বহু আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের পূর্বসূরী মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল।
হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন এঁকে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে হত্যা করার কারণে তিনি সেইসব স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণের পথে বাংলাদেশ ১৪ বছরে অভাবনীয় উন্নতি সাধন করেছে।
এছাড়া আমরা মধ্যম আয়ের, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে উন্নীত হয়েছি।
আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবী দিবসে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বিতর্কিত করা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার নেপথ্যে থাকা জামায়াত বিএনপির প্রধান সহযোগী: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। এবং সাম্প্রদায়িকতাকে সমূলে বিনাশ করতে হলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে যারা রাজনীতি করে, তাদের চিরতরে বর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন কারা সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি করে। যারা রাষ্ট্রটাই চায়নি, একাত্তর সালে যারা ফতোয়া দিয়েছিল, হিন্দুরা গণিমতের মাল, সেই জামায়াতে ইসলাম বিএনপির প্রধান সহযোগী। তাদের যে ২২ দলের রাজনৈতিক জোট, সেখানে বহু দল আছে যাদের নেতারা আফগানিস্তান গিয়েছিল এবং তারা স্লোগান দেয়- আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান।’
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ২০০৩ সালে বাঁশখালীর সাধনপুরে সংখ্যালঘু পরিবারের ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া তিনজনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ৪৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সময় সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিদুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও যুব সংগঠনকে যুবকল্যাণ তহবিলের অনুদানের চেকও বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বিদেশিদের কাছে নয়, জনগণের কাছে যান: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
দেশবিরোধী অপশক্তি পাঠ্যবই নিয়ে গুজব ছড়িয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, দেশবিরোধী অপশক্তি পাঠ্যবই নিয়ে গুজব ছড়িয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করছে।
তিনি বলেন, আসলে সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের শিক্ষাক্রমকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। এতে ইসলাম শিক্ষা বইয়ের কোনো কিছুই বাদ দেয়া হয়নি। বরং নৈতিক শিক্ষার ওপরে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অন্য সকল ধর্মের কথাও বলা হয়েছে।
সোমবার বিকালে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ইউনিয়নের গাজীনগর গ্রামে সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান কায়কোবাদ চুন্নুর স্মরণে আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো ইসলাম বিরোধী নয়, বরঞ্চ ইসলামপন্থী।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নয়, টিকায় জোর দেয়া হচ্ছে: দীপু মনি
তিনি তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান যারা ধর্মের নামে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে এবং মানুষকে উস্কানী দিচ্ছে।
ফেসবুকে যারা এ ব্যাপারে অপপ্রচার করছেন তাদের প্রতি নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, আসলে তারা না জেনেই এসব অপপ্রচার করছেন এবং তারা এফবিতে যেসব বইয়ের ছবি দেখাচ্ছেন সেগুলো এদেশের বই না , এগুলো ভারতের বই।
মন্ত্রী আরও বলেন, আসলে এরা একটি চক্র। এরা আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করতে ও দেশে প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নতুন নতুন চক্রান্ত করছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হুমায়ুন কবীর প্রধানীয়া। এছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটোয়ারী ও মোস্তাফিজ চোকদারসহ প্রমুখ নেতারা সভায় বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে: দীপু মনি
দেশের শিক্ষার মান ভালো: দীপু মনি
২ বছর আগে
অপশক্তি নির্মূল করে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নেয়ার শপথ আজ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী সমস্ত অপশক্তিকে নির্মূল করে বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যাওয়াই স্বাধীনতা দিবসের শপথ। মহান স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকীর দিন সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ দলীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।ড. হাছান মাহমুদ বলেন, '১৯৭১ সালে ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন এবং তার নেতৃত্বেই নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালিরা তাদের পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে প্রথম জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে আমরা সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি। অনেক সূচকে ভারতকেও পেছনে ফেলেছি।'
আরও পড়ুন: বিএনপি চায় দেশের মানুষ দরিদ্র থাকুক: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'জাতির পিতার বাংলাদেশ রচনা এবং বঙ্গবন্ধুকন্যার দেশ পরিচালনার সার্থকতা সেখানেই যে পাকিস্তান আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।'
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'কিন্তু দুঃখের বিষয়, এদেশে এখনও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আজকের দিনে আমাদের শপথ হচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী সমস্ত অপশক্তিকে নির্মূল করে বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যাওয়া।' এর আগে বক্তব্যের শুরুতেই মন্ত্রী হাছান মাহমুদ দিনটি স্মরণে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ, নির্যাতিতা ২ লাখ নারী, জাতীয় চার নেতা এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধীদের রক্ষাকবচ: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রীর বন্ধন রক্তের অক্ষরে লেখা: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
কুমিল্লার ঘটনাটি পরিকল্পিত: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, যারা দেশের বিরুদ্ধে কাজ করে, তারাই অপশক্তি। কুমিল্লার এ ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত ও পরিকল্পিত। এ অপশক্তিকে কোন অবস্থাতেই আর ছোবল দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে আমার দলেরও যদি কেউ করে থাকে সেও ওই অপশক্তির আন্ডারে এবং তাকেও ছাড় দেয়া হবে না।
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘীরপাড় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন।
ফরিদুল হক বলেন, দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার জন্য অপশক্তি এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। যারা এ ঘটনার সাথে যুক্ত তারা কোন ধর্মের বা দলের হতে পারে না। অপরাধ যেই করুক, তাকে শাস্তি পেতেই হবে। এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এসময় কুমিল্লা সদর আসনের এমপি আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা-৭ আসনের এমপি অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মন্ত্রী শারদীয় দুর্গাপূজায় ক্ষতিগ্রস্থ বেশ কয়েকটি মন্দির ও পূজামণ্ডপ এলাকা পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মণ্ডপে কোরআন অবমাননার মামলা সিআইডিতে
কুমিল্লাসহ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ বছর আগে
স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশ থেকে নির্মূল হয়নি: তথ্যমন্ত্রী
স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও বাংলাদেশ থেকে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে নির্মূল করতে না পারাকে সরকারের ব্যর্থতা বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
৩ বছর আগে
ভাস্কর্য নিয়ে বিরাজমান পরিস্থিতিকে চক্রান্ত বললেন চরমোনাই পীর
মানবমূর্তি বা ভাস্কর্য নিয়ে বিরাজমান পরিস্থিতিকে দেশবিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।
৪ বছর আগে