ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
নির্বাচনের নামে আওয়ামী প্রীতি ম্যাচ বন্ধ করুন: অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, নির্বাচনের নামে আওয়ামী প্রীতি ম্যাচ বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের নামে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে কোনো প্রহসন দেশবাসী বরদাশত করবে না। সভাসমাবেশ নিষিদ্ধ করে জনগণকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। দেশব্যাপী বিরোধী দল ও মতের গণজাগরণ শুরু হয়েছে। এ গণজাগরণের বিস্ফোরণ ঘটার আগেই সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় কামনা করছি।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সোমবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে কার্যনির্বাহী পরিষদের মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আওয়ামী লীগের অধীনে ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: একতরফা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান গণতন্ত্র মঞ্চের
সংগঠনের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ডা. মুহাম্মদ শহীদুল ইসলামের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন: উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, মুফতি ইমাদুদ্দীন, মুফতি আনওয়ার হোসাইন, আহমদ আবদুল কাইয়ুম, আলতাফ হোসাইন, আবদুল আউয়াল, আবদুর রাজ্জাক, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, নজরুল ইসলাম, ফজলুল হক মৃধা, মাওলানা কামাল হোসাইন, এম এইচ মোস্তফা, মুফতি জিয়াউল আশরাফ, মুফতি আবদুল আহাদ, মুফতি আকতার হোসাইন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, একতরফা পাতানো নির্বাচন হলে দেশে ভয়াবহ সংকট দেখা দেবে। দেশের শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। লাখো গার্মেন্টস শ্রমিক কর্ম হারিয়ে ফেলবে। দেশের অর্থনীতির উপর নিষেধাজ্ঞা আসবে। দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, মাফিয়া সরকারের দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েমের স্বপ্ন পূরণ হবে না। ৭ তারিখের নির্বাচন জনগণ প্রতিহত করবে ইনশাআল্লাহ।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ বিরোধী দলকে দমন-পীড়ন করার ষড়যন্ত্র: গণতন্ত্র মঞ্চ
দেশ বাঁচাতে আ.লীগ-বিএনপির কাছে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি’র খোলা চিঠি
১১ মাস আগে
নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভ
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সারাদেশে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
তফসিলকে একতরফা আখ্যা দিয়ে দলটি সারাদেশের জেলা ও শহরে একযোগে বিক্ষোভ করেছে।
তবে কয়েকটি জেলায় তাদের মিছিল বাধার সম্মুখীন হয়।
দলের নেতারা বলেন, দেশের মানুষ তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তারা তা প্রতিহত করার হুমকি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তফসিলের নিন্দা করে 'লাল কার্ড' দেখাল এবি পার্টি
নির্বাচনকালীন দেশ পরিচালনার জন্য 'তত্ত্বাবধায়ক সরকারের' দাবি মেনে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
তারা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবি জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম মিছিল করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
শান্তিপূর্ণ মিছিল হওয়া জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তফসিলের প্রতিবাদে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর বিক্ষোভ
শনিবার থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করবে আওয়ামী লীগ
১ বছর আগে
ইসির সংলাপ প্রত্যাখান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডাকা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শনিবারের (৪ নভেম্বর) সংলাপ প্রত্যাখান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলছেন, এই সংলাপ লোক দেখানো। এটি কাঙ্ক্ষিত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টিতে কোনো প্রকার ভূমিকা রাখবে বলে মনে হয় না।
আরও পড়ুন: মুক্তিকামী জনতাকে ঢাকার রাজপথে নেমে আসতে হবে: ইসলামী আন্দোলনতিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আজকের সংলাপে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, এই সংলাপ কাঙ্ক্ষিত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টিতে কোনো প্রকার ভূমিকা রাখতে পারবে না।
দলটির মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, প্রধান বিরোধী দলসহ অন্যান্য বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের জেলে রেখে সংলাপের আয়োজন লোক দেখনো ছাড়া আর কিছুই নয়। অনেক দলের সম্ভাব্য অনুপস্থিতির কথা জানার পরও এই সংলাপ এবং ইসির ভূমিকাকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমাবেশ শুরুতাছাড়া নির্বাচনকালীন সরকারের রুপরেখা ঠিক না করে এই সংলাপ সরকারের একতরফার নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়ার শামিল হিসেবে গণ্য হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জাতীয় সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রুপরেখা প্রস্তাব করেছে। এধরনের ফলপ্রসূ কোন উদ্যোগ না নিয়ে এ সংলাপের আয়োজন করা নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে কোনো অবস্থাতেই সহায়ক হবে না।মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্য ইসি যে আলোচনার আয়োজন করেছে, এতে কোনো কল্যাণ নেই।
নির্বাচন কমিশনকে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন
১ বছর আগে
সরকারকে পদত্যাগ করে ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংসদ ভেঙে দিতে হবে: চরমোনাই পীর
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ চার দফা দাবি মানতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ থেকে দলটির নেতা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই) এ আল্টিমেটাম দেন।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগ ও ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর নিবন্ধিত ও আন্দোলনরত সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন
চলমান সংকট নিরসনে এক সপ্তাহের মধ্যে বিএনপিসহ কারাবন্দি সব রাজনৈতিক নেতাকে মুক্তি দেওয়া।
এ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের জন্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্যোগ নিতে হবে বলেও জানান চরমোনাই পীর।
তা ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সব বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে আরও কঠোর ও বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেবে।
মুফতি রেজাউল করিম হুমকি দিয়ে বলেন, নির্বাচন পেছালে পাকিস্তান সরকারের মতো সরকারকেও ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, দেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আর কোনো নির্বাচন হবে না।
কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ধ্বংস করার নীলনকশা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ সরকারকে বলতে চাই, বাংলাদেশে আজ একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আজ এদেশের মানুষ একটি দাবি নিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। যারা জনগণের এই যৌক্তিক দাবির বিরোধিতা করে, তারা এ দেশের শত্রু।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: দলীয় সদস্যদের প্রতি শেখ হাসিনা
যেকোনো মূল্যে সরকার পতনের অঙ্গীকার চরমোনাই পীরের
১ বছর আগে
বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে বিএনপি-জামায়াতের এক দফা আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল জনসভায় শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দলের নেতা চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও অবৈধ সরকারের পতনের দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি আমি সমর্থন ঘোষণা করছি।’
আরও পড়ুন: সরকারের কোনো কৌশলই বিএনপির আন্দোলন দমন করতে পারবে না: রিজভী
তিনি সরকারকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে পদত্যাগ করে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে সব নিবন্ধিত ও প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত একটি জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান।
রেজাউল করিম বলেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাষ্ট্রপতির উচিত আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক কারাবন্দি বিএনপিসহ সব শীর্ষ নেতাকে মুক্তি দিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় সংলাপ শুরু করা।
তিনি বলেন, সরকার যদি এসব দাবি মেনে না নেয়, তাহলে তিনিসহ সব আন্দোলনকারী বিরোধী দল বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিকামী জনতাকে ঢাকার রাজপথে নেমে আসতে হবে: ইসলামী আন্দোলন
১ বছর আগে
যেকোনো মূল্যে সরকার পতনের অঙ্গীকার চরমোনাই পীরের
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর সাহেব) শুক্রবার বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে দেশকে বাঁচাতে প্রয়োজনে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রেজাউল করীম বলেন, দেশ আজকে হুমকির মুখে। আজকে দেশ কিন্তু পরদেশের তাবেদারীতে চলে গেছে। ওখান থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত হয়, আমাদের বাংলাদেশে সেভাবে বাস্তবায়ন হয়। মুক্তিযুদ্ধে আমরা জীবন দিয়েছি। আমরাই দেশকে রক্ষা ও জালেমদের উৎখাত করতে আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ করবো।
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী দলের নায়েবে আমীর ফয়জুল করীমসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিচার ও ইসির পদত্যাগের দাবিতে শুক্রবার বিকালে বরিশালে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর নেতাকর্মীরা নগরীতে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
আরও পড়ুন: শায়েখে চরমোনাইয়ের ব্যাংক হিসাব তলব ষড়যন্ত্রমূলক: ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ
এসময় সিইসির পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমরা ব্যক্তি পর্যায়ে দলকে মজবুতের লক্ষ্যে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু বরিশাল সিটি নির্বাচনে বর্তমান সরকার, ইসি ও প্রশাসন যা করেছে তা বিশ্বে কলঙ্কের ইতিহাস হয়ে থাকবে। আমি এই সিইসির নিন্দা করি।’
তিনি আরও বলেন, তাদের কথা এবং কার্যক্রমে লক্ষ্য করেছি, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার জন্যই ফয়জুলের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। আমার পানির স্রোতে ভেসে আসিনি। এই জালেম সরকারকে বাংলার মানুষ উৎখাত করে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করবে। তাই আসুন আমরা সবাই একত্রে জালেম, ভোটচোর, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই।
সমাবেশ শুরুর আগে নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে সভাস্থলে জড়ো হন। এসময় তারা সিইসি’র কুশপুত্তলিকা ও কফিন নিয়ে প্রতিকী প্রতিবাদ করেন। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সভাস্থলে মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক দল মোতায়েন ছিল।
আরও পড়ুন: দেশের ‘স্বার্থবিরোধী’ চুক্তি জনগণ মেনে নিতে পারে না: পীর চরমোনাই
ভাস্কর্য নিয়ে বিরাজমান পরিস্থিতিকে চক্রান্ত বললেন চরমোনাই পীর
১ বছর আগে
মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিলে পুলিশের বাধা
নবী মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির দুই নেতার অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার অভিমুখে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণমিছিল ব্যারিকেড দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী মিছিল শুরু করে।
দলটির আমীর মুফতি রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাইয়ের নেতৃত্বে মিছিলটি দুপুরে শান্তিনগর মোড়ে পৌঁছলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের থামিয়ে দেয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উইংয়ের সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম কবির বলেছেন, পুলিশ তাদের দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে প্রতিবাদ স্মারকলিপি জমা দেয়ার জন্য বারিধারার হাইকমিশন মিশনে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সাবেক নেতা নূপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা ভারতীয় মিশনে চলে যাওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি শেষ করে।
২ বছর আগে
রাজধানীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভ সমাবেশ
পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের পরে মুসলমানদের প্রথম কিবলা বাইতুল মুকাদ্দাসে নামাজরত মুসল্লীদের ওপর বর্বর ইসরাইলী আক্রমণের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করে।
শুক্রবার বেলা ১১ টায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের পরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলটি জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ট্রাকের ধাক্কায় শাবি শিক্ষার্থী নিহত, বিক্ষোভ
তিনি বলেন, আধুনিক বিশ্বের সন্ত্রাসবাদ ও নির্মম দমন পীড়ন ও হত্যা-গুমের এক সতত উৎস অবৈধ দখলদার কথিত রাষ্ট্র ইসরাইল রমজানের মধ্যে আবারও দানবীয় রুপে আবির্ভুত হয়েছে। গোটা বিশ্ব যখন করোনা মহামারিত ক্লান্ত, মুসলিম সমাজ পবিত্র রমজানের ইবাদাহ-বন্দেগীতে মশগুল তখনই অশুভ ইহুদীবাদী এই শক্তি তার বিষাক্ত নখ-দন্ত মেলে ধরেছে। ইফতারি ও নামাজ পড়ার মতো নিরীহ-শান্ত ইবাদাত চলাকালে সোমবার জেরুসালেমের আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ঢুকে ইসরায়েলি পুলিশের বেধড়ক লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস এবং নির্বিচার রাবার বুলেট ছুড়ে ৩০০ এর বেশি ফিলিস্তিনিকে আহত করে। পুরো রমজান জুড়েই পুলিশের বাড়াবাড়ি ছিলো চরমে এবং নিরবচ্ছিন্ন দখলদারীর মধ্যেই নতুন করে আদালতের মাধ্যমে কয়েকটি ফিলিস্তিনি পরিবারকে উৎখাতের বিতর্কিত একটি অপতৎপরতা শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনিরা শান্তিপূর্ণ ক্ষোভ প্রকাশ করতে গেলে বর্বরতার চুড়ান্ত করে ইসরাইলি বাহিনী। এখন পর্যন্ত হাজার খানেক মানুষ আহত ও শতাধিক নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে কৃষকের জমিতে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন
তিনি আরও বলেন, বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে বর্তমান ইহুদী তোষনকারী বিশ্বব্যবস্থা ভেঙ্গে মানবতাবাদী ও শান্তিবাদী বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলা অপরিহার্য হয়ে উঠবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি যুবনেতা মাওলানা নেছার উদ্দিন।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে সাবরেজিস্ট্রার অফিস সহকারীর বদলির দাবিতে মানববন্ধন
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিক্ষুব্ধ জনতার বিশাল মিছিল রাজধানী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
৩ বছর আগে
ভাস্কর্য নিয়ে বিরাজমান পরিস্থিতিকে চক্রান্ত বললেন চরমোনাই পীর
মানবমূর্তি বা ভাস্কর্য নিয়ে বিরাজমান পরিস্থিতিকে দেশবিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।
৪ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা: বাবুনগরীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে মন্তব্যের জন্য রাষ্ট্রদোহের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনাইদ বাবুনগরীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
৪ বছর আগে