শনিবার মধ্যরাতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘নেতাকর্মীদের পর হামলা করছে বলে নিশ্চিত পরাজয় জেনে বিএনপি জামায়াত নির্বাচন বানচাল করতে পরিকল্পিত হামলা করেছে।’
আওয়ামী লীগের দুই কর্মীকে হত্যার মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চালানো হচ্ছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে শনিবার রাতে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় আওয়ামী লীগের সাইফুল ইসলাম ও চট্টগ্রামের পটিয়ায় যুবলীগ নেতাকে নৃশংসভাবে বিএনপি-জামাত সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। এর মাধ্যমে তারা নির্বাচনের নৈরাজ্য সৃষ্টির নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছে।’
নির্বাচনের আগের দিন বিএনপি জামায়াত ভোট কেন্দ্র দখলে নিয়ছে দাবি করে আব্দুর রহমান বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুল সাহেবদের পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় ভোট কেন্দ্র দখল করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করছে। নোয়াখালী ২ আসন ইফতেদাই মাদ্রাসা কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারকে মারধর করে ভোট কেন্দ্র দখলে নিয়েছে এবং হামলায় ৬ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আহত হয়েছে।’
তিনি দাবি করেন,‘রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি আমতলী ইউনিয়নের যুবদলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ওপর হামলা চালিয়ে পাঁচজন আহত করেছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বি এম মোজাম্মেল হোসেন, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।