বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে প্রথমে ক্ষমতা থেকে উৎখাত না করে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়।
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, বিএনপির ১০ দফা দাবির একমাত্র লক্ষ্য বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করা।
গত ৯ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তারের পর থেকে দলের প্রধান মুখপাত্রের ভূমিকায় থাকা এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সারাদেশে মানুষ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করার কথা বলছে।
‘দেশের আর্থ-সামাজিক, অর্থনৈতিক ও বিচার ব্যবস্থা এখন ধ্বংস হয়ে গেছে। যারা ১৪ বছর ধরে বলপ্রয়োগ করে এবং ভোট চুরি করে ক্ষমতায় রয়েছে তাদের অবশ্যই ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। অন্যথায়, আমরা এখন যে সংকটের মুখোমুখি হচ্ছি তা থেকে আমরা বের হতে পারব না’, বলেন তিনি।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একটি অংশ জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন
আহমেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
২০২১ সালের ২৫ ডিসেম্বর সাবেক বিএফইউজে সভাপতি এবং ফাইন্যান্সিয়াল হেরাল্ডের সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ ৭৬ বছর বয়সে করোনাভাইরাসে মারা যান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, তাদের দলের সাম্প্রতিক বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিয়ে মানুষ ভিন্ন বার্তা দিয়েছে। সারাদেশ থেকে আসা জনগণের বার্তা সংকলন করে আমরা ১০ দফা দাবি পেশ করেছি।
এছাড়াও, তিনি বলেন যে তারা 'রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার'-এর একটি ২৭-দফা রূপরেখাও উন্মোচন করেছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদের নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য এবং উচ্চকক্ষের প্রবর্তনসহ রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের পতনের পর তাদের দল ক্ষমতায় আসলে দেশ সংস্কারের রূপরেখা পেশ করবে।
তিনি জানান, তাদের দল এবং দেশের জনগণ আর একটি স্বৈরাচারী সরকার আনতে দেশ শাসনের পথ প্রশস্ত করার জন্য ক্ষমতার পরিবর্তন চায় না। আমরা একটি পরিবর্তন চাই যাতে এমন একটি সরকার গঠিত হবে যা এদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারে, সংকট কাটিয়ে উঠতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার করতে পারে।
মোশাররফ রিয়াজউদ্দিন আহমেদের বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতা পেশা এবং সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
তিনি সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তার বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করেন।