সব দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচনের আগে সরকার এ বিষয়ে কি বার্তা দিচ্ছে—জানতে চাইলে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এটা আদৌ কোনো বার্তা দেয় কিনা আমি জানি না। আমিও আপনার মতো শুনেছি এবং পত্রিকায় পড়েছি। আমি যেহেতু বিদেশি দূতাবাসে কাজ করি না, তাই বলতে পারছি না ইঙ্গিতটা কি, এটার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক আছে বলে আমার মনে হয় না।’
রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি থাকছেন না, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন—এ ধরনের আলোচনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এ রকম আলোচনার কি শেষ আছে? কত আলোচনা শুনেছি। জুনের মধ্যেও নির্বাচন হবে না, এই মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক বিষয় তো? আমরা বাংলাদেশিরা রাজনীতি সচেতন, প্রত্যেকের কাছে সব ঘটনার একটা ব্যাখ্যা আছে। হয়তো এটার (দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো) পিছনে কোনো ব্যাখ্যা নেই। কিন্তু এটার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই এটা একেবারেই স্পষ্ট। একটা ছবির সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনা চলছে
তিস্তা নদী নিয়ে চীনের সঙ্গে একটি চুক্তি হওয়ার কথা। এটি কবে হবে, এতে কত ব্যয় ধরা হয়েছে—জানতে চাইলে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যে প্রকল্পটিতে হ্যাঁ বলেছি, সেখানে কাগজে-কলমে এখনো লেখা আছে ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে প্রকল্প শুরু হবে। সেই প্রকল্পে কত টাকা আসবে, কতটা অর্থায়ন হবে, শর্ত কী হবে—এসব নিয়ে বাংলাদেশ সরকার চীন সরকারের সঙ্গে এখন কথা বলছে। তাই ওই আলাপ-আলোচনা শেষ না হলে কত টাকা লাগবে, তা বলা যাবে না। সরকার হয়তো কাজটি একটি ধাপে না করে দুই ধাপেও করতে পারে। তিনি জানান, চীন সরকার হয়তো টাকা দেওয়ার পদ্ধতিটা অন্যরকম ভাবতে পারে। তাই টাকার পরিমাণ এখনই বলা যাচ্ছে না।’
এই প্রকল্প নিয়ে সরকার তিনটি বিষয়ে চীনের সঙ্গে একমত হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হবে নদী ভাঙন রোধ করা ও কমিয়ে আনা, বন্যার প্রভাব থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া এবং সেচ মৌসুমে নদীতে পর্যাপ্ত পানি নিশ্চিত করা।’
পুরো প্রক্রিয়া শেষ হয়ে প্রকল্প শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের মেয়াদ আমরা দশ বছরের কথা বলেছি। প্রথম পাঁচ বছর পরে সেটার মূল্যায়ন করে আবার পাঁচ বছর। প্রথম পাঁচ বছরের মধ্যে তিন বছর পর আমরা একটা মিডটার্ম পর্যালোচনার কথাও বলেছি।’