বুধবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের সাতজন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য শপথ নাও নিতে পারেন, এমন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘শপথের বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত। যারা সংসদীয় নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা আশা করি, তারা জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তারা যোগদান না করলে জনগণের রায়ের প্রতি অসম্মান করা হবে।’
তবে আন্দোলনের নামে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কোনো ধরনের সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
এদিকে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন কাদের।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনার ব্যাপারে শুনেছি। এ ধরনের ঘটনা অবশ্যই নিন্দনীয় এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অপরাধী যেই হোক শাস্তি তাকে পেতেই হবে। এ ব্যাপারে আমাদের নেত্রীর মনোভাব আমি জানি।’
‘এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত হোক, কেউ পার পাবে না,’ হুঁশিয়ারি দেন আওয়ামী লীগ নেতা।
তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি এরইমধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শকের সঙ্গে কথা বলেছি। এছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি)। এ ঘটনায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’
খুলনায় সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, তিনি এখনও এ বিষয়ে জানেন না।
নতুন মন্ত্রিসভার আকার সম্পর্কে আরেক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের কোনো ধারণা নেই। প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন।’
নোয়াখালীতে বিএনপির শক্ত অবস্থান থাকা সত্ত্বেও ওই জেলার সকল আসনে আওয়ামী লীগ কিভাবে জয়লাভ করলো, এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘একসময় ওই জেলায় দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা ছিল। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর দল সকল সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে।’