বিপুল জনসমাগমের মধ্য দিয়ে রাজধানীর শাহবাগে ছাত্রদলের সমাবেশ চলছে। জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার (৩ আগস্ট) বিকেল ৩টা ১৬ মিনিটে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।
এরপর বক্তব্য দেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলকে রুখে দেওয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশে কারও নেই।’
রাকিবুল ইসলাম আরও বলেন, ‘দেশকে যারা অস্থিতিশীল করতে চায়, ছাত্রদল চাইলে সেই ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে পারে। ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান যদি নির্দেশনা দেন, নেতাকর্মীরা সারা দেশ অবরোধ করে দিতে পারে।’
সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান বিকেল ৩টা ১৪ মিনিটে ভার্চুয়ালি সমাবেশে যুক্ত হন।
ঢাকার বাইরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পরিবার-পরিজনেরাও এ সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। সকাল থেকেই হাজার হাজার নেতাকর্মী শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করেন।
সমাবেশের জন্য শাহবাগ মোড়ে একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে এবং চারদিকে মাইক বসানো হয়েছে। মৎস্য ভবন থেকে কাঁটাবন পর্যন্ত পুরো সড়ক নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে পূর্ণ হয়ে গেছে। সমাবেশ পর্যবেক্ষণের সুবিধার্থে বেশ কয়েকটি বড় পর্দা ও প্রজেক্টর বসানো হয়েছে।
ছাত্রদল নেতারা জানিয়েছেন, আজিজ সুপার মার্কেট ও পিজি হাসপাতালের মাঝের গলি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে কোনো ছাত্রদল নেতাকর্মী বহনকারী যানবাহনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের ব্যক্তিগত মিছিল বা শোডাউন না আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিটি ইউনিটকে নিজ নিজ অবস্থান পরিষ্কার করে তবেই এলাকা ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। সমাবেশস্থলে প্রয়োজনে চিকিৎসাসেবা দিতে ১০টি মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ভিড়ে শাহবাগের আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মৎস্য ভবন এলাকার সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।