রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক ২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কেউ স্বীকার করুক বা না করুক, সকল প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতাকে উপড়ে ফেলে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। মানবিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক সকল সূচকে আমরা পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি, অনেক সূচকে ভারতকেও পেছনে ফেলেছি। আইএমএফ, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সমীক্ষায় এর প্রতিফলনে ভারত ও পাকিস্তানে তোলপাড় হচ্ছে, অথচ আমাদের দেশে কেউ কেউ স্বীকার করতে চায় না।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গত এক যুগে গণমাধ্যমের অভূতপূর্ব বিকাশ ও কল্যাণের ইতিহাস তৈরি হয়েছে। এই অগ্রগতির সাথে সঙ্গতি রেখে প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজন। এ জন্য প্রচলিত আইন যুগোপযোগী করার কাজ চলছে।
গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আরও বিস্তৃত করার আহ্বান জানিয়ে উন্নত জাতি গঠনের জন্য বস্তুগত উন্নয়নের সাথে আত্মিক উন্নয়নকে অপরিহার্য বলে বর্ণনা করেন ড. হাছান।
আর সে জন্য নতুন প্রজন্মের মনন গঠনে গণমাধ্যম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক তোয়াব খানকে আজীবন সম্মাননা, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শাহ হোসেন ইমামকে প্রাতিষ্ঠানিক সম্মাননা, দৈনিক করতোয়া সম্পাদক মোজাম্মেল হককে আঞ্চলিক প্রাতিষ্ঠানিক সম্মাননা, দৈনিক সমকালের জাহিদুর রহমানকে গ্রামীণ সাংবাদিকতা, দৈনিক আমাদের সময়ের মোহাম্মদ ইউসুফ আরেফিনকে উন্নয়ন সাংবাদিকতা, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের আরাফাত আরাকে নারী সাংবাদিকতা ও একই দৈনিকের আলোকচিত্রী শফিকুল ইসলামকে আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক ২০২০ সম্মাননা দেয়া হয়।
প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, প্রেস কাউন্সিল সদস্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন খসরু এবং মোজাফফর হোসেন পল্টু, প্রেস কাউন্সিল পদক জুরিবোর্ডের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং কাউন্সিল সদস্য নঈম নিজাম বক্তব্য দেন।