শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার কচুবুনিয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হন প্রবীণ ওই রাজনীতিবিদ।
এর আগে তার প্রতিষ্ঠিত আলহাজ ডা. মোজাম্মেল হোসেন কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউশন মাঠে সোয়া ৫টার দিকে তার সর্বশেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল ৪টায় মোড়েলগঞ্জ এসিলাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের তৃতীয় নামাজে জানাজা হয়।
শুক্রবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের মরদেহ বাগেরহাটে আনা হয়। পরে শহরের রেল রোডস্থ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে তার মরদেহ রাখা হলে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু, মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী অংঙ্গ সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
পরে মরদেহ ডা. মোজাম্মেল হোসেনের বাগেরহাট শহরের আমলাপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর জুমাবাদ বাগেরহাট শেখ হেলাল উদ্দীন স্টেডিয়ামে মরহুমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোজাম্মেল হোসেনের কফিন জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দিয়ে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোজাম্মেল হোসেন মারা যান বলে তার ছেলে ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহমুদ হোসেন জানান।
সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মোজাম্মেল হোসেনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
মোজাম্মেল হোসেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি বাগেরহাট-১ এবং বাগেরহাট-৪ আসন থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
১৯৪০ সালের ১ আগস্ট জন্ম নেয়া আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন।