তিনি বলেন, ‘এ সরকারের সব কর্মকাণ্ড গণতন্ত্রবিরোধী। আমাদের সংবিধানে জনগণের কাছে আমার কথা বলার অধিকার আছে, আমার সংগঠন করার অধিকার আছে ও আমার বক্তব্য দেয়ার অধিকার আছে। সেটা আমাকে করতে দেয়া হচ্ছে না।’
এক অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। আজকে ভিন্ন নামে বাকশাল দেশে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। এটা চলতে পারে না।’
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি বাতিলের দাবি পরিষদের উদ্যোগে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এ সংযোজিত ৯০ ধারাসহ সব কালো আইন বাতিল ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ড. জাফরুল্লাহ বলেন, এ সরকার জনগণকে কথা বলতে না দেয়া ও মত প্রকাশের অধিকারে বাধা দেয়ার ভুল নীতি গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) যতগুলো কাজ করছেন ক্রমেই তা ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। যেমন ধরেন- সদ্য নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনের সংশোধন করে ফাঁসি এনেছেন। এ ফাঁসি দিয়ে পৃথিবীর কোথাও কোনো পরিবর্তন হয় নাই। এটা মধ্যযুগীয় শাস্তি।’
পত্রিকার প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে এ মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘এ আইন করার আগে ও পরে একফোঁটাও অপরাধ কমেনি। বরং বেড়েছে। এখন বাড়তে বাড়তে শিশুর ওপরই হচ্ছে, স্কুলে হচ্ছে, মাদরাসায় হচ্ছে। এত বড় ভুল কী করে উনি (প্রধানমন্ত্রী) করলেন?’
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সরকার শুধুমাত্র কথা বলার কারণে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করছে। তবে, যারা লক্ষ-কোটি টাকা পাচার করেছেন তাদের জামিন আগেই হয়ে যায়। এটা কি গণতন্ত্র হতে পারে?’
প্রতিবেশী দেশ ভারতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আজকের পত্রিকায় আছে ভারত আমাদের দেশের কতটা লুণ্ঠন করেছে। গত ২০১৮ সালে ভারত বাংলাদেশ থেকে (রেমিটেন্স হিসেবে) পেয়েছে ১২৮ বিলিয়ন ডলার। আর সারা মুক্তিযুদ্ধে দেশটির ১০০ মিলিয়ন ডলারও খরচ হয় নাই।’