গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র
সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে হাসপাতালের কর্মী, চিকিৎসক এবং রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে একটি পক্ষ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দখল নিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সাবেক ট্রাস্টি নাজিম উদ্দিন ও তার সহযোগীরা সকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র দখল করতে গেলে কর্তব্যরত কর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় কর্তব্যরত কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ রয়েছে, ওই সময় হামলাকারীরা হাসপাতালের কর্মীদের শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন। এ ঘটনার পরপরই কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট অনলাইনে সত্যায়িত করার উপায়
হাসপাতালের কর্মী ও চিকিৎসকরা বলেন, তারা আচমকাই এসে আমাদের ওপর আক্রমণ করে। বাধা দিতে গেলে আমাদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসা কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ে। এ ধরনের ঘটনায় আমাদের রোগী ও চিকিৎসকরা ভীতসন্ত্রস্ত। আমরা চাই, দ্রুত পরিস্থিতির সমাধান হোক।
এদিকে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়।
এ সময় ট্রাস্টি নাজিম উদ্দিন ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলে এসে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, বর্তমানে হাসপাতালের কার্যক্রম স্বাভাবিক হলেও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংঘর্ষের কারণে রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এবং চিকিৎসা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটেছে।
এদিকে ঘটনার পর পরই দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন কর্মসূচি করেছে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত
৫ দিন আগে
ডা. জাফরুল্লাহকে শুক্রবার সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দাফন করা হবে: পরিবার
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে শুক্রবার সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দাফন করা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাবার নামাজে জানাজার আগে আলাপকালে ড. জাফরুল্লাহর ছেলে ও পরিবেশবিদ বারিক চৌধুরী এসব কথা বলেন।
বারিক চৌধুরী বলেন, আমার বাবা চেয়েছিলেন তার মরদেহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য দান করা হোক। এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু তার প্রতি শ্রদ্ধার কারণে কোনো হাসপাতালই তার দেহ কাটতে রাজি হয়নি। তাই তার লাশ সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দাফন করা হবে।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান, তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হবে।
আগামীকাল সকাল ১০টায় তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আরেক নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজা শেষে তাকে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দাফন করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার রাখা হবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
১ বছর আগে
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
মঙ্গলবার ডা. জাফরুল্লাহ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান।
এর আগে সোমবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রবীণ এই চিকিৎসককে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মুস্তাফিকে প্রধান করে রবিবার একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
ডা. জাফরুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জনিত জটিলতায় ভুগছিলেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী মেডিসিনে স্নাতকোত্তর পড়াশোনার জন্য যুক্তরাজ্যে ছিলেন। মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি ক্যাপ্টেন আখতার আহমেদের সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের জন্য ৪৮০ শয্যার বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।
হাসপাতালটি তখন বাংলাদেশি চিকিৎসক, মেডিকেল শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবক এবং স্বাস্থ্যসেবায় পূর্বে কোনো প্রশিক্ষণ নেই এমন নারীদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। তবে, তাদেরকে রোগীদের সহায়তা করার জন্য কয়েক দিনের মধ্যেই প্রশিক্ষিত করা হয়েছিল। এই ঘটনাটি অনন্য। স্বাধীনতার পর যখন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্ম হয়, তখন এই বৈপ্লবিক প্রস্তাবের পেছনের ধারণাটি জনস্বাস্থ্য সরবরাহের দর্শনে বিকশিত হয়।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ লাইফ সাপোর্টে
তিনি ১৯৮২ সালে গৃহীত দেশের প্রথম জাতীয় ওষুধ নীতির স্থপতিও ছিলেন। যা এখনও জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে দেশের সাফল্যের একটি কেন্দ্রীয় হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জনসংখ্যার আকারের বিচারে এটি অবিস্মরণীয় কঠিন কাজ।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কেটেছে কলকাতায় এবং পরে তার পরিবার বাংলাদেশে বসতি স্থাপন করে। তিনি ১৯৭২ সালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। 'বেসিক হেলথ কেয়ার ইন রুরাল বাংলাদেশ' (গ্রামীণ বাংলাদেশে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা) শীর্ষক একটি ধারণাপত্রে এই প্রস্তাব প্রথম উপস্থাপন করা হয়।
জাফরুল্লাহ ছিলেন তার মা-বাবার ১০ম সন্তান। বকশীবাজারের নবকুমার স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি কমিউনিস্ট রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে পরিচিত হন।
তিনি ১৯৬৪ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন এবং জেনারেল অ্যান্ড ভাস্কুলার সার্জারিতে স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের জন্য যুক্তরাজ্যে যান। তবে যুদ্ধে ফিরে এসে তার অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।।
১৯৮৫ সালে তিনি ওষুধ নীতি ১৯৮২ এর ওপর তার কাজের জন্য কমিউনিটি লিডারশিপ বিভাগে র্যামন ম্যাগসেসে পুরষ্কার জিতেছিলেন।
স্বাস্থ্য ও মানব উন্নয়নে তার ব্যতিক্রমী কাজের জন্য তিনি ১৯৯২ সালে রাইট লাইভলিহুড পুরস্কার লাভ করেন।
আরও পড়ুন: রাফসান হত্যার নেপথ্যে কিছু আছে কিনা তদন্ত করতে হবে: কাজী জাফরুল্লাহ
সুযোগ সীমাবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কম ব্যয়বহুল জেনেরিক ওষুধের বিকাশে অগ্রদূত ছিল। জাফরুল্লাহর নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বাংলাদেশে পল্লী স্বাস্থ্যসেবা বীমা ব্যবস্থা চালু করে।
২০১০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইউসি বার্কলে তাকে আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য হিরো হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী অত্যন্ত সরল জীবনযাপনের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে নিজেকে আকৃষ্ট করেছেন, তবে জনস্বার্থে নিজের বিবেকের কথা বলতে কখনও পিছপা হননি।
যদিও তিনি কখনও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন না, তবুও তিনি অনিবার্যভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত হয়েছিলেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং শেষ দিকে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
কিন্তু তার সামগ্রিক জীবনের কাজকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে গণ্য করা যায় না এবং এমন অনেক সময় ছিল যখন তার মতামত বিএনপির সঙ্গেও সাংঘর্ষিক ছিল।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
১ বছর আগে
ডা. জাফরুল্লাহ লাইফ সাপোর্টে
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সোমবার সকালে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতায় মন্দিরে ভাঙচুর : ডা. জাফরুল্লাহ
এদিকে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রবিবার অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মুস্তাফির নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মুস্তাফি বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
ডা. জাফরুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
সরকারের দায়িত্ব শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়া: ডা. জাফরুল্লাহ
১ বছর আগে
২৪ বছর ধরে হোল্ডিং ট্যাক্স না দেয়ায় গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ডিএসসিসির অভিযান
১৯৯৮-৯৯ অর্থবছর থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স না দেয়ায় গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি দল।
হোল্ডিং ট্যাক্স বার্ষিক স্থানীয় নাগরিক সংস্থার পক্ষ থেকে দেয়া সম্পত্তি কর।
বারবার নোটিশ দিয়েও ২৪ বছরের হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ না করায় বুধবার ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল হাসপাতালটি সিলগালা করার জন্য অভিযান পরিচালনা করে।
নাগরিক সংস্থাটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই হাসপাতালটি ২৪ বছর ধরে ডিএসসিসিকে দুই কোটি ৪০ হাজার টাকার হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করেনি।
মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় ধরে অনেক নোটিশ এবং রিমাইন্ডার সত্ত্বেও, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে অভিযান চলাকালীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে এবং মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করে বাকি বকেয়া পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: অভিযান চালানোর সময় হামলা: খুলনায় ৩ পুলিশ আহত, আটক ৩
ডেঙ্গু রোধে বুধবার থেকে অভিযান শুরু: তাপস
২ বছর আগে
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১২ হাজার টাকায় ক্যান্সার চিকিৎসা
এখন থেকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে বিশ্বখ্যাত আইসোটোপ-বিহীন ইলেক্ট্রনিক ব্রাকিথেরাপিতে সাশ্রয়ী খরচে ক্যান্সার চিকিৎসা করা যাবে। এতে মোট খরচ লাগবে মাত্র ১২ হাজার টাকা।
৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে শনিবার ( ৫ ফেব্রুয়ারি) এক সেমিনারের আয়োজন করে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল। এতে সভাপতিত্ব করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এসময় প্রতিষ্ঠানটি ক্যান্সার চিকিৎসার নানা দিক তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: করোনা শনাক্তে গণস্বাস্থ্যের কিট অকার্যকর: বিএসএমএমইউ
সভাপতির বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ক্যান্সার হলে একজনের মৃত্যু ঘটে না, পুরো পরিবারের মৃত্যু ঘটে। জায়গা জমি বিক্রি করে দিতে হয়। চিকিৎসা ব্যায়ের তুলনায় সাময়িক নিরাময় হলেও পূর্ণাঙ্গ নিরাময় হয় না। আগে ক্যান্সার চিকিৎসার পদ্ধতি অনেকটা জটিল ছিল। কিন্তু বর্তমানে নতুন প্রযুক্তিতে যে মেশিন আবিষ্কার হয়েছে সেটাই ক্যান্সার চিকিৎসা সহজ হয়েছে। নতুন এই মেশিনে কোন সোর্স ব্যবহার করতে হয় না। ডিস্পোজালের ঝামেলা নেই। সময় কম লাগে। এটা বাংলাদেশের প্রথম মেশিন। আমাদের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে কেমোথেরাপির ব্যবস্থা আছে, সার্জিক্যাল অনকোলজির ব্যবস্থা আছে, এখন তো ব্রেকিথেরাপির ব্যবস্থাও আছে এবং আমাদের এখানে বোনমেরু রিপ্লেসমেন্টের ব্যবস্থাও নিয়েছি। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা রেডিএক্সেলের (Radixact-7) সব চেয়ে আধুনিক ভার্সনের অর্ডারও দিয়েছি। আশা করি আগামী ছয় মাসের মধ্যে ডিডিআর এক্সেলেটরও স্থাপন করব।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেস্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ক্যান্সার বিভাগের কোওর্ডিনেটর ডা. সামিম উল মওলা, প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ক্যান্সার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. খোরশেদ আলম।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউট সাবেক পরিচালক ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্যান্সার বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. এম এ হাই, জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউট সহযোগী অধ্যাপক হাবিবউল্লাহ তালুকদার রাসকিন, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টারস ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি, ইতালি থেকে জুমে অংশ নেন দক্ষিণ এশিয়ার জপ্টের প্রধান পিয়ারে ফ্রান্সেসকো, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কার্ডিওলজি বিভাগে সহযোগি অধ্যাপক সাইদ-উজ জামান অপু প্রমুখ।
২ বছর আগে
কুমিল্লার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে প্রতিমার পায়ে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। শুক্রবার কুমিল্লার নানুয়াদিঘীর পাড়ের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে এ দাবি জানান তিনি।
এ সময় গণসংহতি পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে তারা স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং এ ঘটনার বিস্তারিত শুনেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘১৫ দিনের মধ্যে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হওয়া উচিত। পূজামণ্ডপে এই ধরনের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ঘটনা সরকারের ব্যর্থতা। সরকার এটিকে ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করছে। তবে সকলের প্রতি আহ্বান ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা হোক।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘যারাই পূজামণ্ডপে কোরআন রেখেছেন তারা পরিকল্পিতভাবেই একটি সহিংসতা তৈরি করতে চাচ্ছে। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই এবং বিচার দাবি করি। যারা কোরআন অবমাননা করেছেন এবং প্রতিমা ভেঙ্গেছেন তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
এদিকে একই সময়ে আলাদাভাবে নানুয়াদিঘীর পাড়ের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় তারা স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে অন্যান্য পূজামণ্ডপও পরিদর্শন করেন। কুমিল্লার ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় অপরাধীদের খুঁজে বের করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
কুমিল্লার ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্ণিত করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে: ওবায়দুল কাদের
৩ বছর আগে
আন্দোলন তীব্র করতে খালেদার নাতনীকে দেশে আনার আহ্বান জাফরুল্লাহ’র
সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার নাতনী জাইমা রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বুধবার এক আলোচনা সভায় তিনি বিএনপি নেতাদের রাজনৈতিক বক্তব্য পরিহার এবং রাজনীতিক ইস্যুতে ফাঁপা বক্তব্য দেয়ার পরিবর্তে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান।
জাফরুল্লাহ বলেন,‘জাইমাকে ফিরিয়ে আনেন। আমি এটা বলছি যে সে তরুণ। সে রাজনীতি শিখবে। যদি জাইমা তাদের (বিএনপি নেতাদের) সাথে থাকে, দেশের (রাজনীতির) মধ্যে একটি ঢেউ আসবে এবং দেখতে পাবেন তখন তারা (আওয়ামীলীগ) জানতেও পারবে না কখন তাদের নৌকা ডুবে যাবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়: কৃষিমন্ত্রী
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘দলীয় নেতৃত্ব সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করলে বিএনপি অনুসারীরা অসন্তুষ্ট হয়ে যায়।কিন্তু আমি একটা কথা বলতে চাই যে খালেদা জিয়া একজন সাহসী নারী, সরকারবিরোধী আন্দোলনকে সফল করতে তার নেতৃত্ব প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন,‘বিএনপি শুধুমাত্র রাজনৈতিক বক্তব্যের মাধ্যমে এবং রাজনৈতিক ইস্যুতে হালকা বক্তব্য দিয়ে জনসমর্থন ধরে রাখতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপি সবসময় পেছনের দরজা খোঁজে: তথ্যমন্ত্রী
জাফরুল্লাহ বলেন,‘বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করতে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।’
৩ বছর আগে
ডা. জাফরুল্লাহর রিট মামলা শুনতে হাইকোর্ট বেঞ্চের অপারগতা
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন সংখ্যা বাড়াতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দায়ের করা এক রিট মামলা শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অপারগতা প্রকাশ করেন।
আদালতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
জানা গেছে, এর আগে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজে ১১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি ছিল। ২০২১ সালে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় সেখানে ৫০ জন শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি করা যাবে না। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। তখন মাত্র ১০ জন বাড়ানো হয়। ১১০ জনের জায়গায় ৬০ জন ভর্তির অনুমতি দেয়া হয়। পরে ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। তবে হাইকোর্ট বেঞ্চ সে রিট মামলাটি শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
আদালত বলেন, যেহেতু জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেব আমাদের বেঞ্চের প্রশংসা করেছেন। তাই এ রিট মামলা অন্য বেঞ্চে হওয়াই ভালো। যদি আমাদের বেঞ্চ থেকে একটি অর্ডার হয়, তাহলে অন্য কেউ বিরূপ মন্তব্য করতে পারেন। তাই আপনারা (রিটকারী পক্ষ) রিটটি অন্য বেঞ্চে শুনানি করুন।
আরও পড়ুন: টেলিফোনে আড়ি পাতা বন্ধে রিটের আদেশ রবিবার
প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সমালোচনা এবং হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের প্রশংসা করেন। জাফরুল্লাহ বলেন, আমাদের যে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুণী ও সজ্জন বিচারপতি হলেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। সবচেয়ে খারাপ হচ্ছেন এ বি এম খায়রুল হক।
৩ বছর আগে
বাঁশখালীতে নিহতদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবি ডা. জাফরুল্লাহ’র
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লা-বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
রবিবার বাঁশখালীতে নিহত ও আহতদের পরিবারকে দেখতে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ দাবি জানান তিনি।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যারা নিহত হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ লাখ টাকা করে দিতে হবে, তাদের পরিবারের সদস্যদের চাকরি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া একজন বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ: ২ মামলায় আসামি আড়াই হাজার
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ, রাষ্ট্র চিন্তার অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইউম, গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান ,শাহেদুল ইসলাম, মো. নাছির, মোজাফফর আহমদ, মো. হাসান মারুফ, ছৈয়দুল আলম, মো. হাশেম, ফরিদ আহমদ, সেলিম নুর, মো. নাছির, হাজি নবী হোসেন, দিদারুল ইসলাম, মো. জাবেদ, মুক্তার আহমদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে এস আলম বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৫
তারা প্রথমে গণ্ডামারা এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের ফটকের সামনে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান সমন্বয়ক ফারুক আহমেদ, বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবিরসহ দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলেন।
পরে তারা গণ্ডামারা, চাম্বল বাংলাবাজার ও শীলকূপ এলাকার দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে শ্রমিকদের প্রাণহানি: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট
উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল সকালে গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হন। ২১ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো: শিমুল (২৩) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় আহত হন প্রায় ৩০ জন।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে।
৩ বছর আগে