তিনি বলেন, ‘দলে দিন দিন কর্মী কমে যাচ্ছে, আর নেতার সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের এতো নেতার দরকার নেই, সাচ্চা কর্মী দরকার। বিলবোর্ডে সুন্দর সুন্দর ছবি দেখাবেন, লোকে চেনেও না! উনি বিলবোর্ডে উজ্জ্বল।’
রবিবার দুপুরে রাজশাহী মাদরাসা মাঠে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, ‘পকেট কমিটি করে আওয়ামী লীগকে দুর্বল করবেন না। পকেটের লোকদের নিয়ে কমিটি করলে আওয়ামী লীগ সুবিধাবাদীদের হাতে চলে যাবে। মশারির ভেতর মশারি টাঙাবেন না। ঘরের ভিতর ঘর বানাবেন না। আমাদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ আছে। এই চ্যালেঞ্জ আমাদের অতিক্রম করতে হবে। ত্যাগী নেতাকর্মীকে নিয়ে আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজাতে হবে।’
মুজিববর্ষে আওয়ামী লীগে সুবিধাভোগী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদখলদার ও মাদক কারবারিকে জায়গা দেয়া হবে না জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নেতা হতে হলে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। মনে রাখতে হবে ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়।’
বিএনপিকে মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘কিন্তু বাংলার বাতাসে আবারও চক্রান্তের গন্ধ। শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে যাচ্ছে অশুভ শক্তি। নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি চক্রান্ত করে সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র করছে। এই অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।’
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, এসএম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু ও বেগম আখতার জাহান।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। এতে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি হয়েছেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তার সঙ্গে দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ডাবলু সরকার। একই সঙ্গে আগামী এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন তিনি।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে বেলুন, ফেস্টুন ও কবুতর উড়িয়ে নগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের।