জোটের মুখপাত্র সংসদ মোহাম্মাদ নাসিম বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না ... এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা মনে করি এই আইনটি পরিবর্তন করা দরকার।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসিম শনিবার তার ধানমণ্ডির বাসভবনে ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিদ্যমান আচরণবিধি বিএনপিকে অনেক সুবিধা দিচ্ছে, কারণ তাদের নেতারা এখন সংসদ সদস্য না হওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে তাদের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে পারছেন।
‘বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে সমস্ত নেতারা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারছেন, কিন্তু নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রণীত আচরণবিধি আমাদের মেনে চলতে হচ্ছে,’ যোগ করেন নাসিম।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, এটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও নির্দলীয় না হওয়ায় সবারই নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ নেই। ‘নির্বাচন কমিশন বলেছে সংসদ সদস্যরা সিটি নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’এই আইনটি বাতিল করতে তিনি ইসির প্রতি আহ্বান জানান।
আমু বলেন, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন তাদের দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখানে ‘স্বাধীনতাবিরোধী’ দলও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ‘সুতরাং, এই পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের বাসায় অলস বসে থাকতে পারি না।’
নাসিম বলেন, ঢাকা উত্তরের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণের শেখ ফজলে নূর তাপসের বিজয় নিশ্চিত করতে ১৪ দলীয় জোটকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগকারী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সিটি নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না।
সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণবিধি) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, এবং সমপদমর্যাদার ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি মেয়ররা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।