বুধবার বেলা ২টার আগে থেকেই বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের ব্যানারে মিছিল সহকারে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ঐক্যফ্রন্টের সিলেট কর্মসূচির সমন্বয়ক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ এর পরিচালনায় সমাবেশটি শুরু হয়।
বেলা ২টা ২৭ মিনিটে সমাবেশেস্থলে এসে পৌঁছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
সকাল থেকেই ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে যোগ দিতে সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট ছোট মিছিল সহকারে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন।
এদিকে, সিলেট নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে আসা গাড়িবহর মাঝপথে আটকে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। সিলেটে ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়ক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ এমন অভিযোগ করেন।
সমাবেশ মঞ্চের মাইকে আলী আহমদ অভিযোগ করে বলেন, জৈন্তাপুর ও জকিগঞ্জ থেকে ৪/৫টি বাস নিয়ে এই সমাবেশে আসার জন্য রওয়ানা করেছিলেন নেতাকর্মীরা। তবে পুলিশ তাদের বাস পথেই আটকে দেয়। তাদের সমাবেশে আসতে দেয়নি।
সমাবেশে আসতে এভাবে বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আলী আহমদ।
বেলা ১টায় রেজিস্ট্রি মাঠ এলাকায় পুলিশের অবস্থান লক্ষ্য করা গেলেও বেলা ২টার পর থেকে পুলিশ রেজিস্ট্রারী মাঠের ভেতর থেকে সরে গেছে। ঘন্টা খানেক পূর্বে সমাবেশ এলাকায় র্যাবের টহল প্রত্যক্ষ করা গেছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম জানান, মঙ্গলবার রাতে অনেক স্থানে তাদের নেতা-কর্মীদের বাসা-বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। পুলিশ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলেও জানান তিনি। সমাবেশে আসার পথে বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীদের বাধা দেয়া হচ্ছে বলেন এই নেতা।
এদিকে দুপুর হতেই সমাবেশ স্থলে আমান উল্লাহ আমান, জয়নাল আবেদিন ফারুক, মোহাম্মদ শাহজাহান, খন্দকার মুক্তাদির, জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামিমসহ কেন্দ্রীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
আজ বুধবার ভোরে সিলেট পৌঁছেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, এম এ হক, খন্দকার আবদুল মোকতাদিরসহ বেশ কয়েকজন নেতা।