নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ যোগ দিতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়েছেন।
দুপুর ২টায় শুরু হওয়া সমাবেশের আগে শনিবার সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন রঙের টুপি পরা তরুণ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন।
দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও প্রতিকৃতি বহন করে প্রখর রোদে সমাবেশ শুরুর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন এবং চলমান এক দফা আন্দোলন জোরদার করতে তরুণদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেবেন।
বিএনপির তিনটি সহযোগী সংগঠন- জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল- তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তরুণ প্রজন্মকে রাজপথের আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে এই সমাবেশের আয়োজন করেছে।
এর আগে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেন, অধিকার বঞ্চিত তরুণরা যুব সমাবেশে অংশ নেবে এবং শনিবার ঢাকা তারুণ্যের নগরীতে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসনে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ৪ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি নতুন ভোটারের পক্ষে এবং ক্ষমতাসীনদের দলের রাজনীতি সঙ্গে জড়িত না থাকার কারণে সরকারি চাকরি না দেওয়া যুবকদের পক্ষে তারা রাস্তায় নেমেছে।
টুকু বলেন, তারা ইতোমধ্যে পাঁচটি যুব সমাবেশ করেছে এবং তরুণদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রতি তরুণ প্রজন্মের সমর্থন জোগাতে গত ২ জুন বিএনপির তিনটি সহযোগী সংগঠন চট্টগ্রাম, বগুড়া, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ঢাকায় ছয়টি তারুণ্যের সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়।