বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিরোধী দল ও জোটের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১১ জানুয়ারি ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরে তিন ঘণ্টার বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সাতটি রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।
ভাসানী আনসারী পরিষদের আহ্বায়ক ও জোটের নেতা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল শুক্রবার তাদের গণমিছিল থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘বানোয়াট, মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, প্রতিম দাসসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে ১১ জানুয়ারি তারা সব বিভাগে গণঅবস্থান করবেন।’
ঢাকায় সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান বাবুল।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে গণতন্ত্র মঞ্চ মিছিল বের করে।
মিছিলটি পল্টন মোড় ও বিজয় নগর সড়কের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয়। এ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ভবিষ্যতে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আমরা বলেছি এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হোক। নির্বাচনের আগে এবং তার পরে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে হবে। এর বিকল্প নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে; আমরা ১৪ দফা নিয়ে এসেছি। ইতোমধ্যে একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল একটি আলোচনায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এই দফাগুলো আমাদের যুগপৎ আন্দোলনের ভিত্তি হবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা জনগণের কাছে এগুলো উপস্থাপন করব।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন জাতির জন্য একটি কলঙ্কজনক দিন। এই সরকার রাতের আঁধারে ভোট লুটপাট করে রাষ্ট্রকে বিপর্যস্ত করেছে।
২০১৮ সালের এই দিনে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ ডিসেম্বরকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করছে বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট।
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়কের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপিসহ প্রায় ৩৩টি সমমনা রাজনৈতিক দল আজ রাজধানীতে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করছে।