আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রবিবারের (৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তিনি বলেন, ‘জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর নেতা-কর্মীরা সরকারি বাসভবন গণভবনে দলীয় প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানানোর সময় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও কম ভোটে জয় আ.লীগের
এই বিজয় তার টানা চতুর্থ মেয়াদে এবং সামগ্রিকভাবে পঞ্চম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় একটি চমৎকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের বিদেশি প্রভুদের পরামর্শ মেনে চলায় বাংলাদেশে টিকে থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল। তাদের কিছু ওস্তাদ আছে। তারা বাংলাদেশের জনগণকে চেনে না। এসব ওস্তাদদের পরামর্শ মেনে চললে বাংলাদেশে টিকে থাকা সম্ভব হবে না।’
আরও পড়ুন: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: ঢাকায় ২০ আসনের ৪টি হাতছাড়া আ.লীগের
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো বিদেশি প্রভু নেই, কারণ জনগণই তাদের শক্তি।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র নির্বাচন বানচালের জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করেছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের মধ্যে এই নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমরা প্রমাণ করেছি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী দেশ ও জনগণের কল্যাণে সবকিছু ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের অনেকেই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্বকে কাজে লাগানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
‘জনগণের ম্যান্ডেট মেনে সবকিছু ভুলে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার’ আহ্বানও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনে কিছু রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ জনগণের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘জনগণ যদি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় না চায়, তাহলে আমরা তাদের ম্যান্ডেট দিয়ে তা দেখাব।’
এ প্রসঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর জনগণ দেড় মাসের মধ্যে বিএনপি সরকারকে উৎখাত করেছিল।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষ কখনও অন্যায় মেনে নেয় না।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা তার বড় বোনকে ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।
আরও পড়ুন: ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হতে পারে: নসরুল হামিদ