বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বলেছেন, তাদের দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) জানিয়েছে, তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোলেও সরকার সহিংসতার জন্য উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
রিজভী জানান, তারা বারবার বলছেন তাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে হবে, কিন্তু সরকার সহিংসতার জন্য উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী জানান, তাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ‘তারা (ডিএমপি) জানতে চেয়েছিল যে আমরা অন্য কোনো বিকল্প স্থানে সমাবেশ করব কি না। আমরা তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি যে আমাদের অনুষ্ঠানস্থল এই পার্টি অফিসের (নয়াপল্টন) সামনে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের সংশ্লিষ্ট সাংগঠনিক নেতারা এই সমাবেশ সফল করতে দিন-রাত কাজ করছেন। জনগণকে সংগঠিত করে সমাবেশে আনার জন্য আমরা গণতান্ত্রিক রীতি অনুযায়ী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি।’
এর আগে বুধবার নয়াপল্টনে বিকল্প ভেন্যু দুটির নাম, সমাবেশের প্রত্যাশিত উপস্থিতির সংখ্যা, এর সময়কাল, কোথায় লাউড স্পিকার বসানো হবে এবং অন্য দলের কেউ উপস্থিত থাকবেন কি না-ইত্যাদি তথ্য চেয়ে ডিএমপি বিএনপির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।
এর জবাবে বিএনপিও চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, নয়াপল্টনে সমাবেশ করার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করায় দলের পক্ষে অন্য কোনো স্থানে সমাবেশের আয়োজন করা সম্ভব নয়।
দলটি আরও বলেছে, ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ সমাবেশে অংশ নিতে পারে এবং কর্মসূচি চলাকালীন নয়াপল্টনে অন্য দলের কোনো নেতা-কর্মী সেখানে থাকবে না।
বিএনপি ডিএমপিকে আরও জানিয়েছে, দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হবে এবং অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দলের ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘তারা সংঘাত ও সহিংসতার হুমকি দিচ্ছে। তারা এ দিন (শনিবার) লাঠিসোঁটা বহনের ঘোষণা দেন। তারা (আ.লীগ নেতা) গতকাল (বুধবার) বলেছেন এবং তাদের সাধারণ সম্পাদক কয়েকদিন আগে বলেছেন, এর পরিণতি শাপলা চত্বরের চেয়েও ভয়াবহ হবে। তারা হামলা করার হুমকি দিয়েছেন। এমনকি হামলা করে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছেন।’
তা সত্ত্বেও স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিয়ে তারা এগোচ্ছেন বলে জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, জনসভার আগে সরকার প্রতিদিন ১০০-২০০ বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করছে, যদিও তারা কোনো অনৈতিক ও বেআইনি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত নয়।