এক প্রতিবেদনে আরব টাইমস জানিয়েছে, এমপি শহীদ এবং তার সংস্থা মানব পাচার, ভিসা বিক্রয় ও অর্থ পাচার সম্পর্কিত মামলার সাথে জড়িত থাকায় ওই অ্যাকাউন্টগুলো জব্দ করার আবেদন জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, শহীদের কোম্পানির মূলধন হিসাবে ৩০ লাখ কুয়েতি দিনারসহ ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রায় ৫০ লাখ দিনার রয়েছে।
প্রসিকিউশনের বরাত দিয়ে আরব টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্দেহভাজন ওই অর্থ যাতে তোলা বা স্থানান্তর করা না যায় এবং আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হলে সেগুলো যেন বাজেয়াপ্ত করা যায়, সেজন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মানবপাচার, অর্থপাচার ও কর্মী শোষণের অভিযোগে গত ৬ জুন এমপি শহীদকে গ্রেপ্তার করে কুয়েতের সিআইডি সদস্যরা। তার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত মূর্তজা মামুনকেও আটক করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে এমপি শহীদরে বিরুদ্ধে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশনের কাছে ১২ জন বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
জানা গেছে, পাপুলের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে কর্মী নিয়োগ, রেসিডেন্সি আইনের লঙ্ঘন ও ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ আনা হচ্ছে। দেশটির তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তি আর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব অভিযোগ আনা হবে।
লক্ষীপুর-২ আসনের এমপির বিষয়ে আনা অভিযোগ সম্পর্কে কুয়েতের কাছ থেকে তথ্য পেলে তার বিরুদ্ধে সরকার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।