শনিবার সকাল ৮টায় এসএম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা প্রাঙ্গণে শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এ উৎসব শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরাসহ জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে এসএম সুলতানের সমাধিতে সকাল ১০টায় পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান।
এদিকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন চিত্রশিল্পীদের শিল্পকর্ম এ উৎসবে প্রদর্শন করা হচ্ছে।
উৎসবের প্রথম দিনে চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা, শিশু কর্মশালা, বাউল সঙ্গীত, কবিতা আবৃতি এবং এস এম সুলতানের উপর তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হবে।
দ্বিতীয় দিন জেলা শিল্পকলা একাডেমি মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এদিন একটি অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী হওয়ার কথা রয়েছে।
বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী শেখ মোহাম্মদ সুলতান যিনি এস এম সুলতান নামে বেশি পরিচিত। এসএম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।
সুলতানের শিল্পকর্মের বিষয় ছিল বাংলার কৃষক, জেলে, তাঁতি, কামার, কুমার, মাঠ, নদী, হাওর, বাঁওড়, জঙ্গল, সবুজ প্রান্তর ইত্যাদি। চিত্রাঙ্কনের পাশাপাশি বাঁশি বাজাতে পটু ছিলেন সুলতান। পুষতেন সাপ, ভল্লুক, বানর, খরগোশ, মদনটাক, ময়না, গিনিপিক, মুনিয়া, ষাঁড়সহ বিভিন্ন প্রাণী।
চিত্রশিল্পের খ্যাতি হিসেবে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া ১৯৮২ সালে একুশে পদকসহ ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন তিনি।
১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি এবং ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননায় ভূষিত হন এস এম সুলতান।
নড়াইলের কুড়িগ্রামে শায়িত এসএম সুলতান ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।