সময়ের নিয়ম মেনে দুপুরের খাওয়ার পর এই সময় খিদেও পায়। একান্ত মনের মতো কিছু না হলেও নুডলস বা মুড়ি-তেলেভাজা ঢুকে পড়ছে অনায়াসে। তবে সারা দিনের ডায়টে প্ল্যানকে ভেস্তে দিতে কিন্তু এটুকু অনিয়মই যথেষ্ট। রোল, নুডলস বা মুড়ি-তেলেভাজায় যেটুকু তেল ও ক্যালোরি শরীরে ঢুকছে, তা মাটি করে দিচ্ছে মেদ ঝরানোর সব প্রয়াস।
তার চেয়ে এমন কিছু খাবার দিয়ে বিকেলের প্লেট ভরুন যা মুখরোচকও হয়, খিদেও মেটায় আবার স্বাস্থ্যও ভাল রাখে। বিকালের টিফিনে খাওয়া যায় তেমন কিছু খাবারের সন্ধান রইল-
দই ও ফল: পছন্দে যে কোনো একটা ফল সুন্দর করে কেটে নিন। আপেল ও শসা নিলেও চলবে। এ বার এর উপর থেকে ছড়িয়ে দিন জল ঝরানো টক দই। পিনাট বাটার বালবাসলে তাও মেশাতে পারেন। এই খাবার যেমন পেট ভরায় তেমনই ফল ও দই শরীরে ঢুকে মেদ ঝরাতে সাহায্য করে, সন্ধ্যায় ফল খাওয়া নিয়ে যে অ্যাসিডিটির মিথ রয়েছে তা একেবারেই আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান মানে না।
স্যালাদ: স্যালাড মানেই সেদ্ধ সেদ্ধ সব্জি বা বিস্বাদ ফল একেবারেই নয়। শীতে সেদ্ধ করা গাজর, বিট কুচিয়ে কড়াইশুঁটি মিশিয়ে নিন। এতে টক দই, নুন-গোল মরিচ দিয়ে খেলেও পেট ভরে। অনেকে আবার এর মধ্যে ছোলা সেদ্ধ, হম, কারি পাতা দেন। ডিম সেদ্ধ করে কুরেও দিতে পারেন। এত কিছু করার সময় না পেলে ফল কুচিয়ে চাট মশলা ও দই দই দিয়ে খেলেও একই কাজ হয়।
বাদাম ও বীজ: কাজু, কিশমিশ, আমন্ড, আখরোট, বাদাম তো থাকবেই। এর সঙ্গে শুকনো খোলায় ভাজা সূর্যমুখীর বীজ, ফ্ল্যাক্স সিড মিশিয়ে নিন। বিকেলের দিকে খিদে পেলে ৫০ গ্রাম মতো এই মিশ্রণ খেলেই অনেক ক্ষণ পেট ভরা থাকবে। শরীরের প্রয়োজনীয় ফ্যাটের জোগানও দেবে এটি। এই ফ্যাট মেদ বাড়ায় না, বরং দরকারি ফ্যাটের জোগান দিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখবে।
ছোলা মাখা: লেবুর রস ও ধনে পাতা দিয়ে ছোলা সেদ্ধ মেখে তাতে সেদ্ধ করা ডিম কুচিয়ে মিশিয়ে নিলেও পেট ভরা স্বাস্থ্যকর খাবার পাবেন রোজ।
চিকেন সতেঁ: অলিভ অয়েলে রসুন ফোড়ন দিয়ে, অল্প নুন-হলুদ মাখিয়ে সেদ্ধ করে রাখা চিকেন ফেলে অল্প নেড়েচেড়ে নিয়ে গোলমরিচ ছড়িয়ে খেয়ে নিতে পারেন বিকেলে। প্রোটিনে ঠাসা এই খাবার খেতেও ভাল, পেটও ভরায় আবার স্বাস্থ্যকরও। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা