জেমস বিয়ার্ড ফাউন্ডেশনের 'বেস্ট শেফ ইন দ্য মিড-আটলান্টিক' ক্যাটাগরির সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান শেফ নূর-ই গুলশান রহমান। খাঁটি বাংলাদেশি খাবারের জন্য বিখ্যাত জার্সি সিটির ‘কড়াই কিচেন’-এ শেফ গুলশানের রন্ধনসম্পর্কীয় দক্ষতার প্রমাণ দেখা যায়।
"ফুড অব অস্কার" নামে পরিচিত জেমস বিয়ার্ড ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ডস। আমেরিকায় রন্ধনশিল্পে এ পুরস্কারকে সর্বোচ্চ সম্মান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারগুলো সেরা শেফ এবং রেস্তোঁরাগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে রন্ধনশিল্পে নান্দনিকতা ও নতুনত্বের প্রসার ঘটায়।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, জার্সি সিটিতে কড়াই কিচেন রন্ধনশিল্পের উপযুক্ত জায়গা হিসেবে পরিচিত। খাঁটি বাংলাদেশি স্বাদ ও ঘরোয়া রান্নার জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছে শেফ রহমানের এই রেস্তোরাঁ।
রেস্তোরাঁর পেজ থেকে একটি আবেগঘন পোস্ট দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে বলা হয়, ‘আম্মা আজ জেমস বিয়ার্ড অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছেন!!এটি আমার মা ও আমাদের দুর্দান্ত দলের জন্য কতটা গর্বিত তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। বাংলাদেশি খাবার ও আমার অসম্ভব মেধাবী মায়ের জন্য স্বীকৃতির কী সুন্দর মুহূর্ত। তিনি পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সম্মানের সঙ্গে তার নৈপুণ্য দেখিয়েছেন!’
পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ‘আমার মা মাঝে মাঝে বলতেন, তার নিজেকে একজন প্রতারকের মতো মনে হয়, কারণ তার রান্নাবিষয়ক কোনো আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেই। আম্মা, আপনি দেখিয়েছেন যে এটি রান্নার স্কুল নয়, এটি আবেগ, প্রতিভা, দৃঢ়তা ও ভালোবাসা।
নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়, 'কড়াই কিচেন' একটি বাংলাদেশি বাড়িতে খাওয়ার মতো চমৎকার অভিজ্ঞতা দেয়। রেস্টুরেন্টটিতে শেফ রহমানের তত্ত্বাবধানে প্রস্তুত ভর্তা এবং হালকা তরকারিসহ খাবারের একটি ঘূর্ণায়মান বুফে রয়েছে। ভালোবাসা ও যত্নের সঙ্গে তৈরি ঘরোয়া স্টাইলের বাংলাদেশি খাবারের রেস্তোরাঁ।
১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে, জেমস বিয়ার্ড অ্যাওয়ার্ডস রান্নাবিষয়ক শ্রেষ্ঠত্বের জন্য একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছে। অসাধারণ শেফ বিভাগ, বিশেষত, যারা কেবল রান্নার উচ্চ মান বজায় রাখেন না বরং তাদের সমবয়সীদের ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেন এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেন তাদের সম্মান জানায় এ প্রতিষ্ঠান। শেফ রহমানকে তার নিষ্ঠা ও দক্ষতার কারণেই সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তার হাত ধরেই আমেরিকান রান্নাবিষয়ক শিল্পে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ স্বাদ এসেছে।