আশুলিয়ায় ভ্যানে লাশ স্তূপ করে রাখার ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের শনাক্ত করা হয়েছে।
রবিবার আশুলিয়া থানা পরিদর্শন শেষে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহমদ মুঈদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আমরা নাম প্রকাশ করছি না। খুব শিগগিরই তা আপনাদের জানানো হবে।’
তিনি আরও বলেন, এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ডিবির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখছে। তদন্ত কমিটি নিরলসভাবে কাজ করছে।
তবে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা।
জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেন তার নামে মামলা হবে। 'পুলিশ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।'
তিনি আরও বলেন, শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, অনেক পুলিশ সদস্যকেও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ হত্যা মামলা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মোকাবিলায় প্রধান উপদেষ্টার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দুই পুলিশ সদস্য একটি মরদেহের হাত-পা ধরে আগে থেকেই লাশ ভর্তি একটি ভ্যানের ওপর ছুড়ে মারছে।
পরে এএফপির বাংলাদেশ অফিসের ফ্যাক্টচেকার কদরুদ্দিন শিশির এটিকে আশুলিয়া থানার কাছে একটি জায়গায় চিহ্নিত করেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি করে, যেখানে জড়িত কয়েকজন কর্মকর্তাকেও আশুলিয়া থানায় কর্মরত বলে চিহ্নিত করা হয়।