বৃহস্পতিবার দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় তাকে। বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার কথা ছিল তার।
কিন্তু রবিউল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দেয়ায় তাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা ফের সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করলে সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টায় বিচারক তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর জানান, গত শনিবার রবিউলকে ৬ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার তার রিমান্ড শেষ হয়। সন্ধ্যায় রবিউলকে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তরা ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনওর বাসার নাইটগার্ডকে বেঁধে রেখে পেছন দিকের ভেন্টিলেটর ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং ইউএনও ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমরকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরে তারা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইউএনও ওয়াহিদার অবস্থার অবনতি হলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয় এবং রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
শুক্রবার এ ঘটনায় দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়।
হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় প্রধান আসামিসহ ১০ জন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ।