অন্য চার পুলিশ সদস্য হলেন- উপপরিদর্শক (এসআই) শওকত আলী, কনস্টেবল নূরুল ইসলাম, জমশেদ ও নাজমুল ইসলাম।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আনোয়ার হোসেন জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সিলেট মহাসড়কে আরএফএল কোম্পানির বেস্টবাই শো রুমের ম্যানেজার লুৎফুর রহমান মোটরসাইকেলে করে অলিপুর আসছিলেন। তার সাথে সোহরাব নামে এক আরোহী ছিল। পথে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চায় পুলিশ।
এ সময় মোটরসাইকেল ও লুৎফুর রহমানকে পুলিশের কাছে জিম্মায় রেখে সোহরাব কাগজপত্র আনতে বাড়িতে যান । পরে তিনি আর কাগজপত্র নিয়ে আসেননি।
পরে পুলিশ বেস্টবাইয়ের ম্যানেজার লুৎফুর রহমানকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে হাজতে আটকে টাকা দাবি করেন শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেন। অন্যথায় তাকে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়া হয়।
এক পর্যায়ে লুৎফর সাড়ে ২৮ হাজার টাকা দিয়ে রাতে থানা থেকে বের হন।
এ ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর লুৎফুর রহমান হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যার কাছে অভিযোগ করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার বলেন, অভিযোগের পর গঠিত একটি তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পায়। এমতাবস্থায় শনিবার ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।