শুক্রবার বিকালে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক জিহাদুর রহমানের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
এছাড়া মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও পাঁচ নম্বর আসামি রবিউলকে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে নেয়া হয়েছে। তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার জন্য বিচারকের খাস কামরায় রয়েছেন।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাদেরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় আসামিরা আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তাদের এক এক করে জবানবন্দি রেকর্ড করা হচ্ছে।
এর আগে গত সোমবার তাদের তিনজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান। এছাড়া মামলায় গ্রেপ্তার আরও পাঁচ আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। শনিবার মামলায় রিমান্ডে থাকা আসামি রাজন, আইনুল ও মুহিবুর রহমান রনিকে রিমান্ড শেষে আদালতে নেয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিকালে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার এক দম্পতি। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন যুবক জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে। সেখানে স্বামীকে আটকে রেখে ১৯ বছরের গৃহবধূকে ধর্ষণ করে তারা। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে শাহপরাণ থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে পরেরদিন সকালে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্বামী।