চুনারুঘাটের লস্করপুর ভ্যালির চা শ্রমিক নেতারা এ ছুটির ঘোষণা করেন।
চা শ্রমিকরা বছরে ১৪ দিন স্বেচ্ছাছুটি ভোগ করতে পারেন। সে ছুটি থেকে দুইদিনের এ ছুটি কাটা হবে বলে জানান শ্রমিক নেতারা।
বাগানের সাধারণ শ্রমিকদের মাঝে করোনা আতঙ্ক দেখা দেয়ায় তারা বাগানের সব কাজ বন্ধ রাখার দাইব জানিয়ে আসছিলেন। মালিকদের সায় না পাওযায় বাগানের কাজ সচল রাখা হয়।
এ নিয়ে বাগান মালিকদের সাথে শ্রমিক নেতাদের কয়েক দফা বৈঠক হলে কর্তৃপক্ষ বাগানের কাজ চালু রাখেন।
এরই প্রেক্ষিতে সোমবার শ্রমিক নেতাদের এক জরুরি বৈঠকে মঙ্গলবার ও বুধবার ‘স্বেচ্ছা ছুটি’ ঘোষণা করা হয়।
শ্রমিক নেতা মাখন গোস্বামী বলেন, সরকার যেখানে ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সেখানে বাগান শ্রমিকদের এখনও সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কাজ করাচ্ছে মালিকরা।
তিনি বলেন, চুনারুঘাট উপজেলায় ডানকান ব্রাদার্স, ন্যাশনাল টি কোম্পানি ও ব্যক্তিমালাকাধীন ছোট বড় চা বাগান রয়েছে ২৩টি। এতে নিয়মিত শ্রমিক রয়েছেন ৩৫ হাজার। শ্রমিকদের পরিবারগুলোতে মানুষ রয়েছে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় লাখের উপরে।
চা বাগানগুলোতে করোনাবাইরাস বিষয়ক সতর্কতা এখনো জারি করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, চা বাগানে স্বাস্থ্য কর্মীসহ জনপ্রতিনিধিরা করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক কোনো প্রদক্ষেপ নেয়নি। বাগানের অলিগলিতে গড়ে উঠা বিভিন্ন পণ্যের দোকান-পাট গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে। সেই সাথে পাড়া-মহল্লায় মদের দোকানগুলোও উন্মুক্ত থাকে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সত্যজিত রায় বলেন, চা বাগান বন্ধ করার কোনো নির্দেশনা এখনো আসেনি। তবে শ্রমিকদের মাঝে করোনা সতর্কতা বাড়ানোর কাজ চলছে।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান জানান, ইতোমধ্যে চা বাগানে ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হয়েছে। তাদের জন্য বিশেষ বরাদ্দও দেয়া হচ্ছে।