দিনরাত উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলেছেন তিনি। জনগণকে সচেতন করা, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষের খোঁজ-খবর এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও মানুষের মাঝে মাস্ক ও ত্রান বিতরণ করছেন কালীগঞ্জ ইউএনও।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে বাইরে বের হওয়া নিষেধাজ্ঞায় খাদ্য সংকটের আশঙ্কার মধ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও জেলা প্রশাসক আবু জাফরের পরামর্শে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দে উপজেলার চর অঞ্চলসহ ৮টি ইউনিয়নের অস্বচ্ছল এবং হতদরিদ্র পরিবারের কাছে জরুরি ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
ইউএনও রবিউল হাসান বলেন, বাইরে বের হতে না পারলে খাদ্যের সংকট দেখা দেবে নিম্ন আয়ের অনেক পরিবারে। তাই ত্রাণ ও দুর্যোগ শাখার বরাদ্দে প্রতি পরিবারের জন্য ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু ও ১ কেজি ডাল এবং ১ লিটার তেল একটি সবান মিলে একটি প্যাকেট করা হয়েছে। এসব প্যাকেট বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে রবিউল হাসানের তৎপরতা সচেতন মহলেও ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দেশের এমন দুর্যোগময় মুহূর্তে সত্যিই ইউএনও’র ভূমিকা প্রশংসনীয়। দেশের জন্য এ ধরনের নিবেদিতপ্রাণ ইউএনও সব উপজেলায় থাকলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরও বলেন, ‘সমাজকল্যাণমন্ত্রী মহোদয়ের সহযোগিতায় এ উপজেলায় প্রতি মুহূর্তে কাজ করার উৎসাহ পাচ্ছি। তাছাড়া সরকারের প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হিসেবে সরকার আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে তা আমি সাধ্যমত পালন করার চেষ্টা করছি। আমি মনে করি, মানব সেবার উপরে আর কোনো মহৎ কাজ নেই। তাই করোনা পরিস্থিতিতেও সরকারি নির্দেশনা মতে কাজ করে যাচ্ছি।’
করোনার সংক্রমণ রোধে উপজেলার সব নাগরিককে কিছুদিন ঘরে অবস্থান করার আহ্বান জানান তিনি।