শনিবার দুপুরে ৪২ বছর বয়সী ওই নারী জ্বর ও কাশি নিয়ে বাগেরহাট হাসপাতালে এলে চিকিৎসকরা তাকে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করেন।
এর আগে, পুলিশের দুই কনস্টেবলকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল এবং কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির জানান, সম্প্রতি ওই নারী চট্টগ্রাম থেকে বাগেরহাট সদর উপজেলায় তার বাড়িতে আসে।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ৩২ বছর বয়সী এক পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে শুক্রবার রাতে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হয়। নড়াইল জেলায় কর্মরত ওই পুলিশ সদস্যের বাড়ি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায়।
অন্যদিকে, ২২ বছর বয়সী অপর এক পুলিশ কনস্টেবল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে গত বৃহস্পতিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হয়। তিনি বাগেরহাটে কর্মরত।
আইসোলেশনে ভর্তি থাকা দুই পুলিশ সদস্য এবং ওই নারী সুস্থ আছেন। পরীক্ষার জন্য তাদের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, শনিবার পর্যন্ত বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩২ জনসহ এক হাজার ৬৮৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে এক হাজার ৪৫৪ জন হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন।
১ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে তিন হাজার ৮৮২ জন প্রবাসী বাগেরহাটে আসেন।