জেলায় একসাথে ৯শ জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২শ জনের ও সিভিল সার্জনের নির্দেশনায় জেলার ৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১শ জন করে অর্থাৎ আরও ৭শ জনের চিকিৎসা দেয়ার জন্যও প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার দিলীপ কুমার রায় জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধসহ আক্রান্তদের চিকিৎসার স্বার্থে আগে থেকেই ৪টি কেবিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একইসাথে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ও মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আরও বেশি সতর্কতার জন্যে হাসপাতালের সংক্রামক ওয়ার্ডের আরও ৬টি কেবিন প্রস্তুত করা হচ্ছে। অর্থাৎ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চিকিৎসার জন্যে পৃথক ওয়ার্ড করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহ হলেই পৃথক ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। একই সাথে চিকিৎসা প্রার্থী ও চিকিৎসার কাজে নিয়োজিতদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশেষ পোশাকও সংগ্রহ করা হয়েছে।
যশোরের সিভিল সার্জনও সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও সন্দেহভাজন বা আক্রান্ত রোগীদের সর্বোন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বকচরে অবস্থিত বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ৪০টি শয্যা প্রস্তুত রেখেছেন।
চলতি সপ্তাহেই বেনাপোল বন্দরের অচল থার্মাল স্ক্যানারটি সচল হবে জানিয়ে সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন বলেন, সতর্কতার ও সকল প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যে জেলা শহরে একটি পৃথক হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে ৪০টি শয্যাসহ চিকিৎসার জন্যে প্রয়োজনীয় যাবতীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছে। ডাক্তার, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবীরাও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ৭টি উপজেলা হাসপাতালে ১শ’ জন করে ভর্তি রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ টিবি আক্রান্তদের মধ্যে যারা গুরুতর অবস্থায় থাকবেন তাদেরকে সরকারি ব্যবস্থায় খুলনার ফুলবাড়ি গেটস্থ বক্ষব্যাধি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হবে।