প্রস্তুতি
আন্ডার গ্রাউন্ডে গেলে জামায়াত-শিবির মোকাবিলার প্রস্তুতি আছে: আইনমন্ত্রী
নিষিদ্ধের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও দলটির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে মোকাবিলার প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যেতে পারে। আন্ডার গ্রাউন্ডে অনেক দল গেছে। অনেক দলের কী হয়েছে, সেটা আপনারা জানেন। তবে সেটাকে মোকাবিলা করার প্রস্তুতি আমাদের আছে।'
আরও পড়ুন: ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেন কোটা আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক
এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনও আমরা সংশোধন করার ব্যবস্থা করেছি। নিষিদ্ধ করার পরেও তাকে শাস্তি দেওয়া যাবে না এমনটি নয়। হয়তো নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আর সাজার মধ্যে আসবে না।
দলটির সম্পদের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, সেগুলোরও ব্যবস্থা হবে। সেটা আইনে আছে।
দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই দলের অধীনে তারা রাজনীতি করতে পারবে না। বাংলাদেশের কোনো আইনে তারা অপরাধ করলে সেটার বিচার হবে। আপনারা যদি বলেন গণহারে যারা জামায়াত ইসলামীর নতুন কর্মী রয়েছেন, ১৯৭১ এর পরে যারা জন্ম নিয়েছেন তাদের বিচার করা হবে- এরকম গণহারে বিচার করা হবে না।'
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করল সরকার
৪ মাস আগে
‘ডাকাতির প্রস্তুতিকালে’ ৫ যুবক গ্রেপ্তার
নড়াইলে একটি বাড়িতে ‘ডাকাতির প্রস্তুতিকালে’ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সরঞ্জামসহ একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় বলে দাবি পুলিশের।
শুক্রবার দিবাগত রাতে কমলাপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ২ ডাকাত গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তাররা হলেন, নড়াগাতি থানার মুরাদ মোল্যা, কয়রা থানার চরমুখা গ্রামের আব্দুর রউফ, ভোলা সদরের হনি কোরলিয়া গ্রামের মো. সবুজ, খুলনার খালিশপুরের মো. শুভ ও বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার কলশকাঠি গ্রামের মো. আবু সাঈদ মোল্যা।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে আউড়িয়া ইউনিয়নের কমলাপুর কুন্ডুপাড়ায় শ্যামা কুন্ডুর বাড়িতে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্যরা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সরঞ্জামসহ একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রত্যেকেই খুলনার বিভিন্ন এলাকায় বাসা-বাড়িতে ভাড়া থেকে ডাকাতির কার্যক্রম চালাত। এদের কয়েকজনের নামে খুলনা, বাকেরগঞ্জ থানায় ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার ৫
কুমিল্লায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ ডাকাত আটক
৪ মাস আগে
রমজানে সরবরাহ-দাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার প্রস্তুতি চলছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রোজায় ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য সরবরাহ ও দাম নিয়ে যাতে কোনো বিভ্রান্তি না থাকে সেজন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি, আমাদের সবকিছু রমজানকে কেন্দ্র করে। রমজান শুরু হবে ১১ মার্চ। মাস খানেক ধরে আমরা যে চেষ্টা করছি, রমজান শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগে সেটার বাস্তবায়ন হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিতে আগ্রহী মঙ্গোলিয়া: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠক আগামী মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) হবে। আমরা চেষ্টা করব, বৈঠকে দামও নির্ধারণ করতে। সেখানে তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করতে পারব বলে আমরা আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকে বাকি পণ্যগুলোর ইন্ডিকেটিভ (নির্দেশক) মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া যে তারিখে কারখানা থেকে তেল বের হবে, সেই তেলের বোতলে নতুন মূল্য মার্ক করা থাকবে।’
আরও পড়ুন: ২০০৯ সাল থেকে দেশে দৃশ্যমান প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে অপরিশোধিত তেল আমদানি হয়। পরে সেটা পুনর্নির্ধারিত ট্যারিফ অনুসারে খালাস হওয়ার পর কারখানায় উৎপাদিত তেলেরই দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘এটার জন্য একটা সময় লাগে, একটা যৌক্তিক সময় তাদের দিতে হয়। আমরা মঙ্গলবার আপনাদের পুনর্নির্ধারিত মূল্য ও কবে থেকে ভোক্তারা সেই সুবিধা পাবেন, সেটা নির্ধারণ করে জানাব।’
টিটু বলেন, মাঠ পর্যায়ের মনিটরিং থাকবে। যে দিন থেকে ঘোষণা করা হবে, সেদিন থেকে আমাদের কারখানা মূল্য, টিপি ও ভোক্তা পর্যায়ের মূল্য একদিনে পরিবর্তন হবে। আমরা যেদিন নির্ধারণ করব, সেদিন এমআরপি নির্ধারণ করে দেব। এর বেশি দামে কেউ বাজারে বিক্রি করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর জোরালো আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
১০ মাস আগে
তুরাগ তীরে চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা এবারও ছয় দিনে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে।
তাবলিগ জামাত আয়োজিত এই সমাবেশকে সফল ও সার্থক করতে বিশ্ব ইজতমা ময়দানের প্রস্তুতির কাজ চলছে।
দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়া তাবলীগের এক গ্রুপের তিন দিনের ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি আর শেষ হবে ৪ ফেব্রুয়ারি।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু
এরপর ৪ দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে অপর গ্রুপের দ্বিতীয় পর্ব। ১১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
রেওয়াজ অনুযায়ী আখেরি মোনাজাত হবে প্রতি পর্বের ইজতেমার শেষ দিনে।
এছাড়া ইজতেমা ঘিরে কয়েক স্তরে নিরাপত্তার পাশাপাশি কঠোর নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আগামী বছর ২ ও ৯ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা
ইজতেমা ময়দানে বিপুল সংখ্যক মানুষ গাজীপুর, ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে এসে দলে দলে ভাগ হয় স্বেছাশ্রম দিচ্ছেন। নিচু জমি ভরাট, সামিয়ানা টানানো, রাস্তাঘাট মেরামত ও পয়োনিষ্কাশন কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।
তাবলিগের দেশি-বিদেশি মুসল্লিদের বিশাল এই আয়োজনে যাতে কোনো ঘাটতি না থাকে, সেজন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ইজতেমার মুরুব্বিদের সঙ্গে সমন্বয় করে বিশেষভাবে তা তদারকি করা হচ্ছে। এছাড়া সুশৃঙ্খলভাবে ইজতেমার প্রস্তুতি কাজ শেষ করতে জেলা প্রশাসনেরও রয়েছে নানা উদ্যোগ।
কয়েক বছর থেকে তাবলিগের দুই গ্রুপ আলাদা করে একই জায়গায় ইজতেমা করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। এবারো প্রথম পর্যায়ে মাওলানা জোবায়েরপন্থী এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ভারতের মাওলানা সাদপন্থী তাবলিগ জামায়াতের সদস্যরা ইজতেমা করবেন।
আরও পড়ুন: আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শেষ হবে আজ
দুই গ্রুপের ইজতেমায় দেশীয় মুসল্লিদের সঙে বিদেশি মুসল্লিরা এই ময়দানে সমবেত হবেন এবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহকে খুশি করার মাধ্যমে পরকালের চির শান্তির আশায়।
ইজতেমা মাঠে কাজ করতে আসা মুসল্লিরা জানান, ইজতেমা ময়দানের নিচু জমি ভরাট, বিশাল সামিয়ানা টানানো, রাস্তাঘাট মেরামত ও পয়োনিষ্কাশনের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। একইসঙ্গে চলছে ময়দানে খুঁটি পোতা, রাস্তাঘাট মেরামত ও মাঠ সমতল করার কাজ।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিপুল সংখ্যক লোকজন গাজীপুর, ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে তাবলিগ জামাতের সাথীরা ময়দানে এসে স্বেচ্ছাশ্রমে এসব কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমা: রবিবার সকালে আবদুল্লাহপুর-ভোগড়া-কামারপাড়ায় যান চলাচল বন্ধ থাকবে
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার মো. ইব্রাহিম খান জানান, দেশ-বিদেশ থেকে ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও নাশকতারোধে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ছাড়া বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট, ডগ স্কোয়াড, নৌ টহল, বিস্ফোরক দ্রব্য বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দল দায়িত্ব পালন করবে। ইজতেমাস্থলের নিরাপত্তায় আকাশে র্যাবের হেলিকপ্টার টহল থাকবে। ইজতেমাস্থলের নিরাপত্তায় পোশাকে ও সাদাপোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেম মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, এবারো ইজতেমায় আসা লাখ মুসল্লির জন্য অন্যবারের মতো আলাদা করে তৈরি করা হচ্ছে চটের ও টিনশেডের আলাদা ছাউনি। দুই গ্রুপের আলাদা সময়ে ইজতেমা সম্পন্ন করতে যাতে কোনো সমস্যায় না পড়তে হয় তা মাথায় রেখেই চলছে প্রস্তুতি কাজ। ইজতেমা শুরুর আগেই সব ধরনের প্রস্তুতি কাজ সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে অতিবাহিত হচ্ছে দ্বিতীয় দিন
১০ মাস আগে
বিপিএলের দিকে নজর রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তামিম
বাংলাদেশের তারকা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসন্ন আসর সামনে রেখে প্রস্তুতি শুরু করেছেন।
তাই সোমবার (৮ জানুয়ারি) তামিম ইকবালকে মিরপুরের ইনডোর ফ্যাসিলিটিতে অনুশীলন করতে দেখা গেছে।
তামিম ইকবাল শেষ ব্যাটিং করেছেন প্রায় তিন মাস হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত তামিম নিজেই নিয়েছেন: মাশরাফি
তার ফিটনেস নিয়ে উদ্বেগের কারণে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ ও টাইগারদের হয়ে আরও বেশ কয়েকটি ম্যাচে অনুপস্থিতি ছিলেন। যা তার জন্য ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পাওয়ার চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
এরই মধ্যে তামিম ইকবাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। এটি জাতীয় দল থেকে তার দূরে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
গত বছর (২০২৩ সালে) ফিটনেস সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়া তামিম প্রথমে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।
আরও পড়ুন: হঠাৎ দলের দায়িত্ব থেকে নাফিস ইকবালকে অব্যাহতি
তবে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। এরপর ফিরে এলেও টাইগারদের হয়ে মাত্র দুইটি ম্যাচ খেলেছেন তামিম।
ফিটনেস জনিত কারণ দেখিয়ে বিশ্বকাপের সময় নির্বাচকরা তাকে বাদ দিয়েছিলেন।
বিশ্বকাপের প্রাক্কালে এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, তিনি ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করছেন, কিন্তু নির্বাচকরা যতটা গুরুতর বলে মনে করছেন, ততটা গুরুতর নয়।
তিনি বিশ্বকাপে খেলার জন্য তার প্রস্তুতির কথা প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু সেই সুযোগটি বাস্তবায়িত হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘আমি অবশ্যই বিসিবি থেকে পদত্যাগ করিনি এবং আমার কাজের সঙ্গে ছোটভাই তামিমের চলমান পরিস্থিতির কোনো সম্পর্ক নেই’
আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া বিপিএলের আসন্ন আসরে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি ঢাকা ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে ফরচুন বরিশালের প্রতিনিধিত্ব করবেন তামিম।
দুইটি সেঞ্চুরি ও ২৫টি হাফসেঞ্চুরিসহ প্রায় তিন হাজার রান নিয়ে বিপিএলের ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যান তামিম।
আরও পড়ুন: আইসিসির আচরণবিধি ভাঙায় তামিমকে জরিমানা
১১ মাস আগে
কুমিল্লায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ ডাকাত আটক
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে চান্দিনার তীরচর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, আটক ১৩
আটক হওয়া পাঁচ ডাকাত হলো- কুমিল্লা তিতাস উপজেলার হযরত আলী ও মোহাম্মদ হাসাস, চান্দিনা উপজেলার রুহুল আমিন ও মোহাম্মদ কাউছার এবং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোহাম্মদ জহির।
শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, মহাসড়কে যানবাহনে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে একটি দল অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে। এছাড়া ডাকাত দলের বেশ কয়েকজন এসময় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও জানান, এদের কাছ থেকে সাত ধরনের বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও ডাকাতিসহ মামলা রয়েছে। ডাকাতরা মহাসড়কের নির্জন স্থানে চলন্ত যানবাহনে ধারালো রড ছুড়ে চাকা বিকল করত। এতে যানবাহন থেমে গেলে তাতে ডাকাতি করত।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বিজিবি'র অভিযানে ৭০ হাজার ইয়াবা জব্দ, আটক ১
৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
১ বছর আগে
রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্থায়ী ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে।
বুধবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের ৪৩তম বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রোহিঙ্গা সংকটে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রচেষ্টা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।
ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক লুইস গুইন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতির কোনো সুযোগ নেই: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা সংকটে ‘নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখছে’ ইইউ: রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
১ বছর আগে
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি: নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির আলোচনা শুরু
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শনিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১৩টি নিবন্ধিত দল আলোচনায় অংশ নিয়েছে এবং ৩টি দল যোগ দিচ্ছে না। এদিকে ৩টি দল যোগ দেবে কি না তা কমিশনকে জানায়নি। গণতন্ত্রী পার্টিকে আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এখন ভোটার ১১.৯৬ কোটি: ইসি
ইসি প্রতিদিন দুটি সংলাপ সেশন নির্ধারণ করেছে। প্রথমটি আজ সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টায় শেষ হবে এবং অন্যটি বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
দুই দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দিনব্যাপী আলোচনা হচ্ছে। সংলাপের জন্য দলগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা তাদের দ্বারা নিযুক্ত দু’জন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলসহ (জেএসডি) বিএনপি ও এর একাধিক সহযোগী নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারের নির্দেশে সংলাপের নামে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করছে ইসি: বিএনপি
কোনো জোটে না থাকা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিও (সিপিবি) ইসির সংলাপ বয়কট করেছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতো ইসলামী দলগুলো সংলাপ বর্জন করেছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ সংলাপে দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন বলে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ইসিকে সময়মতো নির্বাচন করতে হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি
১ বছর আগে
২৬ সেপ্টেম্বর রোডমার্চের প্রস্তুতি খুলনা জেলা বিএনপির
সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা মহানগরীতে রোডমার্চ করবে বিএনপি। এতে ৫ লাখের বেশি মানুষ অংশ নেবে বলে প্রত্যাশা দলটির।
রোডমার্চের জন্য অনুষ্ঠানস্থল নির্ধারণসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জেলার শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যায়ের বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
খুলনা মহানগরীর প্রবেশপথগুলোতে দুই শতাধিক তোরণ স্থাপন করা হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয় সম্বলিত বিপুল সংখ্যক পোস্টার ও ব্যানার লাগানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আন্দোলন করে আবারও ব্যর্থ হয়ে হতাশ হবেন: বিএনপির উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী
এ ছাড়া নগরীর জিয়া হলে অনুষ্ঠেয় রোডমার্চে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সকাল থেকে মাইকিং-এর মাধ্যমে প্রচারণা শুরু হয়েছে। নগর ও জেলার সাধারণ মানুষের মাঝে ১০ লাখেরও বেশি লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতি অনাস্থা জানাতে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ জড়ো হবেন বলে আশা করছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
খুলনা বিভাগীয় বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে বলে ‘দেশবাসীকে দুঃশাসন থেকে বাঁচাতে’ তারা এই রোডমার্চ করতে যাচ্ছেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শাহিফকুল ইসলাম তুহিন বলেন, বিগত বিভাগীয় ও যুব সমাবেশে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে যে তারা ‘অবৈধ সরকারের’ সঙ্গে নেই।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের মধ্যেও উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোড মার্চটি ঝিনাইদহ থেকে শুরু হয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা শহরের জিয়া হলে গিয়ে শেষ হবে।
খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, অধিকার আদায়ের জন্য জনগণ নিজেরাই এই রোডমার্চে যোগ দেবে।
আরও পড়ুন: ‘মেগা দুর্নীতির’ মাধ্যমে কিছু মানুষ ধনী হয়েছেন: বিএনপি নেতা নজরুল
মঙ্গলবার থেকে বিএনপির ১৫ দিনের কর্মসূচিতে রয়েছে ৫ রোড মার্চ
১ বছর আগে
ভয়, জল্পনা-কল্পনার মধ্যে শুক্রবারের সরকারবিরোধী মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি
দলের এক দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে নানা জল্পনা-কল্পনা ও ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে শুক্রবার নয়াপল্টনে তার পুনর্নির্ধারিত মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
বিএনপি ছাড়াও ৩৭টি সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটও আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ এক দফা দাবি তুলে আদায়ে বিভিন্ন মহানগরীতে পৃথক সমাবেশের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
এছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিনটি সহযোগী সংগঠন- যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ-এরও নয়াপল্টনে বিএনপির অনুষ্ঠানস্থল থেকে ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে সমাবেশ করার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃপক্ষ জনদুর্ভোগ এড়াতে কর্মদিবসে তাদের নির্বাচিত স্থান ব্যবহার করতে না দেওয়ায় তারা শুক্রবার তাদের কর্মসূচি পুনঃনির্ধারণ করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য শান্তি বজায় রাখা এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধ করা একটি কঠিন কাজ হবে। কারণ, বিরোধী দল এবং ক্ষমতাসীন উভয় পক্ষই স্বল্প দূরত্বে এবং একই সময়ে তাদের কর্মসূচি পালন করবে।
নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে দলটি বিরতিহীন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে বলে জল্পনা চলছে বিএনপির মহাসমাবেশের দিকে সবার দৃষ্টি থাকবে।
বিভিন্ন জেলা সংবাদদাতাদের কাছ থেকে ইউএনবি ডেস্কে পৌঁছেছে এমন খবরে জানা গেছে, সমাবেশে যোগ দিতে সড়ক, রেল বা নৌপথে ঢাকায় এসেছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার পরামর্শ ডিএমপির
তবে বিএনপি নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে এবং সমাবেশস্থলে পৌঁছার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, শুক্রবারের মহাসমাবেশের আগে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে দলের ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হোটেলে অভিযান চালিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও সমাবেশ বানচাল করতে বিভিন্ন উসকানি দেওয়ার অভিযোগও করেন।
আগের দিন (বৃহস্পতিবার) ২৩টি শর্তে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনকে যথাক্রমে নয়াপল্টন ও বায়তুল মোকাররমে শুক্রবার সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
পুলিশ কর্তৃপক্ষ জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার তাদের সমাবেশ পিছিয়ে দেওয়ার জন্য উভয় রাজনৈতিক দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপিকে তাদের মহাসমাবেশ কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল ক্রসিং থেকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে সীমিত রাখতে বলা হয়েছে এবং আওয়ামী লীগকে তাদের সমাবেশ মহানগর নাট্যমঞ্চ থেকে মুক্তাঙ্গনে সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
উভয় দলের সমর্থকদের সমাবেশে কোনো লাঠি, বাঁশ ও ব্যাগ বহন না করার আহ্বান জানিয়েছে ডিএমপি।
ডিএমপির অনুমতি পাওয়ার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন এবং কর্মসূচি সফল করতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: মহাসমাবেশের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা রিজভীর
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আব্বাস বিএনপির মহাসমাবেশে ইতিবাচক মনোভাবের জন্য ডিএমপি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে করতে বিএনপিকে যথাযথ সহযোগিতা প্রদানের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আশা করি সমাবেশের পথে জনগণ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের কোনো বাধা থাকবে না।’
বিএনপি নেতা বলেন, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে তাদের মহাসমাবেশ সফল করতে তারা সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
এদিকে, তাদের পুনঃনির্ধারিত মহাসমাবেশের একদিন আগে বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভিড় করে, যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
সন্ধ্যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে আবার জড়ো হতে শুরু করে এবং পরে দলের সিনিয়র নেতার নির্দেশে এলাকা ফাঁকা করে।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিএনপি নেতাদের লাউডস্পিকার ব্যবহার করে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে আগামীকালের সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য দলীয় সমর্থকদের আহ্বান জানাতে দেখা গেছে।
বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখার আয়োজনে দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: পুলিশের নির্দেশনা মেনে বিএনপির নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার নয়াপল্টন ছেড়েছেন
বিএনপির পাশাপাশি বিকাল ৩টায় পুরানা পল্টনে গণতন্ত্র মঞ্চ, ফকিরাপুলে ১২ দলীয় জোট, বিজয়নগরে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, পূর্ব পান্থপথে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, আরামবাগে গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, লেবারপার্টি সমাবেশ করার কথা রয়েছে। একই সময়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণ অধিকার পরিষদ (কিবরিয়া), ফকিরাপুল কালভার্ট রোডে গণ অধিকার পরিষদ (নূর), মালিবাগে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এবং শাহবাগে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
এছাড়া সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এবং বেলা ১১টায় বিজয়নগরে এবি পার্টি সমাবেশ করবে।
এর আগে বুধবার রাতে, পুলিশ কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী বিএনপি বৃহস্পতিবার গোলাপবাগ মাঠে কর্মসূচি করতে রাজি না হওয়ায় শুক্রবার তাদের মহাসমাবেশ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।
বিএনপির পদক্ষেপের পর আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন- ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগও বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।
গত শনিবার ফখরুল তাদের চলমান যুগপৎ সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: মহাসমাবেশের আগে বিএনপির ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার: রিজভী
১ বছর আগে