প্রস্তুতি
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও যথাযথ প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৯ মার্চ) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
এর আগে গত ১৭ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন ও কী ধরনের সুবিধাগুলো পেয়ে থাকেন তা নিয়ে আলোচনা করেন।
আজকের বৈঠকে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উত্থাপিত বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তাদের, বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবস্থার উন্নয়নে তাৎক্ষণিক বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন ড. ইউনূস।
আরও পড়ুন: পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টার আজকের মূল নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে— পুলিশে প্রচলিত ঝুঁকি ভাতার প্রচলিত সিলিং তুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা, পুলিশের জন্য নতুন ৩৬৪টি পিকআপ ও ১৪০টি প্রিজনার ভ্যান কেনার উদ্যোগ নেওয়া, পুলিশের চলমান নির্মাণ প্রকল্পের ৭০ শতাংশের নিচে সম্পাদিত হওয়া প্রকল্পগুলোতে অর্থ ছাড় করা, ভাড়াকৃত ভবনে অবস্থিত ৬৫টি থানার জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ ছাড় করা এবং পুলিশের এসআই ও এএসআই র্যাংকের মোটরসাইকেল কেনার জন্য সুদমুক্ত ঋণের বিষয়টি বিবেচনা করা।
কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে জেলা পুলিশকে শ্রেণিবদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়াও তিনি নিম্ন-কর্মদক্ষতার ইউনিটগুলোর কর্মক্ষমতা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালানোর ওপরও জোর দেন।
৪২ দিন আগে
ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে: ইসি সানাউল্লাহ
আগামী ডিসেম্বরে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ধরে নিয়ে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, চীন, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ইইউ ও তুরস্কের প্রতিনিধিরা।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজনে সবচেয়ে আগের সময়টি ধরে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে, যেটা তাদের আমরা বলেছি। আমাদের অবস্থান এখনো অপরিবর্তিত। আমরা ডিসেম্বর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। অন্য কোনো নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি না।’
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কাজ করছে ইসি: আনোয়ারুল ইসলাম
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয় সেখানেই যদি রাজনৈতিক মতৈক্য গিয়ে দাঁড়ায়, তাহলে পরে এ বছরের শেষ নাগাদ ডিসেম্বর ২০২৫–এ ইলেকশন; আর যদি আরেকটু সংস্কার করার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬–এর জুন নাগাদ ইলেকশন করা সম্ভব।’
বৈঠকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সানাউল্লাহ বলেন, একটি প্রশ্ন এসেছিল, দুটো নির্বাচন একসঙ্গে করা যায় কি না। এতে কেমন সময় লাগতে পারে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, সব কটি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন ধাপে ধাপে করতে গেলে এক বছর সময় লেগে যায়।
‘পুরোপুরি এভাবে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন করতে হলে জাতীয় নির্বাচনের সময় পিছিয়ে যাবে। জাতীয় নির্বাচন এখন নির্বাচন কমিশনের অগ্রাধিকার। নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচন নিয়েই এ মুহূর্তে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের, সেটা সেভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত।’
আরও পড়ুন: এনআইডির তথ্য ফাঁস: ৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্যের প্রমাণ পেয়েছে ইসি
সরকার জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিলে নির্বাচন কমিশন তা বাস্তবায়ন করবে বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার।
আরেক প্রশ্নের জবাবে সানাউল্লাহ বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে, কোন কোন প্রতিষ্ঠানের হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তখন ইসি বলতে পারবে, এটা জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কি না। তার আগে এটি বলা সম্ভব নয়।
৭৮ দিন আগে
জব্দ অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা উদ্ধারের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএফআইইউ
সন্দেহজনক লেনদেন ও অর্থপাচারের মাধ্যমে জমা হওয়া ১৫ হাজার কোটি টাকা উদ্ধারে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাড়ে ৩৫০টির বেশি অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে।
জব্দ করা অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর পাশাপাশি বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও রয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত বিভাগ এবং বিএফআইইউর নির্দেশে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আপসহীন অবস্থানে সরকার
বিএফআইইউ সূত্র জানায়, অর্থপাচার রোধ ও পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএফআইইউর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, 'এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রভাবশালী কোনো ব্যবসায়ী গ্রুপের বিরুদ্ধে পাচারের তথ্য প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেওয়া হবে না।’
এই কর্মকর্তা ইঙ্গিত দেন যে, এই পদক্ষেপের ফলে দেশে ব্যবসায়ের মালিকানা পরিবর্তিত হতে পারে, পাচার হওয়া অর্থ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএফআইইউ প্রধান পদে সাক্ষাৎকার নিয়ে উদ্বেগ
আইনি কাঠামো ও চ্যালেঞ্জ
বিএফআইইউর সাবেক প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, তদন্ত চলাকালীন ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট সর্বোচ্চ সাত মাস সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করতে পারে। যদি কোনো মামলা দায়ের করা হয়, তবে আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে দিতে পারে।
হাসান বলেন, 'বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার একটি জটিল প্রক্রিয়া, তবে সরকার-টু-সরকারের চুক্তি এটি সহজ করতে পারে।’
তিনি উল্লেখ করেন যে, আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের বিধিবিধান প্রায়ই সম্পদ পুনরুদ্ধারকে জটিল করে তোলে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি আন্তর্জাতিক আদালতে প্রমাণ করতে পারে যে, ওই অর্থ অবৈধভাবে অর্জিত হয়েছে, তাহলে তা উদ্ধার করা কিছুটা সহজ হবে।’
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি বিশেষজ্ঞদের
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরি আন্তর্জাতিক আর্থিক আইনের জটিলতা নিরসনে একটি শক্তিশালী আইনি দলের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত পেতে সরকারের দৃঢ় সংকল্প ও ধৈর্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী আইনি লড়াইয়ের দল দরকার।’
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অর্থ পাচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এ প্রথা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রথমে দেশের অভ্যন্তরে টাকা সরিয়ে নেওয় হয়, তারপর বিদেশে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে এবং এটি প্রতিরোধে একটি কার্যকরী পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রয়োজন।’
স্থগিত অ্যাকাউন্ট এবং পরবর্তী পদক্ষেপ
সূত্র জানায়, স্থগিত করা অ্যাকাউন্টগুলোর বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই অ্যাকাউন্টগুলো আইনগতভাবে মালিকদের মালিকানায় রয়েছে।
মুজেরি পরামর্শ দেন, বাজেয়াপ্ত তহবিলগুলো অভিযুক্তদের কর্মের দ্বারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিএফআইইউ এখন সিআইডি, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং কর গোয়েন্দাদের সঙ্গে প্রমাণ সংগ্রহ এবং আইনি মামলা পরিচালনার জন্য কাজ করছে। এই পদক্ষেপটি অর্থ পাচার মোকাবিলা এবং চুরি হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার
১০০ দিন আগে
যশোরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কাউন্সিলরসহ আটক ৪
যশোরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কাউন্সিলর ও সাবেক সেনা সদস্যসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি ও ১টি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।
শহরের শেখহাটি হাইকোর্ট মোড় এলাকায় রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
আটকরা হলেন- যশোরের নতুন খয়েরতলা এলাকার মো. মিজানুর রহমান, চুড়ামনকাঠি এলাকার ফিরোজ আহম্মেদ, চৌগাছা উপজেলার চৌগাছা বিশ্বাস পাড়ার মো. গোলাম মোস্তফা ও পুড়াপাড়ার মো. রকি বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: সিলেটে এক রাতে ৩ বাড়িতে ডাকাতি
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন সন্ত্রাসীরা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরপর ডিবি পুলিশের একটি দল রাত ১টার দিকে ওই অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদলের সদস্যরা একটি মাইক্রোবাসে করে পালানোর চেষ্টাকালে ৪ জনকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, আটকদের মধ্যে গোলাম মোস্তফা চৌগাছা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মিজানুর রহমান অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য।
১২১ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার নির্বাচন কমিশনের
দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে উৎসবমুখর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এরই মধ্যে একটি সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনি সামগ্রী কেনার প্রক্রিয়া শুরু করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
হালনাগাদ ও শক্তিশালী ভোটার তালিকা নিশ্চিত করতে মার্চের পরিবর্তে জানুয়ারিতে নাগরিকদের ঘরে ঘরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ অভিযান দ্রুত বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনাও চলছে।
বৃহস্পতিবার(১৯ ডিসেম্বর) সিইসির সভাপতিত্বে কমিশনের তাৎক্ষণিক বৈঠকে এসব সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বৈঠকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
সুবিন্যস্ত ক্রয়ের সময়সীমা
ইসি মনে করে, সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে সচিবালয় প্রয়োজনীয় সব উপকরণ নিশ্চিত করতে পারবে।
কর্মকর্তারা সময়সীমা মেনে চলার জন্য সূক্ষ্ম পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
বৈঠকে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় মজুদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। এখন পর্যন্ত ইসির রয়েছে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, অমোচনীয় কালির কলম, অফিসিয়াল এবং মার্কিং সিল, স্ট্যাম্প প্যাড, চার্জার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনি বক্তব্য হতাশাজনক: ফখরুল
প্রত্যাশিত প্রয়োজনীয়তার বিপরীতে বিদ্যমান মজুদের পর্যালোচনা ক্রয় প্রক্রিয়াটির তাৎপর্যকে জোর দিয়েছে।
অমোচনীয় কালি, একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা অবশ্যই আমদানি করতে হবে। এটি সরবরাহের জন্য সাধারণত ৭০ দিন পর্যন্ত সময় দরকার হয়। তবে ইসি উল্লেখ করেছে যে কিছু ঠিকাদার অতীতে প্রক্রিয়াটি দ্রুত করেছে, যা একটি দক্ষ পরিবর্তনের আশা জাগিয়েছে।
নির্বাচনের সময়সীমার সঙ্গে মেলানো
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ২০২৫ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২৬ সালের শুরুতে ১৩তম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এর জবাবে সিইসি এ এম এম নাছির উদ্দিন ইসি কর্মকর্তাদের এই নির্ধারিত সময়সীমার সঙ্গে প্রস্তুতি সমন্বয় করার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে ইসি
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতার ওপর আস্থা প্রকাশ করে সিইসি বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাবিত সময়সীমা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত থাকব।’
ভোটার তালিকা হালনাগাদ
নির্বাচন কমিশণ ভোটার তালিকার বার্ষিক হালনাগাদ ত্বরান্বিত করতে প্রস্তুত।
ঐতিহ্যগতভাবে, ২ জানুয়ারি একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে জনগণের প্রতিক্রিয়া আহ্বান করা হয়। এরপর ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে যেকোনো অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়।
তথ্য সংগ্রহ অভিযানের প্রস্তাবিত আগাম শুরু সঠিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভোটার তালিকা নিশ্চিত করতে ইসির অঙ্গীকারকে তুলে ধরে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে চারজন নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠু প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার অঙ্গীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: ইসিতেই এনআইডি নিবন্ধনের কাজ রাখার দাবি কর্মকর্তাদের
১৩২ দিন আগে
নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে ইসি
নির্বাচনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য অনির্ধারিত বৈঠকে বসেছিল নতুন নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে দেশের ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
বৈঠকে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে কমিশন পুরোপুরি প্রস্তুত: সিইসি
গত ২ নভেম্বর সাবেক সচিব এ এম এম নাছির উদ্দিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
অন্য কমিশনাররা হলেন-সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমদ এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
১৩২ দিন আগে
আন্ডার গ্রাউন্ডে গেলে জামায়াত-শিবির মোকাবিলার প্রস্তুতি আছে: আইনমন্ত্রী
নিষিদ্ধের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও দলটির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে মোকাবিলার প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যেতে পারে। আন্ডার গ্রাউন্ডে অনেক দল গেছে। অনেক দলের কী হয়েছে, সেটা আপনারা জানেন। তবে সেটাকে মোকাবিলা করার প্রস্তুতি আমাদের আছে।'
আরও পড়ুন: ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেন কোটা আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক
এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনও আমরা সংশোধন করার ব্যবস্থা করেছি। নিষিদ্ধ করার পরেও তাকে শাস্তি দেওয়া যাবে না এমনটি নয়। হয়তো নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আর সাজার মধ্যে আসবে না।
দলটির সম্পদের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, সেগুলোরও ব্যবস্থা হবে। সেটা আইনে আছে।
দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই দলের অধীনে তারা রাজনীতি করতে পারবে না। বাংলাদেশের কোনো আইনে তারা অপরাধ করলে সেটার বিচার হবে। আপনারা যদি বলেন গণহারে যারা জামায়াত ইসলামীর নতুন কর্মী রয়েছেন, ১৯৭১ এর পরে যারা জন্ম নিয়েছেন তাদের বিচার করা হবে- এরকম গণহারে বিচার করা হবে না।'
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করল সরকার
২৭২ দিন আগে
‘ডাকাতির প্রস্তুতিকালে’ ৫ যুবক গ্রেপ্তার
নড়াইলে একটি বাড়িতে ‘ডাকাতির প্রস্তুতিকালে’ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সরঞ্জামসহ একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় বলে দাবি পুলিশের।
শুক্রবার দিবাগত রাতে কমলাপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ২ ডাকাত গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তাররা হলেন, নড়াগাতি থানার মুরাদ মোল্যা, কয়রা থানার চরমুখা গ্রামের আব্দুর রউফ, ভোলা সদরের হনি কোরলিয়া গ্রামের মো. সবুজ, খুলনার খালিশপুরের মো. শুভ ও বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার কলশকাঠি গ্রামের মো. আবু সাঈদ মোল্যা।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে আউড়িয়া ইউনিয়নের কমলাপুর কুন্ডুপাড়ায় শ্যামা কুন্ডুর বাড়িতে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্যরা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সরঞ্জামসহ একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রত্যেকেই খুলনার বিভিন্ন এলাকায় বাসা-বাড়িতে ভাড়া থেকে ডাকাতির কার্যক্রম চালাত। এদের কয়েকজনের নামে খুলনা, বাকেরগঞ্জ থানায় ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার ৫
কুমিল্লায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ ডাকাত আটক
২৭৭ দিন আগে
রমজানে সরবরাহ-দাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার প্রস্তুতি চলছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রোজায় ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য সরবরাহ ও দাম নিয়ে যাতে কোনো বিভ্রান্তি না থাকে সেজন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি, আমাদের সবকিছু রমজানকে কেন্দ্র করে। রমজান শুরু হবে ১১ মার্চ। মাস খানেক ধরে আমরা যে চেষ্টা করছি, রমজান শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগে সেটার বাস্তবায়ন হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিতে আগ্রহী মঙ্গোলিয়া: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠক আগামী মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) হবে। আমরা চেষ্টা করব, বৈঠকে দামও নির্ধারণ করতে। সেখানে তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করতে পারব বলে আমরা আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকে বাকি পণ্যগুলোর ইন্ডিকেটিভ (নির্দেশক) মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া যে তারিখে কারখানা থেকে তেল বের হবে, সেই তেলের বোতলে নতুন মূল্য মার্ক করা থাকবে।’
আরও পড়ুন: ২০০৯ সাল থেকে দেশে দৃশ্যমান প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে অপরিশোধিত তেল আমদানি হয়। পরে সেটা পুনর্নির্ধারিত ট্যারিফ অনুসারে খালাস হওয়ার পর কারখানায় উৎপাদিত তেলেরই দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘এটার জন্য একটা সময় লাগে, একটা যৌক্তিক সময় তাদের দিতে হয়। আমরা মঙ্গলবার আপনাদের পুনর্নির্ধারিত মূল্য ও কবে থেকে ভোক্তারা সেই সুবিধা পাবেন, সেটা নির্ধারণ করে জানাব।’
টিটু বলেন, মাঠ পর্যায়ের মনিটরিং থাকবে। যে দিন থেকে ঘোষণা করা হবে, সেদিন থেকে আমাদের কারখানা মূল্য, টিপি ও ভোক্তা পর্যায়ের মূল্য একদিনে পরিবর্তন হবে। আমরা যেদিন নির্ধারণ করব, সেদিন এমআরপি নির্ধারণ করে দেব। এর বেশি দামে কেউ বাজারে বিক্রি করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর জোরালো আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
৪৩৭ দিন আগে
তুরাগ তীরে চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা এবারও ছয় দিনে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে।
তাবলিগ জামাত আয়োজিত এই সমাবেশকে সফল ও সার্থক করতে বিশ্ব ইজতমা ময়দানের প্রস্তুতির কাজ চলছে।
দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়া তাবলীগের এক গ্রুপের তিন দিনের ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি আর শেষ হবে ৪ ফেব্রুয়ারি।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু
এরপর ৪ দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে অপর গ্রুপের দ্বিতীয় পর্ব। ১১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
রেওয়াজ অনুযায়ী আখেরি মোনাজাত হবে প্রতি পর্বের ইজতেমার শেষ দিনে।
এছাড়া ইজতেমা ঘিরে কয়েক স্তরে নিরাপত্তার পাশাপাশি কঠোর নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আগামী বছর ২ ও ৯ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা
ইজতেমা ময়দানে বিপুল সংখ্যক মানুষ গাজীপুর, ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে এসে দলে দলে ভাগ হয় স্বেছাশ্রম দিচ্ছেন। নিচু জমি ভরাট, সামিয়ানা টানানো, রাস্তাঘাট মেরামত ও পয়োনিষ্কাশন কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।
তাবলিগের দেশি-বিদেশি মুসল্লিদের বিশাল এই আয়োজনে যাতে কোনো ঘাটতি না থাকে, সেজন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ইজতেমার মুরুব্বিদের সঙ্গে সমন্বয় করে বিশেষভাবে তা তদারকি করা হচ্ছে। এছাড়া সুশৃঙ্খলভাবে ইজতেমার প্রস্তুতি কাজ শেষ করতে জেলা প্রশাসনেরও রয়েছে নানা উদ্যোগ।
কয়েক বছর থেকে তাবলিগের দুই গ্রুপ আলাদা করে একই জায়গায় ইজতেমা করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। এবারো প্রথম পর্যায়ে মাওলানা জোবায়েরপন্থী এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ভারতের মাওলানা সাদপন্থী তাবলিগ জামায়াতের সদস্যরা ইজতেমা করবেন।
আরও পড়ুন: আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শেষ হবে আজ
দুই গ্রুপের ইজতেমায় দেশীয় মুসল্লিদের সঙে বিদেশি মুসল্লিরা এই ময়দানে সমবেত হবেন এবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহকে খুশি করার মাধ্যমে পরকালের চির শান্তির আশায়।
ইজতেমা মাঠে কাজ করতে আসা মুসল্লিরা জানান, ইজতেমা ময়দানের নিচু জমি ভরাট, বিশাল সামিয়ানা টানানো, রাস্তাঘাট মেরামত ও পয়োনিষ্কাশনের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। একইসঙ্গে চলছে ময়দানে খুঁটি পোতা, রাস্তাঘাট মেরামত ও মাঠ সমতল করার কাজ।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিপুল সংখ্যক লোকজন গাজীপুর, ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে তাবলিগ জামাতের সাথীরা ময়দানে এসে স্বেচ্ছাশ্রমে এসব কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমা: রবিবার সকালে আবদুল্লাহপুর-ভোগড়া-কামারপাড়ায় যান চলাচল বন্ধ থাকবে
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার মো. ইব্রাহিম খান জানান, দেশ-বিদেশ থেকে ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও নাশকতারোধে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ছাড়া বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট, ডগ স্কোয়াড, নৌ টহল, বিস্ফোরক দ্রব্য বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দল দায়িত্ব পালন করবে। ইজতেমাস্থলের নিরাপত্তায় আকাশে র্যাবের হেলিকপ্টার টহল থাকবে। ইজতেমাস্থলের নিরাপত্তায় পোশাকে ও সাদাপোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেম মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, এবারো ইজতেমায় আসা লাখ মুসল্লির জন্য অন্যবারের মতো আলাদা করে তৈরি করা হচ্ছে চটের ও টিনশেডের আলাদা ছাউনি। দুই গ্রুপের আলাদা সময়ে ইজতেমা সম্পন্ন করতে যাতে কোনো সমস্যায় না পড়তে হয় তা মাথায় রেখেই চলছে প্রস্তুতি কাজ। ইজতেমা শুরুর আগেই সব ধরনের প্রস্তুতি কাজ সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে অতিবাহিত হচ্ছে দ্বিতীয় দিন
৪৬৭ দিন আগে