সোমবার রাতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপির) উপ-কমিশনার (ডিবি, পশ্চিম) মো. মনজুর মোর্শেদ জানান, তদন্তে অভিযুক্ত হওয়ায় এসআই হেলালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
তিনি জানান, এসআই হেলাল কাউকে কিছু অবহিত না করে, থানার জিডি বইতে কিছু না লিখে সাদা পোশাকে ঘটনাস্থলে যান। সাথে অন্য কোনো পুলিশ সদস্যকে নেননি। সিনিয়র অফিসারদের মৌখিকভাবেও কিছু জানাননি। এভাবে সাদা পোশাকে অভিযানে যাওয়ার নিয়ম নেই। এরপর সেখানে গিয়ে এসআই হেলাল সৃষ্ট পরিস্থিতি সামালের পরিবর্তে মারামারি শুরু করে দেন।
ওসি সদীপের বিষয়ে মনজুর মোর্শেদ বলেন, ‘যেহেতু উনার কমান্ড কন্ট্রোলের একজন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছেন, আমাদের মনে হয়েছে এতে তার ঘাটতি আছে। অধস্তন অফিসারের শৃঙ্খলাপূর্ণ আচরণ নিশ্চিত এবং নিয়ন্ত্রণে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তাই ওসি সদীপ কুমার দাশকে শোকজ করা হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে হবে।’
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাদামতলী মোড় এলাকায় এসআই হেলাল তার দুই সোর্সকে সাথে নিয়ে কিশোর মারুফকে ধরতে গেলে মারুফ তাদের চিনতে না পেরে এসআই হেলালের সাথে বির্তকে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তার মা-বোন এসে পুলিশের কাছ থেকে মারুফকে ছাড়িয়ে নিতে হাতাহাতি শুরু করেন। এক পর্যায়ে এসআই হেলালের হাত থেকে মারুফ পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ ও সোর্স মিলে মারুফের মা-বোনের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আটক করে নিয়ে যায়। এ খবর শুনে কিশোর মারুফ চাচার ঘরে গিয়ে গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করে।