এর আগে, শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে গাজীপুরের নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহম্মেদ রোজীকে (৪০) গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-১) সদস্যরা।
শনিবার গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার এসআই সাখাওয়াৎ হোসেন ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
আরও পড়ুন: অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়: চট্টগ্রামে পুলিশের ৬ সদস্য রিমান্ডে
বগুড়ায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, মামলা দায়েরের পর অপর আসামি নূরুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহম্মেদ রোজীকে মামলার প্রধান আসামি ও আরও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহম্মেদ রোজী চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় রহমান শপিং মলে তার পরিচালিত ‘আনন্দ বিউটি পার্লারে’ মামলার বাদী কিশোরীকে চাকরি দেন। কিছু দিন পর প্রায় তিন মাস আগে ওই এলাকার গ্রেটওয়াল সিটিতে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন এই নারী কাউন্সিলর। সেখানে রেখে ওই কিশোরীকে দিয়ে বিউটি পার্লারের কাজ করানো হতো। পাশাপাশি তাকে ‘কাজের মেয়ে’ পরিচয় দিয়ে ঘরে বিভিন্ন কাজ করানো হতো। এজাহারে আরও বলা হয়, গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আসামি নুরুল হকের সহযোগিতায় প্রধান আসামি ওই ফ্ল্যাটে তাকে দিয়ে যৌনকর্মীর কাজ করতে বাধ্য করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভারতীয় জুয়াড়ি সন্দেহে গ্রেপ্তার তিনজন রিমান্ডে
মদপানে মৃত্যু: বগুড়ায় গ্রেপ্তার চারজন রিমান্ডে
অর্থপাচারকারী পিকে হালদারের বান্ধবী ৩ দিনের রিমান্ডে
একাধিকবার নারী কাউন্সিলরের বাসা থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে আটকে রেখে এসব কাজ করতে বাধ্য করা হয়।
পরে, গত মঙ্গলবার সকালে কৌশলে পালিয়ে গিয়ে বাসন থানায় মামলা করেন ওই কিশোরী। মামলা হওয়ার পর থেকে মহিলা কাউন্সিলর রোকসানা আহম্মেদ রোজী পলাতক ছিলেন।
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানায় মঙ্গলবার ওই কিশোরী বাদী হয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রোকসানা আক্তার রোজীকে প্রধান আসামি এবং অপর দুইজনের নাম উল্লেখ করে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার পর থেকেই পলাতক ছিলেন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রোজী।