কাদের ওই মামলার ৯ নম্বর আসামি। তবে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের আটদিন পার হলেও ঘটনার অভিযুক্ত অন্য আসামিরা এখনো অধরাই রয়ে গেছে।
আসামি আবদুল কাদের গ্রেপ্তার হয়েছিলেন হত্যাকাণ্ডের দিনই। তিনি সদর দক্ষিণ থানার কালিকিংকরপুর গ্রামের আলী আজমের ছেলে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১১ নভেম্বর নগরীর চৌয়ারায় যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। ঘটনার পরদিন তার ভাই ইমরান হোসেন চৌধুরী সদর দক্ষিণ থানায় ৩৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি আবদুল কাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর দক্ষিণ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক খালেকুজ্জামান।
কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর ৯ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক মো.জালাল উদ্দিন আবেদনের শুনানি শেষে আসামি আবদুল কাদেরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, ‘আমরা মামলাটি অত্যান্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। মামলার ৯ নম্বর আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। শিগগিরই তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
‘আশা করছি জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে হত্যায় জড়িতদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবো। এছাড়াও আমরা হত্যায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি,’ বলেন তিনি।
মামলার বাদী ও নিহত জিল্লুর রহমানের ছোট ভাই ইমরান হোসেন চৌধুরী বলেন, পুলিশ ঘটনার মূলহোতাসহ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা চালাচ্ছে না। আমাদের পুরো পরিবার আসামিদের ভয়ে এখনো তটস্থ।