স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর সব ধরনের বর্জ্য অপসারণ ও কোরবানির স্থান পরিস্কার করতে হবে। কোরবানির পরের দিনের সূর্যোদয়ের আগেই সব ধরনের বর্জ্য সরিয়ে ফেলতে হবে।
দেখা গেছে, ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য সরানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে আসন্ন ঈদুল উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুতি, পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিতকল্পে প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানিবিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি এবং পশু জবাইয়ের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্থান নির্ধারণ করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর এলাকাভিত্তিক পশুর হাট ও পশু কোরবানির নির্দিষ্ট স্থানের তালিকা জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে ব্যাপকভাবে প্রচার করবে।
প্রতারণারোধে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেগুলো উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের সকল কোরবানি পশুর হাটে জাল টাকা সনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এটি বাস্তবায়ন করবে। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংকের সহায়তায় এটিএম বুথ, পয়েন্ট অব সেলস্ মেশিন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে ক্যাশলেস বা নগদ টাকাবিহীন লেনদেনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এই প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের মাঠ প্রস্তুতি, কোরবানির পশুরহাট ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, গাজীপুর সিটি করপোরেশন মেয়র জায়েদা খাতুনসহ আরও অনেকে।