খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্রজনতার ডাকে শেষ দিনের অবরোধ কর্মসূচি চলছে সোমবার। গত দুদিনের মতোই সড়কে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, অবরোধকে কেন্দ্র করে জেলার কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সেই সঙ্গে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে সেখানকার জনজীবন।
ঢাকা, চট্টগ্রাম সড়কে যাতায়াতকারীরা সিএনজি চালিত অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেলে করে খাগড়াছড়ির সীমানা পর্যন্ত যাতায়াত করছেন। এ সুযোগে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা চালকেরা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন অনেকে যাত্রী।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে জুম্মদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টা অবরোধের ডাক
খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, খাগড়াছড়িতে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) হাটবার, হাটে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এসেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবির টহল চলছে।
জেলার মানিকছড়িতে সড়কের পাশের গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে। এছাড়া গত দুইদিনে জেলার কয়েকটি স্থানে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়েছে।
এদিকে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম।
রাঙ্গামাটির খাগড়াছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, অবরোধের কারণে সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকদের এখনও ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। সেখানে এক হাজারের বেশি পর্যটক আটকে আছেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের গাড়ি ছাড়ছে না।