খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়িতে ৭ বাসে ভাঙচুর
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার বাইলাছড়িতে সাতটি বাসে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা।
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলাকালে সোমবার (২০ নভেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নাটোরে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে দুর্বৃত্তের আগুন
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব চন্দ্র কর জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রবি এক্সপ্রেস, শ্যামলী পরিবহন, শান্তি পরিবহনসহ ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহনের সাতটি বাসে ভাঙচুর চালায় একদল দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় এক যাত্রী আহত হয়েছেন। হামলার সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আরও পড়ুন: ঢাকার মিরপুরে বিআরটিসির দোতলা বাসে আগুন
হরতালে চট্টগ্রামে ৩ বাসে আগুন
খাগড়াছড়িতে কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ডভ্যানে আগুন
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে বুধবার সকালে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার সাপমারা এলাকায় কুরিয়ার সার্ভিসের একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের আগে রাজধানীর মালিবাগে বাসে আগুন
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, ‘সাধারণ মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
ওসি বলেন, অবরোধের সমর্থনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন সড়কে পিকেটিং করতে দেখা গেছে। খাগড়াছড়ি থেকে দূরপাল্লার বাসের টিকিট কাউন্টার খোলা থাকলেও ছেড়ে যায়নি কোনো বাস।
তিনি আরও বলেন, শহর ও শহরতলিতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে। কঠোর পুলিশি ব্যবস্থার কারণে কয়েকটি পণ্যবাহী ট্রাকও শহরে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: মিরপুরে ঢাবি কর্মীদের বহনকারী বিআরটিসি বাসে আগুন
অবরোধ: চট্টগ্রামে চলছে পিকেটিং, দুটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৪ জনকে উদ্ধার
খাগড়াছড়িতে ‘ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সদস্যদের হাতে অপহৃত’ দুটি কাভার্ড ভ্যানের চালকসহ চারজনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের যৌথ বাহিনীর একটি দল তাদের উদ্ধার করে। এর আগে রবিবার রাতে খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের ইউপিডিএফ অপরহরণ করেছিল বলে জানায় যৌথ বাহিনী।
যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- দুটি কাভার্ড ভ্যানের চালক আনোয়ার হোসেন ও মনির মিয়া এবং তাদের সহকারী হান্নান মিয়া ও জায়েদ খান।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, রাত ৯টার দিকে রামগড় উপজেলা থেকে ইউপিডিএফ সদস্যরা বেলায়েতের মালিকানাধীন ‘জয়েন্টফার্ম’থেকে দুটি কাভার্ড ভ্যানসহ চারজনকে অপহরণ করে।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ
পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি যৌথ দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে তাদের সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার করে। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে এই বিষয়ে আরও তদন্ত কার্যক্রম চলছে।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাঙামাটির পাহাড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে অপহৃত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে অপহরণের কয়েক ঘণ্টা পর উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে অপহরণের ৭ ঘণ্টা পর ঢাবি শিক্ষার্থী উদ্ধার
খাগড়াছড়িতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাপলা চত্বর এলাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করার সময় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: আ. লীগের 'শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা' শুরু আজ বিকালে
এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগও একই সময়ে মিছিলের পরিকল্পনা করেছিল।
স্থানীয়রা জানান, শাপলা চত্বর ও আশপাশের এলাকায় তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এসময় ৮টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নির্য়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।
এতে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক নুরুল আজম, মো. আলমাস, কাজরী মারমাসহ ২৫ থেকে ৩০ জন আওয়ামী লীগকর্মী আহত হন। অপর পক্ষে জেলা বিএনপির সমবায় সম্পাদক মো. হোসেন বাবুসহ ২০ থেকে ২৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন।
এদিকে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষের জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা একে অপরকে দায়ী করেছেন।
খাগড়াছড়ি আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, উন্নয়ন মিছিলে অংশ নিতে যাওয়ার পথে বিএনপি ক্যাডাররা লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, তারা খাগড়াছড়ির পৌরসভা ভবনসহ অসংখ্য বাণিজ্যিক ভবন ভাঙচুর করেছে।
খাগড়াছড়ি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মিছিল করতে গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালালে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। আহত কয়েকজনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিরপুর বাঙলা কলেজের সামনে বিএনপির পদযাত্রায় হামলা
এক দফা আন্দোলন: গাবতলী থেকে পুরান ঢাকার দিকে বিএনপির পদযাত্রা শুরু
খাগড়াছড়িতে আ.লীগের ৩৫০ জনেরও বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
খাগড়াছড়িতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাড়ে তিন শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রবিবার খাগড়াছড়ি মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করেন জেলা বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক রতন কুমার ত্রিপুরা।
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম ইসমাইল হোসেনসহ ১০৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে আ.লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির ৫ নেতাকর্মী আহত
অ্যাডভোকেট বেদারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন এবং খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান জানান, এ বিষয়ে তিনি এখনো কোনো সরকারি নির্দেশনা পাননি।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মে শহরে বিএনপির আবদুল্লাহ আল নোমানের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে ডজনখানেক আহত
সিরাজগঞ্জে বিএনপির ১৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে আ.লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির ৫ নেতাকর্মী আহত
খাগড়াছড়িতে শুক্রবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ক্ষেত্রমোহন রোয়াজাসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়ার অভিযোগ, শুক্রবার দুপুর ২টায় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সমাবেশে যোগ দিকে আসার পথে পুলিশের সামনে এ হামলা ঘটে।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে ডজনখানেক আহত
তিনি দাবি করেন, হামলায় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ক্ষেত্রমোহন রোয়াজাসহ ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছে।
খাগড়াছড়ি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম ইসমাইল হোসেন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা গাড়িবহর নিয়ে হামলা চালালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পাল্টা জবাব দিয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, শহরে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ, পদযাত্রা পণ্ড
পটুয়াখালীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশসহ ৩০ জন আহত
খাগড়াছড়ির ভূমিহীনরা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে খুশি
আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় নতুন করে খাগড়াছড়িতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছেন এক হাজার ৪৬৬ পরিবার। এরমধ্যে জেলার সবচেয়ে বেশি ঘর দেয়া হচ্ছে দীঘিনালা উপজেলায়। সেখানে ৩৫০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায় ১৩৬টি, দীঘিনালায় ৩৫০টি, মহালছড়িতে ৮০টি, রামগড়ে ১৩৩টি, পানছড়িতে ১২৭টি, গুইমারায় ৭৫টি, মাটিরাঙ্গায় ১৫০টি, মানিকছড়িতে ২২৫টি ও লক্ষীছড়িতে ১৯০টি হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
সারাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়ালী উদ্বোধনের পর বুধবার সকালে দীঘিনালা উপজেলা অডিটরিয়ামে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘরের চাবি ও জমির কাগজ হস্তান্তর করেন প্রধান অতিথি হিসেবে শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
এসময় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. নাইমূল হক, দীঘিনালা উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী মো. কাশেম, জেলা পরিষদ সদস্য শতরূপা চাকমা, দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা ও সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া জেলার ৯টি উপজেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর উপহার আধা পাকা ঘর পেয়ে খুশি সুবিধাভোগীরা।
আরও পড়ুন: দেশের ৯ জেলার ২১১টি উপজেলা সম্পূর্ণরূপে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
এদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
খাগড়াছড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শনিবার ৩২ বছর বয়সী এক নারী ও তার আট বছরের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
কুলসুম বেগম ও তার মেয়ে ইশরাত জাহান কলি মানিকছড়ির শাহ নগর এলাকার বাসিন্দা।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহনূর আলম বলেন, সন্ধ্যায় কুলসুম ও তার মেয়ে তাদের গরু বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে নিকটবর্তী মাঠে যাওয়ার সময় একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির তারের সংস্পর্শে এলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মা ও মেয়ে দুজনকেই মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয় বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জামালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দাদা-নাতির মৃত্যু
পেরেক খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রাজমিস্ত্রির মৃত্যু
খাগড়াছড়িতে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের মুসলিম পাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ফারহান (২) মুসলিম পাড়া এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে এবং নুসরাত জাহান (দেড় বছর) একই এলাকার নুর আলমের মেয়ে।
আরও পড়ুন: ঘোড়াঘাটে পুকুরে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো.আবদুল আলিম জানান, ‘সকালে পুকুরপাড়ে খেলার সময় এক পর্যায়ে তারা পুকুরের পানিতে পড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে তাদের খোঁজ শুরু হলে পুকুর থেকে তাদের ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন ।
দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা.প্রমেশ চাকমা জানান,‘হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পুকুরে ডুবে কিশোরগঞ্জে ২ শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
খাগড়াছড়িতে একসঙ্গে ৪ সন্তান প্রসব
খাগড়াছড়ি রামগড়ের একসঙ্গে চার সন্তান প্রসব করেছেন গৃহবধূ ফারজানা আক্তার। নবজাতকদের মধ্যে তিনটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি চার সন্তান প্রসব করেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের ৮ বছর পর একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম
গৃহবধু ফারজানা আক্তারের রামগড় পৌরসভার ফেনীরকুল এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেনের স্ত্রী ।
চিকিৎসকেরা জানান, চার নবজাতককে ‘নবজাত নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে’ (এনআইসিইউ) রাখা রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে একসাথে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন গৃহবধূ
আলমগীর হোসেন জানান, শুরু থেকেই তার স্ত্রী চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন। এই সময় তিনি চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: যশোরে হাত-পাবিহীন সন্তানের জন্মগ্রহণ
চিকিৎসক রোকসানা বেগম স্বপ্না বলেন, তার তত্ত্বাবধানে চার শিশুর জন্ম হয়েছে। বিষয়টি তার জন্য ভীষণ আনন্দের। শিশুদের মা সুস্থ আছেন।