খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের ৩ সদস্যকে গুলি করে হত্যা
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) তিন সদস্য নিহত হয়েছেন।
বুধবার উপজেলার শান্তিরঞ্জন পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সিজন চাকমা, শাসন ত্রিপুরা ও জয়েন চাকমা।
ইউপিডিএফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ১০টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের তিন নেতাকর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই নিহত হন তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে যুবককে গুলি করে হত্যা
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, তারা গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন, তবে দুর্গম এলাকায় হত্যাকাণ্ড ঘটায় লাশ উদ্ধার করতে সময় লাগবে।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলায় বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করেছে ইউপিডিএফ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা
৩ সপ্তাহ আগে
খাগড়াছড়িতে মারধরে নিহত শিক্ষকের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসানাত মুহাম্মদ সোহেল রানার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত তিনটার দিকে আইনি সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
লাশ হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তৌফিকুল আলম।
তৌফিকুল আলম বলেন, নিহতের স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যরা খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল থেকে রাতে লাশ গ্রহণ করেছেন। লাশ নিয়ে রাতেই তাদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন। জেলার রামগড় সিমানা পর্যন্ত নিরাপত্তা দিয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
হত্যার ঘটনায় খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১ মাস আগে
সেনাবাহিনীর সহায়তায় খাগড়াছড়িতে ফিরলেন সাজেকে আটকে পড়া ১৪০০ পর্যটক
৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির কারণে সাজেকে আটকে পড়া ১ হাজার ৪০০ পর্যটক সেনাবাহিনীর সহায়তায় খাগড়াছড়িতে ফিরে এসেছেন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এদিকে খাগড়াছড়ির সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সব রুটে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে অবরোধের তৃতীয় দিন, বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার যানবাহন
সেনাবাহিনী সূত্রে আরও জানা যায়, সোমবার রাতে যান চলাচল ঠিক রাখতে স্থানীয় বাসিন্দা ও সেনা সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করেছেন।
সূত্র আরও জানায়, বাঘাইছড়ি জোনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সাজেক রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তায় সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকদের আবাসন ফির ৫০-৭৫ শতাংশ মওকুফ করা হয়েছে।
এর আগে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকাস্থ জুম্ম আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীরা অবরোধের ডাক দেয়। এই বিক্ষোভে সমর্থন জানায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে জুম্মদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টা অবরোধের ডাক
১ মাস আগে
খাগড়াছড়িতে অবরোধের তৃতীয় দিন, বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার যানবাহন
খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্রজনতার ডাকে শেষ দিনের অবরোধ কর্মসূচি চলছে সোমবার। গত দুদিনের মতোই সড়কে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, অবরোধকে কেন্দ্র করে জেলার কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সেই সঙ্গে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে সেখানকার জনজীবন।
ঢাকা, চট্টগ্রাম সড়কে যাতায়াতকারীরা সিএনজি চালিত অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেলে করে খাগড়াছড়ির সীমানা পর্যন্ত যাতায়াত করছেন। এ সুযোগে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা চালকেরা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন অনেকে যাত্রী।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে জুম্মদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টা অবরোধের ডাক
খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, খাগড়াছড়িতে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) হাটবার, হাটে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এসেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবির টহল চলছে।
জেলার মানিকছড়িতে সড়কের পাশের গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে। এছাড়া গত দুইদিনে জেলার কয়েকটি স্থানে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়েছে।
এদিকে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম।
রাঙ্গামাটির খাগড়াছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, অবরোধের কারণে সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকদের এখনও ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। সেখানে এক হাজারের বেশি পর্যটক আটকে আছেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের গাড়ি ছাড়ছে না।
১ মাস আগে
সংঘর্ষের কারণে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে মোবাইল ব্রডব্যান্ড পরিষেবা ব্যাহত: বিটিআরসি
চলমান সংঘর্ষের কারণে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
শনিবার বিটিআরসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী সংঘর্ষে স্থানীয় টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিকেল ৪টার দিকে আগুনের ঘটনার ফলে সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেটের (বিটিসিএল) অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে মোবাইল অপারেটর রবির ১৬টি টাওয়ার নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বন্যাকবলিত ১০ জেলায় ১২৩৫ মোবাইল টাওয়ার অকেজো: বিটিআরসি
এতে আরও বলা হয়, জেলায় রবির প্রায় ১৫০টি টাওয়ার রয়েছে। কিন্তু উত্তেজনাকর পরিস্থিতি চলমান থাকায় সঙ্গে সঙ্গে সেসব টাওয়ার মেরামত করা সম্ভব হয়নি।
শুক্রবার রবি ১৪টি টাওয়ার সচল করতে পেরেছে এবং দুটি টাওয়ার এখনো মেরামত করা যায়নি। শিগগিরই সবগুলো সাইট সচল করা হবে।
খাগড়াছড়ি জেলায় টেলিটকের ৭২টি টাওয়ার রয়েছে। পিডিবি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ২৩টি ও অন্যান্য কারণে আরও ৬টিসহ মোট ২৯টি টেলিটকের টাওয়ার বর্তমানে অচল রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এছাড়া খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সহিংসতায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা সচল রয়েছে বলে দাবি বিটিআরসির। তবে কিছু কিছু এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় স্বল্পসংখ্যক গ্রাহক ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন বএল জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: বকেয়া পাওনা আদায়ে টেলিটক-বিটিসিএল-বিটিআরসির বৈঠক অনুষ্ঠিত
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এলাকায় আিইএসপি অপারেটরদের ক্ষতিগ্রস্ত নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপন ও জেনারেটরের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের কার্যক্রম চলছে। এলাকাগুলোতে ক্রমান্বয়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাও চালু হচ্ছে।
বিটিআরসি থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য বিটিআরসি গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছে।
আরও পড়ুন: বিটিআরসি-বিআইজিএফের সমঝোতা স্মারক সই
২ মাস আগে
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইএসপিআর
খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আইএসপিআর চলমান উত্তেজনা প্রশমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে সম্প্রদায়ের নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:জনগণের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য দোষী সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইএসপিআর
এতে বলা হয়, এই অস্থিরতা তিন পার্বত্য জেলায় সহিংস দাঙ্গায় পরিণত হতে পারে। তাই তিন জেলার জনগণকে শান্ত থাকার এবং শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
এর আগে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলাচল সীমিত করে।
গত বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার ভোরে খাগড়াছড়িতে সহিংস ঘটনায় ৩ জন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'বৈঠকে তরুণ কর্মকর্তাদের অসন্তোষের মুখে সেনাপ্রধান,’ খবর প্রত্যাখান আইএসপিআরের
২ মাস আগে
খাগড়াছড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবায় সেনাবাহিনী
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি অঞ্চলের সদস্যরা।
সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি অঞ্চলের ফাইভ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স দীঘিনালা জোনের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী এ চিকিৎসা সেবার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় পূর্ণ সহায়তা দেবে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এ সময় সেনাবাহিনী ৮০০ দুর্গত মানুষের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়। সেবা কার্যক্রমের আওতায় গাইনি, মেডিসিন, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগের সেবা দেওয়া হয়।
এসময় খাগড়াছড়ি ফাইভ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাকিবুল ইসলাম, দীঘিনালা জোন কমান্ডার কর্নেল ওমর ফারুক চিকিৎসা সেবা পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া কর্নেল ডা. সেতারা, মেজর ডা. আসিফ রুবায়েত, মেজর ডা. সাবিনা, ক্যাপ্টেন ডা. রাকিব, ডা. আশুতোষ চাকমা সার্বক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করেন।
এতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি খাগড়াছড়ি জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা এই কার্যক্রমে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্যার্তদের চিকিৎসা দেবে ১৪ স্বাস্থ্য ক্যাম্প
সাম্প্রতিক আন্দোলনে আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে সরকারি হাসপাতাল: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
২ মাস আগে
খাগড়াছড়িতে কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধস,বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং
খাগড়াছড়িতে টানা ভারী বর্ষণে বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করছে প্রশাসন।
পাহাড় ধসের ঘটনাগুলোর মধ্যে সোমবার (১ জুলাই) জেলা শহরের মধ্য শালবন এলাকায় রান্না ঘরের উপর পাহাড় ধ্বসে পড়ে। এতে স্থানীয় বেলালের রান্নাঘরটি ভেঙে গেছে।
এছাড়া সদরের কমলছড়ি ইউনিয়নের ভুয়াছড়ি এলাকার সড়কের উপর পাশের পাহাড় ধসে পড়ে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে ঐ এলাকার সড়ক পথের চলাচল। এছাড়াও বেশ কয়েকটি স্থানে ছোট ছোট পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ির মায়ুং কপাল, হাতিমুড়া বা হাতি মাথা ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয়েছে। চেঙ্গি, মাঈনি এবং ফেনী নদীর পানি বেড়েছে। বৃষ্টিপাত চলতে থাকলে গঞ্জপাড়া, মুসলিম পাড়া, দীঘিনালার মেরুং ও মহালছড়ির নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
জেলায় পাহাড়ের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলার সবুজবাগ, শালবাগান, কুমিল্লাটিলা, কলাবাগানসহ শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় ধসের শঙ্কা করছে প্রশাসন।
ঝুকিপূর্ণ বাসিন্দাদের বিভিন্নভাবে সচেতন করার চেষ্টা করছে প্রশাসন।
এদিকে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
সকাল থেকে শালবন, মোহাম্মদপুর, সবুজবাগ ও কুমিল্লাটিলা ঘুরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীতে সরিয়ে নিতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা।
এ দিকে, ভারী বর্ষণে সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি মহালছড়ি সড়কের মহালছড়ির চব্বিশ মাইলে সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে রাঙ্গামাটির সঙ্গে খাগড়াছড়ির যান চলাচল বন্ধ।
পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়ছে জেলার নদ-নদীতে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের সরে যেতে মাইকিং চলছে।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকায় এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকির পাশাপাশি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রেজাউল বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের মাটি ধসের ঝুঁকি বাড়ছে। আতঙ্ক নিয়ে বাস করছে মানুষ। প্রতিবছর ছোটখাটো পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলেই নড়েচড়ে উঠে প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। পাহাড় ধসে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে খাগড়াছড়ি থেকে ২ সন্দেহভাজন আটক: ডিবি
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি: খাগড়াছড়ির সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার
৪ মাস আগে
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি: খাগড়াছড়ির সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় খাগড়াছড়ির সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান।
খাগড়াছড়ির জেলা সদর ও উপজেলা সদরের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকরা জানান,‘নিরাপত্তা নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই। তবে বান্দরবানের ব্যাংক ডাকাতির পর থেকে সর্তক অবস্থান নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।’
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সোনালী ব্যাংকের এজিএম সমর কান্তি ত্রিপুরা বলেন,‘ঘটনার পর ব্যাংকে ভার্চুয়ালি সভা হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া আমাদের ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ব্যাংক ব্যবস্থাপক নিজামকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক খাগড়াছড়ি শাখার ব্যবস্থাপক দেবাশীষ ত্রিপুরা বলেন,‘আমাদের কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। তবে যেহেতু জেলা শহরে আছি তাই নিরাপত্তা নিয়ে তেমন আশঙ্কা করছি না। কিন্তু সর্তক আছি। নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এখন দুই জন গানম্যান দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোন সংকট আছে কিনা তা জানতে চেয়েছে।’
ডাচ বাংলা ব্যাংক খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ব্যবস্থাপক মো.নুরুউদ্দিন চৌধুরী বলেন,‘সকাল থেকে একাধিকবার পুলিশ সদস্যরা ব্যাংক পরিদর্শন করেছে। সরকারিভাবেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংকট নেই। এছাড়া ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।’
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান,‘আমরা সবাইকে বার্তা দিয়েছি তারা যেন সর্তক থাকে। পুরো জেলায় পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া যতটুকু নিরাপত্তা দরকার ততটুকু নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির প্রেক্ষাপটে খাগড়াছড়ির সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান।
তিনি বলেন,‘ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোতে পুলিশের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া ‘কোর কমিটি’র মিটিংয়েও ব্যাংকের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সোনালী ব্যাংক শাখায় সশস্ত্র ডাকাতি, ম্যানেজার অপহৃত ও দেড় কোটি টাকা লুট
৭ মাস আগে
চুরি যাওয়া ও হারানো ৩৩ মোবাইল উদ্ধার
খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকা থেকে হারিয়ে ও চুরি যাওয়া ৩৩টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব মোবাইল ফোন মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হারানো মোবাইল ফিরে পেয়ে আনন্দিত মোবাইল মালিকেরা।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়
জেলার রামগড় এলাকার বাসিন্দা দাউদুল ইসলাম মোবাইল ফোন হারিয়ে থানায় জিডি করেছিলেন।
মোবাইল ফেরত পেয়ে তিনি জানান, ফোন চুরি কিংবা হারিয়ে গেলে পুলিশের সহযোগিতা নিতে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, মোবাইল ফোন হারিয়ে জেলার বিভিন্ন থানায় জিডি করেছিলেন ভুক্তভোগীরা।
তিনি আরও জানান, পুলিশের সাইবার ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের সদস্যরা প্রযুক্তির সহায়তায় মোবাইলের আইএমই নম্বর শনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা করে।
তিনি জানান, দিনাজপুর, নওগা, কক্সবাজার, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোবাইলগুলো উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে মোবাইল হারিয়ে অনেকেই ধারণা করেছিলেন হয়তো আর খুঁজে পাবেন না সখের কেনা প্রিয় মোবাইল ফোনটি। পুলিশের আন্তরিক পদক্ষেপে ফিরে পেয়েছেন হারিয়ে যাওয়া এসব মোবাইল ফোন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৯ কোটি ৩৬ লাখবাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৯ কোটি ৩৬ লাখ
মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের ৪ পুরস্কার অর্জন
৯ মাস আগে