অবরোধ
ভেনিজুয়েলার নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ট্রাম্পের ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ ঘোষণা
ভেনিজুয়েলায় প্রবেশকারী এবং সেখান থেকে ছেড়ে যাওয়া নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত সকল তেলের ট্যাঙ্কারের ওপর সর্বাত্মক অবরোধের নির্দেশ জারি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের ক্রমবর্ধমান চাপ প্রয়োগ তৎপরতার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে অবরোধের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, মাদুরোর বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের তৎপরতার অংশ হিসেবে ওই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভেনিজুয়েলার উপকূলবর্তী প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরে বিভিন্ন জাহাজের ওপর ইতোমধ্যে বেশ কিছু সামরিক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব হামলা বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।
গত সপ্তাহে ক্যারিবিয়ান সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় ভেনিজুয়েলা উপকূল থেকে একটি তেলের ট্যাঙ্কার জব্দ করে মার্কিন বাহিনী। নিউইয়র্ক টাইমসের মতে, ট্যাঙ্কারটিতে ভেনিজুয়েলার প্রায় ২০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ছিল। ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় দেশটির সরকার যুক্তরাষ্ট্রের এই কর্মকাণ্ডকে ‘প্রকাশ্যে চুরি’ এবং ‘আন্তর্জাতিক দস্যুবৃত্তি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, যা দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
অবরোধের ঘোষণা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ভেনিজুয়েলা মাদক পাচার ও অন্যান্য অপরাধে অর্থায়নের জন্য এই তেল ব্যবহার করছে। একই সঙ্গে (ভেনিজুয়েলা উপকূলে) সামরিক শক্তি আরও জোরদার করার অঙ্গীকার করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকার ইতিহাসে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় নৌবহর দিয়ে ভেনিজুয়েলাকে সম্পূর্ণভাবে ঘিরে ফেলা হয়েছে। এই বহর আরও বড় হবে এবং তারা (ভেনিজুয়েলা) এমন এক ধাক্কা খাবে যা তারা আগে কখনো দেখেনি... আজ আমি ভেনিজুয়েলায় আসা-যাওয়া নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত সকল তেলের ট্যাঙ্কারের ওপর “সর্বাত্মক ও সম্পূর্ণ অবরোধ”-এর নির্দেশ দিচ্ছি।’
তবে কীভাবে এই অবরোধ কার্যকর করা হবে এবং গত সপ্তাহের মতো জাহাজ আটকানোর কাজে কোস্ট গার্ডকে ব্যবহার করা হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসন ওই অঞ্চলে হাজার হাজার সৈন্য এবং একটি বিমানবাহী রণতরীসহ প্রায় বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজসহ সাত দাবিতে কুষ্টিয়ায় রেলপথ অবরোধ
কুষ্টিয়ার মিরপুরে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ চালু, স্টেশন মাস্টার নিয়োগ, প্ল্যাটফর্ম উঁচুকরণ ও আধুনিকায়নসহ সাত দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয়রা।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মিরপুর রেলওয়ে স্টেশনে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়ে শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী।
কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
অবরোধের কারণে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি মিরপুর স্টেশনে আটকে পড়ে। এতে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন চলাচলে সাময়িক অনিশ্চয়তা ও শিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দেয়।
অবরোধ চলাকালে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুল গফুর, বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, মিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল করীম, উপজেলা জামায়াতের আমির রেজাউল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রহমত আলী রব্বান, মিরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আসাদুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রিমনসহ আরও অনেকে।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন অবহেলিত। আন্তঃনগর ট্রেনের নিয়মিত স্টপেজ না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ নানা ক্ষেত্রে এলাকাবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তাই সকল বাধা দূর করে মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন আধুনিকায়নের সাত দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তারা।
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক বলেন, রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা জেলা প্রশাসক শেষে জানিয়েছেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তবে এলাকাবাসী বলেন, আজকেই সকল দাবি পূরণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসলে অবরোধ কর্মসূচি চলতে থাকবে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে।
২ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: চলছে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ, এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা
স্কুলছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ চলছে, বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যানবাহন চলাচল। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া অবরোধকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতার পর এলাকাজুড়ে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। কেউ বের হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশির মুখে পড়ছেন। এমনকি শহরতলীর দোকানপাটও খোলেনি।
আজ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল (শনিবার) সড়কে পিকেটারদের দেখা গেলেও আজ তা চোখে পড়ছে না।
তবে জেলা শহরসহ আশপাশ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী টহলের পাশাপাশি ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
এর আগে, শনিবার খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে চলমান অবরোধের মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি
খাগড়াছড়ির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়ি পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সিঙ্গিনালায় প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হন ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা করেন।
পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর সহায়তায় সন্দেহভাজন যুবক শয়ন শীলকে (১৯) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শয়ন শীলকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকি দুইজন এখনো পলাতক রয়েছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র জনতা ২৪ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং পরদিন (২৫ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি জেলায় অর্ধদিবস অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।
অবরোধে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সাজেকে প্রায় দুই হাজার এবং রাঙামাটি শহরে সহস্রাধিক পর্যটক আটকা পড়েন। আটকে পড়া পর্যটকদের রাতেই খাগড়াছড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাদের অনেকেই ফিরে গেছেন গন্তব্যে।
৮০ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে চলমান অবরোধের মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি
খাগড়াছড়িতে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছেন জেলা প্রশাসন।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
খাগড়াছড়ির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আদেশ দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং জনগণের জান ও মালের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা রয়েছে। তাই ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারির আদেশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আজ দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় এই আদেশ জারি করা হয়। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
১৪৪ ধারা জারির ফলে খাগড়াছড়ি সদর ও পৌর এলাকায় চার বা ততোধিক মানুষের জমায়েত, মিছিল, সমাবেশ, মাইকিং ও অস্ত্র বহনসহ যেকোনো ধরণের উস্কানিমূলক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে একমাত্র বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষায় সাঁওতালদের বিক্ষোভ সমাবেশ
৮১ দিন আগে
আসন পুনর্বিন্যাস: ফরিদপুরে টানা পঞ্চম দিনের মতো অবরোধ, সমন্বয়ক আটক
সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ও দুটি ইউনিয়ন পুনর্বহালের দাবিতে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তৃতীয় দফায় টানা পঞ্চম দিনের মতো অবরোধ কর্মসূচি চলছে। এর মধ্যে রেলপথ অবরোধের সময় ট্রেন আটকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া, চলমান এ আন্দোলনের এক সমন্বয়ককে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকেই পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী দুটি মহাসড়ক ও রেলপথের অন্তত ১০টি এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছেন বিক্ষুব্ধরা।
পরে সকাল ১০ টার দিকে পুখুরিয়াসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয়রা সড়কে গাছের গুড়ি, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
এদিন সকাল ৯ টার দিকে রাজবাড়ী-ফরিদপুর-ঢাকা রেলপথের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদি রেল ক্রসিংয়ে নকশীকাঁথা ট্রেন আটকে দেন বিক্ষুব্ধরা। এ সময় জোর করে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন একাধিক যাত্রী।
ঢাকায় মেয়ের বাসায় পেঁয়াজ নিয়ে ট্রেনে যাচ্ছিলেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রসুলপুর গ্রামের বাচ্চু মাতুব্বর (৫২) নামে ব্যক্তি। মাথায় পেঁয়াজের বস্তা নিয়ে তাকে পুখুরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাঁটতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: সংসদীয় আসন বিন্যাসের প্রতিবাদে ফরিদপুরে দুই মহাসড়ক অবরোধ
তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাস না পাইয়্যা ট্রেনে করে ঢাকায় মাইয়্যাটার বাসায় যাবার গেছিলাম। ওই জায়গ্যা (হামিরদি রেলক্রসিং) যাওয়ার পর রাস্তার ওপর দেহি আগুন জ্বলতেছে, অনেক মানুষ ট্রেনের সামনে দাড়ায় পড়ছে। তহন ট্রেন দাড়ায় পড়ে, আমাদের নামায় দিছে।’
এ বিষয়ে ভাঙ্গা রেলস্টেশন কর্মকর্তা সাকিবুর রহমান বলেন, রাজবাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল নকশিকাঁথা। ট্রেনটি আটকে দেওয়ায় ভাঙ্গা জংশনে ঢাকা থেকে আসা রাজবাড়ীগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস বন্ধ হয়ে আছে। তবে খুলনার ট্রেনটি (জাহানাবাদ এক্সপ্রেস) অবরোধ করার আগেই ঢাকায় পৌঁছে গিয়েছে।
এদিকে, রংপুরের বাসিন্দা মনির হোসেন নামে আরও এক ব্যক্তিকে পায়ে হেঁটে আসতে দেখা যায়। মাদারীপুরে আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি রংপুরে যাব, ৬ কিলোমিটার পথ হেঁটে আসলাম, কোনো গাড়ি পেলাম না। মানুষরে কষ্ট দিয়ে উনাদের কিসের আন্দোলন, আমি জানি না।’
এর আগে, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার আলগী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় চত্বরে ‘আলগী ও হামিরদি ইউনিয়ন এবং ভাঙ্গা উপজেলার সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদ’ —এর ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনদিনের সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের ডাক দেন আলগী ইউপি চেয়ারম্যান ম. ম. সিদ্দিক মিয়া।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা বৃহস্পতিবার প্রকাশ করবে ইসি
ঘোষণার পরপরই ওই রাতে তাকে নিজ বাসা থেকে আটক করেছে ডিবি। তিনি এই আন্দোলনের সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন জানান, রাতে ডিবি পুলিশ সিদ্দিক মিয়াকে আটক করে ফরিদপুরে নিয়ে গেছে। থানায় এখনো হস্তান্তর করা হয়নি।
ফরিদপুর-৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদি ইউনিয়নকে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশন ৪ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করার পর থেকেই এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।
এর প্রতিবাদে গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুটি মহাসড়কসহ (ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল) এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ শুরু করেন স্থানীয়রা। ওইদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিয়ে তিনদিনের আল্টিমেটাম দেন বিক্ষুব্ধরা।
কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনদিন সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ করা হয়। এতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েন দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ। এরপর গতকাল তৃতীয় দফায় আবার তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, মানুষের যাতে ভোগান্তি না হয় এবং যান চলাচলে স্বাভাবিককরণে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। এর পাশাপাশি আমরা বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি।
৯৪ দিন আগে
৩ দাবিতে শাহবাগ অবরোধ বুয়েট শিক্ষার্থীদের
তিন দফা দাবি আদায়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে তারা শাহবাগ অবরোধ করলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে - নবম গ্রেডের ইঞ্জিনিয়ারিং পদ বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদে প্রবেশের জন্য সকলকে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং প্রার্থীর কমপক্ষে বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। কোটার মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না। এমনকি বিভিন্ন নামে সমমানের পদ সৃষ্টি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: শাহবাগে ছাত্রদলের সমাবেশ চলছে
দশম গ্রেডের কারিগরি পদ বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষা ডিপ্লোমা এবং বিএসসি ডিগ্রিধারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি না থাকলেও ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নিশাদ রহমান বলেন, ‘এটি আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন। কিন্তু সরকার আমাদের দাবির প্রতি কোনো কর্ণপাত করছে না। তাই আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।’
১১৩ দিন আগে
চট্টগ্রামে এস আলম মালিকানাধীন ব্যাংকের চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ, ২০ ব্যাংকে তালা
চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিনা নোটিশে প্রায় ৭ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ব্যাংক কর্মকর্তারা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে তারা শহরের বিভিন্ন ব্যাংক অবরোধ করে ব্যাংকের মূল ফটকে ব্যানার ও তালা ঝুলিয়ে দেন, ফলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
বিক্ষোভে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সোনালি ব্যাংক, পূর্বালীসহ প্রায় ২০টি ব্যাংকের শাখা ও উপ-শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
রবিবার (১০ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চাকরিচ্যুত ব্যাংক ফোরামের উদ্যোগে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশের পর তারা সড়কে কয়েক দফা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
পড়ুন: ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ, ৬ জেলায় যান চলাচল বন্ধ
তালা দেওয়ার পর পটিয়া থানা মোড়স্থ ন্যাশনাল ব্যাংকের শাখা খুলতে গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, পটিয়া সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম ও পটিয়া থানার ওসি মো. নুরুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করেন।
বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, গত বছরের আগস্টে সরকারের পরিবর্তনের পর বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে বিনা নোটিশে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ কর্মী পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা। তারা দ্রুত পুনর্বহাল ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানান এবং কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
এস আলম গ্রুপের অধীনে একাধিক ব্যাংক রয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এস আলম গ্রুপের ব্যাংকগুলোতে প্রায় ৭ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান বলেন, ‘তাদের দাবীর বিষয়ে আমাদের কোনো হাত নেই। আমরা আন্দোলনের বিষয়টি সরকারের উচ্চ মহলে জানিয়েছি। তবে আমরা চেষ্টা করছি যাতে আন্দোলনকারীরা হামলা-ভাঙচুর ও নাশকতা না করে।’
১২৯ দিন আগে
টানা বৃষ্টি ও আন্দোলন-অবরোধে রাজধানীর নাগরিক ভোগান্তি চরমে
টানা বৃষ্টি এবং আন্দোলন-অবরোধে রাজধানী ঢাকাবাসীর নগর জীবন বিষিয়ে উঠেছে। একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে যানবানবাহনের গতি কমে গিয়ে মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি ঢাকায় চলমান বিভিন্ন আন্দোলন ও সড়ক অবরোধের কারণে যানজটের মাত্রা বেড়েছে। এতে মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
বেশ কিছুদিন ধরে তীব্র দাবদাহের পর গত কয়েক দিন থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় আজ (বৃহস্পতিবার) সকালেও ঢাকায় বৃষ্টি নামে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এদিন সকালে ঢাকায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে টানা মৌসুমি বর্ষণে ঢাকার অলিগলির পাশাপাশি প্রধান সড়কগুলোরও অনেকাংশ তলিয়ে যায়। কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমের পর এই বৃষ্টি স্বস্তি নিয়ে এলেও ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
এদিন সকালে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে ধীর হয়ে গেছে যানবাহনের গতি।
এদিকে, বিভিন্ন দাবিতে ঢাকার কয়েকটি স্থানে আন্দোলন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রাজধানীর শাহবাগ থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়ে দিনব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন।
একই সময়ে, সকাল ১০টা থেকে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবন থেকে হাইকোর্ট এলাকা ও মৎস্য ভবন হয়ে কাকরাইল যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে তীব্র যানজট; সবকিছু মিলিয়ে নাকাল নগরবাসী। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে যানবাহন আটকে থাকতে দেখা যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী ও অফিসফেরত, পথচারী, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। অফিসকর্মীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। ছাতা থাকলেও ভারি বর্ষণের কারণে আধভেজা হয়ে অফিসের পথে রওনা দিতে হয় অনেককে।
আরও পড়ুন: একটু বৃষ্টিতেই হাঁটুজল ঢাকায়, নগরবাসীর ভোগান্তি চরমে
এদিন ভারি বৃষ্টিপাতে নিউমার্কেট এলাকার সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা ও তীব্র যানযট সৃষ্টি হয়। এতে জনবহুল নিউমার্কেটের স্বাভাবিক ব্যবসা কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি হয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে আলী খান নামে নিউমার্কেট এলাকার এক হকার বলেন, ‘সকালে মাত্র দোকান খুলেছি, তার কিছু পরেই বৃষ্টি নামল। বৃষ্টি হলেই এই রাস্তায় পানি উঠে যায়, দোকানপাট খোলা যায় না।’
তিনি বলেন, ‘গত ৪-৫ বছর ধরেই নিউমার্কেট এলাকার এই অবস্থা দেখে আসছি। সিটি করপোরেশন এই বিষয়ে অবশ্যই জানে, তারপরও তারা এ নিয়ে কোনো কাজ করে না। এ কারণে আমাদের কষ্টও আর ফুরায় না।’
২০৯ দিন আগে
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি: শাহবাগ মোড় অবরোধ
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগা মোড় অবরোধ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার (৯ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মিন্টো রোড থেকে শাহবাগ অভিমুখে মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড়ে বসে পড়েন।
এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ আজ বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘ইন্টেরিমের (অন্তর্বর্তী সরকারের) কানে আমাদের দাবি পৌঁছায়নি। তাই আমরা সমাবেশস্থল থেকে শাহবাগ অবরোধে যাচ্ছি। দাবি না আদায় পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করব।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার
এনসিপির এ নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কোনোভাবে রাজনৈতিক দল নয়। ‘১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগ বাকশাল তৈরি করে এ দেশে গণতন্ত্রের পরিবর্তে মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছিল তারা।’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের লুটপাটের কারণে দুর্ভিক্ষে ১৫ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা গিয়েছিল। বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাতে এ দেশের মানুষের রক্ত লেগে আছে। আওয়ামী লীগ ভারতের সহায়তায় দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করেছিল।’
এর আগে এনসিপি নেতা আশরাফ মাহাদীর কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ দুপুর পৌনে ৩টার দিকে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনের শুরু হয়।
সমাবেশ শুরু হওয়ার পর সমাবেশস্থলের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে বিকালে ৩টা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) স্প্রে ক্যানন পানি ছিটানো শুরু করে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ ছাত্র-জনতাকে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে সমাবেশে অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার কাছে জড়ো হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা
২২২ দিন আগে
প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলেন চা শ্রমিকরা
প্রশাসনের আশ্বাসে সিলেটে তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন চা শ্রমিকরা। বকেয়া বেতন, বোনাস ও রেশন পরিশোধ, বাড়ি নির্মাণ ও মেরামত, চিকিৎসা সেবা চালু, ঔষধ প্রদান, চা বাগানের গাছ কাটা ও বিক্রি বন্ধসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন চা শ্রমিকরা।
রবিবার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সিলেট-বিমানবন্দর সড়কের লাক্কাতুড়া চা বাগান এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন তারা। এদিকে অবরোধের ফলে বন্ধ হয়ে যায় আম্বরখানা-বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল। আটকা পড়ে শত শত গাড়ি, সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের।
খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: বকেয়া মজুরির দাবিতে রবিবার সড়ক অবরোধের ঘোষণা চা শ্রমিকদের
এসময় শ্রমিকরা বলেন, বেতন ও রেশন না পাওয়ায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন তারা। বুরজান চা-কোম্পানির অধীনে থাকা দুই হাজার ৫০০ শ্রমিকের বেতন-রেশন ও বোনাস বকেয়া পড়েছে। তাদের ছেলে-মেয়েরা তিন বেলা খাবার খেতে পারছে না। পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। মলিকপক্ষ বেতন দিচ্ছে-দিচ্ছে বলে যাচ্ছে। কবে তাদের বেতন দেবে, তার কোনো ঠিক নেই।
বিকাল ৩টায় স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তারা। এ সময় ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত দাবি জানান।
ইউএনওয়ের আশ্বাসে তারা দাবি পূরণে এক সপ্তাহের সময় বেধে দিয়ে আন্দোলন তুলে নেন।
২২৭ দিন আগে