অবরোধ
তিন দফা দাবিতে তাঁতীবাজার অবরোধ জবি শিক্ষার্থীদের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন জবি শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তাঁতীবাজার অবরোধ করে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচির ডাক দেন।
এদিকে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় ডাকা হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেন তারা।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগে ভিক্টর ক্লাসিকের ১২ বাস আটক
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো-
১) স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে।
২) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করতে হবে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল)।
৩) অবিলম্বে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘এই মুহূর্তে দরকার, সেনাবাহিনী ঠিকাদার,’ ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আবাসন, কবে দিবা প্রশাসন,’ ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাস চাই, শিক্ষার গতি বাড়াই,’ ‘এক দুই তিন চার, ক্যাম্পাস আমার অধিকার,’ ‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ স্লোগান দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আধা ঘণ্টা রাস্তা অবরোধের পর পুনরায় মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে এসে উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার ম্যুরাল স্থাপনের সিদ্ধান্তে জবিতে অস্থিরতা
জবির বোটানি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আমাদের নৈতিক অধিকার। আমাদের হল নাই, ক্যাম্পাস নাই। দীর্ঘদিন ধরে আমরা শুনছি শুধুমাত্র ক্যাম্পাস হচ্ছে। কিন্তু কোনো কাজের কাজ হচ্ছে না।’
জবি শিক্ষার্থী নূর নবী বলেন, প্রশাসন কাজে গড়িমসি করে। যেখানে এক থেকে দুই বছরে একটা পূর্ণাঙ্গ কাজ হয়ে যায় সেখানে বছরের পর বছর কাজ চলে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ে কিন্তু কাজের অগ্রগতি থাকে না।
এছাড়া সেনাবাহিনীর কাছে এই ক্যাম্পাসের কাজ অতিদ্রুত হস্তান্তর করে দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে বলে জানান জবি শিক্ষার্থী নূর নবী।
১ সপ্তাহ আগে
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট মোড় অবরোধ
অধিভুক্তি বাতিল করে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট মোড় অবরোধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা কলেজে জড়ো হয়ে স্বায়ত্তশাসনের দাবির সমর্থনে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
বেলা ১১টার দিকে তারা ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তির কারণে তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
আরও পড়ুন: চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আউটসোর্সিং শ্রমিকদের শাহবাগ অবরোধ
বিশেষ করে পরীক্ষা মূল্যায়ন ব্যবস্থায় বৈষম্যের কথা উল্লেখ করেন তারা।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না, কোনো পরীক্ষায় অংশ নেবেন না বা ক্লাস করবেন না বলে ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তাহসিন ইউএনবিকে বলেন, ‘ঢাবি অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকতে চাই না। আমরা এই বৈষম্য থেকে মুক্ত একটি স্বাধীন প্লাটফর্ম চাই এবং সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ও হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের শ্রেণিকক্ষে জায়গা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নেই। শিক্ষকরাও সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হচ্ছেন। তারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমাদের নির্দেশনা দেয়, যা আমাদের চাহিদার সঙ্গে মেলে না। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাদের পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করেন, যা একটি ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে যা আমাদের ফলাফলকে প্রভাবিত করে।’
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজটের সৃষ্টি
এছাড়াও ঢাবির রেজিস্টার ভবনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কথাও তুলে ধরে এই সমস্যা থেকে মুক্তি চান এই শিক্ষার্থী।
তিনি আরও বলেন, ‘সাত কলেজের স্বতন্ত্র পরিচয়ের জন্য কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি বা কমিশন গঠনের প্রতিশ্রুতি দিলে আমরা অবরোধ তুলে নেব।’
আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী কবি নজরুল ইসলাম সরকারি কলেজের ছাত্র রাহাতুল ইসলাম বলেন, 'গত কয়েক বছর ধরে আমরা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছি, কিন্তু আমাদের দাবির প্রতি কেউ নজর দেয়নি। এই প্রতিবাদ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি সড়ক অবরোধের কারণে অনেক মানুষ ও পথচারী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, কিন্তু এর জন্য আমরা দায়ী নই। এই জনদুর্ভোগের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা ও ঢাবি উপাচার্য দায়ী।’
অবরোধের কারণে নিউমার্কেট ও নীলক্ষেত এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ
৩ সপ্তাহ আগে
খাগড়াছড়িতে অবরোধের তৃতীয় দিন, বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার যানবাহন
খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্রজনতার ডাকে শেষ দিনের অবরোধ কর্মসূচি চলছে সোমবার। গত দুদিনের মতোই সড়কে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, অবরোধকে কেন্দ্র করে জেলার কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সেই সঙ্গে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে সেখানকার জনজীবন।
ঢাকা, চট্টগ্রাম সড়কে যাতায়াতকারীরা সিএনজি চালিত অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেলে করে খাগড়াছড়ির সীমানা পর্যন্ত যাতায়াত করছেন। এ সুযোগে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা চালকেরা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন অনেকে যাত্রী।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে জুম্মদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টা অবরোধের ডাক
খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, খাগড়াছড়িতে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) হাটবার, হাটে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এসেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবির টহল চলছে।
জেলার মানিকছড়িতে সড়কের পাশের গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে। এছাড়া গত দুইদিনে জেলার কয়েকটি স্থানে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়েছে।
এদিকে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম।
রাঙ্গামাটির খাগড়াছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, অবরোধের কারণে সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকদের এখনও ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। সেখানে এক হাজারের বেশি পর্যটক আটকে আছেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের গাড়ি ছাড়ছে না।
১ মাস আগে
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
শনিবার বেলা ১১টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালে হাইকোর্টের আদেশের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না সংহতি প্রকাশ করতে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে সরকারি চাকরির নিয়োগে কত অনিয়ম হয়েছে, তা নিয়ে কথা বলা অভিধানের মতো হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, 'আমরা যে আন্দোলনের অংশ ছিলাম তা শুধু সরকার উৎখাতের আন্দোলন ছিল না। আমরা বলেছি, এটা দেশ পরিবর্তনের আন্দোলন, দুঃশাসন পরিবর্তনের আন্দোলন। আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল দেশ থেকে বৈষম্য দূর করা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবকিছু সুন্দরভাবে সামলানোর চেষ্টা করছে। আমি মনে করি, আমাদের দেশ বদলাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা: হাইকোর্টের রায় বহাল
২ মাস আগে
ফের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ বিক্ষোভকারীদের
সারা দেশে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ীর সাইনবোর্ড এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিকালে আন্দোলনকারীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।
আরও পড়ুন: চলমান অস্থিরতার মধ্যে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক, শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিয়েছেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
আরও পড়ুন: ৯ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
৩ মাস আগে
ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেছে রাবি শিক্ষার্থীরা
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নিহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। পরে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: পুরানা পল্টন থেকে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ
শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরে প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। এরপর রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি-পুলিশ। নগরীর বিভিন্ন মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি দেখা যায়।
আরও পড়ুন: নিরীহ শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি ঢাবির আহ্বান
মিরপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ
৩ মাস আগে
কোটা আন্দোলন: ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ
কোটা সংস্কার ও সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও রেলপথ অবরোধ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৫ টার দিকে বাকৃবি প্লাটফর্ম সংলগ্ন এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেন। এতে জামালপুর কমিউটার ট্রেনটি আটকা পড়ে।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
এর আগে বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জব্বারের মোড়ে এসে শেষ হয়। মিছিলটি শেষ করেই শিক্ষার্থীরা রেলপথ অবরোধ করেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের- ‘আমি নই তুমি নই, রাজাকার রাজাকার। আমার ভাই আহত কেন প্রশাসন জবাব চাই। ক্যাম্পাসে হামলা কেন প্রশাসন জবাব চাই।’ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে নির্মমভাবে হামলা চালানো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীরা হামলার শিকার হয়েছে। সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। সামনের দিনে আমাদের আন্দোলন আরও কঠোর হবে।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: বাকৃবিতে গণ পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান
শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে বাকৃবিতে বিক্ষোভ
৪ মাস আগে
কোটা সংস্কার দাবিতে সীতাকুণ্ডে সড়ক-রেলপথ অবরোধ, ৬০ কিলোমিটার যানজট
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইআইইউসি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার(১৬ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন আইআইইউসির শত শত শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী-ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ
এসময় মহাসড়কের উভয়দিকে ৬০ কিলোমিটার যানজট লেগে দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের বৈঠকের পর শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
৪ মাস আগে
কোটা সংস্কারের দাবিতে বরিশাল নগরীর প্রধান সড়কে ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বরিশাল নগরীর প্রধান সড়কে ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৪ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সদর রোডের কাকলীর মোড়ে এই অবরোধ করে সরকারি পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থীরা। এদিকে এই অবরোধের কারণে নগরীতে যানজটে আটকে অচলাবস্থা দেখা দেয়।
এ সময় শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী ও অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর কোটা বাদে বৈষম্যমূলক সব কোটা বাতিলের দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে এ দেশকে মুক্ত করা হলেও আজ কোটা পদ্ধতি পাকিস্তানি শোষণ-বৈষম্য বহন করছে। আমরা এ কোটা পদ্ধতি থেকে মুক্তি চাই। আমাদের দাবি হলো- মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানো হোক।’
৪ মাস আগে
বাকৃবিতে বাংলা ব্লকেড: তৃতীয় দিনের মতো রেলপথ অবরোধ
তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর দেড়টায় বাকৃবির জব্বারের মোড় সংলগ্ন এলাকায় শিক্ষার্থীরা ঢাকা থেকে জামালপুরগামী জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি অবরোধ করেন।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: বাকৃবিতে শিক্ষকদের তৃতীয় দিনের কর্মবিরতি
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বাকৃবির কে. আর মার্কেটসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ভবন ঘুরে জব্বারের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এক দফা কর্মসূচি সম্পর্কে তারা বলেন, সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে নূন্যতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ দেশের ছাত্র সমাজ দেশব্যাপী ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
তারা আরও বলেন, কোটা সংস্কার করে মেধাবীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: বাকৃবিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের মানববন্ধন
কোটা বাতিলের দাবিতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ
৪ মাস আগে