অবরোধ
বকেয়া বেতনের দাবিতে চট্টগ্রাম ইপিজেডে শ্রমিকদের অবরোধ
চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকায় জেএমএস গার্মেন্টস লিমিটেড নামে একটি তৈরি পোশাক কারখানা অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শ্রমিকরা। বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে তারা এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
শনিবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকরা এই কর্মসুচি পালন শুরু করেন।
অবরোধের কারণে নগরীর আগ্রাবাদ-বিমানবন্দর সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় সড়কের দুপাশে ও চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় পণাবাহী ট্রাক-লরিসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। এতে ওই রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী পোশাককর্মী নিহত, মহাসড়ক অবরোধ
শিল্প পুলিশ জানায়, জেএমএস গার্মেন্টস লিমিটেডে কাজ না থাকায় ও ব্যাংকিং জটিলতার কারণে আগেই লে-অফ (কর্মী ছাঁটাই) ঘোষণা করে। লে-অফ আইন অনুযায়ী শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার কথা থাকলেও তা না করায় শ্রমিক-কর্মচারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
পরে খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, ইপিজেড থানা পুলিশ, আনসার ও বেপজার নিরাপত্তাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২৬ দিন আগে
গাজীপুরে ঈদ বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ
ঈদ বোনাস, ২৫ ভাগ উৎপাদন বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুরের তেলিপাড়া এলাকায় ইসমক্স সোয়েটার নামে একটি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এ সময় শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে কাজ করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তেলিপাড়া এলাকায় ইসমক্স সোয়েটার কারখানার শ্রমিকরা সকাল ৮ টায় কাজে যোগ না দিয়ে ঈদ বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নামেন। এক পর্যায়ে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন।
সকাল ১০টা থেকে শ্রমিকদের অবরোধের কারণে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েছেন শত শত যাত্রী। অনেকেই পায়ে হেঁটে বা বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে শ্রমিক অসন্তোষ, মহাসড়ক অবরোধ
আন্দোলনরত শ্রমিকদের অভিযোগ, তেলিপাড়া এলাকায় ইসমক্স সোয়েটার কারখানায় প্রায় এক হাজার ২০০ শ্রমিক কাজ করছেন। দীর্ঘ দিন কাজ করলেও তাদের ওভার টাইম বিল, নাইট বিল, মাতৃকালীন ছুটি, বাৎসরিক টাকা দেওয়া হয় না। এছাড়া তাদের প্রোডাকশন রেট সঠিকভাবে দেওয়া হয় না। এ অবস্থায় ঈদ বোনাস, ওভারটাইম বিল, জিএমের পদত্যাগসহ ১৪ দফা দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছেন তারা।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২ এর পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম বলেন, ঈদ বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন। গাজীপুর মহানগর পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছেন।
৩৪ দিন আগে
ইটভাটা ভাঙার প্রতিবাদে সাভারে মহাসড়ক অবরোধ
উচ্চ আদালতের নির্দেশে সাভারে ইটভাটা ভাঙার প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ইটভাটা মালিক-শ্রমিকরা। বিক্ষোভের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে যানজটে আটকে পড়েন অসংখ্য সাধারণ যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুর দেড়টা থেকে বলিয়ারপুরে ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
অবরোধকারীরা জানান, সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে সাভারে বেশ কয়েকটি ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ইটভাটা মালিক সমিতির মালিক ও শত শত শ্রমিক একজোট হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। তারা প্রশাসনকে নতুন করে ইটভাটা ভাঙা বন্ধ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলেম-ওলামাদের মহাসড়ক অবরোধ
পরে বিকাল ৩টার দিকে বিপুল সংখ্যক সেনাসদস্য সেখানে উপস্থিত হয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেন।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বকর সরকার বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশে অবৈধ চিহ্নিত ইটভাটাগুলো ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে আরও কিছু অবৈধ ইটভাটা ভেঙে দেওয়ার তালিকা রয়েছে আমাদের কাছে।’
৪৩ দিন আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলেম-ওলামাদের মহাসড়ক অবরোধ
হেফাজতে ইসলামের আলেম-ওলামা ও তৌহিদী জনতাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাউতলী মোড় এলাকা অবরোধ করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শুরু করে দুপুর ১টা পর্যন্ত আলেম ওলামা ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার ব্যানারে এই অবরোধ কমসূচি পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
এ সময় বক্তরা বলেন, ২০১৬, ২০২০ ও ২০২১ সালে হেফাজতের আলেম-ওলামাসহ বিভিন্ন মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পর বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরা মুক্তি পেলেও আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়নি। যদি প্রশাসন থেকে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত না দেওয়া হয়, তাহলে কঠোর আন্দোলনের যাওয়া হবে।
এ সময় ৩ ঘণ্টা অবরোধ চলাকালে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পরায় মহাসড়কের দুপাশে যানজট তৈরি হয়। যান চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের।
৫০ দিন আগে
পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে জাবির প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও আবাসিক হলগুলো প্রদক্ষিণ শেষে রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সামনে একত্রিত হন।
এ সময় তাদের ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘জনে জনে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘হলে হলে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’, ‘সংস্কার না বাতিল, বাতিল বাতিল’, ‘আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: জাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
ইতিহাস বিভাগের ৫০তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নিবিড় ভূইয়া বলেন, ‘আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী—কারোরই পোষ্য কোটার কোনো যৌক্তিকতা নেই। অজপাড়াগাঁয়ের একজন কৃষকের সন্তান যদি মেধার ভিত্তিতে জাহাঙ্গীরনগরে পড়াশোনা করতে পারে, তাহলে একজন শিক্ষার্থী যে জাহাঙ্গীরনগরে ছোট থেকে বড় হয়েছে, ভালো স্কুল কলেজে পড়াশোনা করেছে, তার কোনো ধরনের প্রিভিলেজ (সুবিধা) লাগবে বলে আমরা বিশ্বাস করি না।’
‘আমরা বিশ্বাস করি, কোটা একটি প্রিভিলেজ, এটি কোনো অধিকার নয়। এই প্রিভিলেজটা ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দরকার, কিন্তু এটি কোনোভাবেই দরকার না। আজ পোষ্য কোটা চিরতরে বাতিল করার জন্য আমরা আন্দোলনে নেমেছি।’
আইন ও বিচার বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কাওছার আলম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দলনের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের যৌক্তিক দাবি ওঠে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও এরই ধারাবাহিকতায় পোষ্য কোটা বাতিল নিয়ে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করি। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাংশ আমরণ অনশনে বসে। তারপর ভিসি মহোদয় ও সংশ্লিষ্টজনদের মাধ্যমে পোষ্য কোটার যৌক্তিক একটি সংস্কারের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অনশন থেকে সরে আসে। তবে এই সংস্কারের বিপরীতে পোষ্য কোটার সুবিধাভোগীরা আজ অযোক্তিক আন্দোলন করে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থানের সময় তারা এক সাধারণ শিক্ষার্থী ভাইয়ের ওপর চড়াও হয় এবং তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে। তারই প্রতিবাদে আমরা শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটা বাতিল ও তাদের হামলার বিচার চেয়ে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।’
আরও পড়ুন: পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে জাবিতে এবার আমৃত্যু গণঅনশন
এর আগে, গত দুদিন ধরে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গতরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান পোষ্য কোটা সংস্কারের ঘোষণা দেন।
এর বিরুদ্ধে আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটি মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন। এ সময় তারা পোষ্য কোটার পক্ষে লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেললে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
৭২ দিন আগে
পাঁচ ঘণ্টা পর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের অবরোধ প্রত্যাহার
মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া এলাকায় পুরোনো একটি সড়ক পুনরুদ্ধারের দাবিতে পাঁচ ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখার পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবশেষে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন স্থানীয়রা।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোলড়া গ্রামের শত শত মানুষ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মহাসড়ক থেকে সরে যান অবরোধকারীরা।
অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গোলড়া গ্রামের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের পুরনো একটি সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে তারাসিমা অ্যাপারেলস ও পেয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামের দুটি কোম্পানি। প্রায় শত বছরের পুরোনো সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের চলাচলে বেশ সমস্যা হচ্ছে।
এর জেরে সড়ক পুনরুদ্ধারের দাবিতে ধানকোড়া ইউনিয়নে তারাসীমা অ্যাপারেলস লিমিটেড ও পেয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের গেট-সংলগ্ন মহাসড়কে অবস্থান নেয় গ্রামবাসী। এর মধ্যে দুই কোম্পানির প্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন ও অবরোধকারীদের প্রতিনিধিদের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনাও হয়েছে। তবে সুরাহা না হওয়ায় অবরোধ তুলে না নেওয়ার পক্ষে অনড় ছিলেন তারা।
আরও পড়ুন: ‘দুই কোম্পানির সুবিধার্থে’ সড়কে দেওয়াল, ক্ষোভে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
অবরোধকারীদের দাবি, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের টাকা দিয়ে সড়কে রাতারাতি পাকা দেওয়াল তুলে দেয় কোম্পানিদুটির লোকজন। আজ (বুধবার) অবরোধ করলে কোম্পানির প্রতিনিধিরা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে আশ্বাস দিয়ে মহাসড়ক থেকে কয়েক দফায় তাদের সরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু যতক্ষণ না সড়ক খুলে দেওয়া হবে, ততক্ষণ তারা মহাসড়ক ছাড়বেন না বলে জানান। তবে প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে এবং জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে অবেশেষে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তারা মহাসড়ক ছেড়ে দেন।
গোলড়া গ্রামের কয়েকশ বাসিন্দা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিকেল সাড়ে ৪টায় অবরোধ তুলে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুল ইসলাম বলেন, বেলা সোয়া ১১টা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গোলড়া গ্রামের মানুষ মহাসড়কে অবস্থান নিলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে।
৭৮ দিন আগে
‘দুই কোম্পানির সুবিধার্থে’ সড়কে দেওয়াল, ক্ষোভে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া এলাকার পুরোনো একটি সড়ক পুনরুদ্ধারের দাবিতে পাঁচ ঘণ্টা ধরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন গোলড়া গ্রামের কয়েক শ’ বাসিন্দা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোলড়া গ্রামের শত শত মানুষ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করেন।
অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গোলড়া গ্রামের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের পুরনো একটি সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে তারাসিমা অ্যাপারেলস ও পেয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামের দুটি কোম্পানি। প্রায় শত বছরের পুরোনো সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের চলাচলে বেশ সমস্যা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কাওরানবাজারে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, যানজট
এর জেরে সড়ক পুনরুদ্ধারের দাবিতে ধানকোড়া ইউনিয়নে তারাসীমা অ্যাপারেলস লিমিটেড ও পেয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের গেট-সংলগ্ন মহাসড়কে অবস্থান নেয় গ্রামবাসী। এর মধ্যে দুই কোম্পানির প্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন ও অবরোধকারীদের প্রতিনিধিদের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনাও হয়েছে। তবে সুরাহা না হওয়ায় অবরোধ তুলে নিচ্ছেন না তারা।
অবরোধকারীদের দাবি, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের টাকা দিয়ে সড়কে রাতারাতি পাকা দেওয়াল তুলে দেয় কোম্পানিদুটির লোকজন। আজ (বুধবার) অবরোধ করলে কোম্পানির প্রতিনিধিরা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে আশ্বাস দিয়ে মহাসড়ক থেকে তাদের সরানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু যতক্ষণ না সড়ক খুলে দেওয়া হবে, ততক্ষণ তারা মহাসড়ক ছাড়বেন না।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুল ইসলাম বলেন, বেলা সোয়া ১১টা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গোলড়া গ্রামের মানুষ মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছে। এতে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। দুপক্ষের সঙ্গেই আলোচনা চলছে। আশা করি বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে।
৭৮ দিন আগে
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাকশ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় মাহমুদ জিন্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা এই অবরোধ করেন।
শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে গত মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা চন্দ্রা ফ্লাইওভারের সংযোগ সড়কের উভয়পাশে অবরোধ করেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
এতে ওই সড়কে যানজট লেগে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রইছ উদ্দিন জানান, ওই এলাকায় কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করলে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। শ্রমিকদের সড়ক থেকে বুঝিয়ে সরানোর চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরে বেক্সিমকোর শ্রমিকদের ফের মহাসড়ক অবরোধ
১৪০ দিন আগে
মহাখালীতে সড়ক-রেললাইন অবরোধ
রাজধানীর মহাখালীতে সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সকালে অবরোধের কারণে সড়কের উভয় পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে। এছাড়া ঢাকার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রথমে মহাখালী সড়ক অবরোধ করেন। পরে রেললাইনে চলে গেলে রেল যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায়।
ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নুল আবেদীন বলেন, শিক্ষার্থীরা রেললাইনে অবস্থান নেওয়ায় রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মেধাভিত্তিক ভর্তির দাবিতে মিরপুর সড়ক অবরোধ
১৫০ দিন আগে
তিন দফা দাবিতে তাঁতীবাজার অবরোধ জবি শিক্ষার্থীদের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন জবি শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তাঁতীবাজার অবরোধ করে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচির ডাক দেন।
এদিকে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় ডাকা হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেন তারা।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগে ভিক্টর ক্লাসিকের ১২ বাস আটক
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো-
১) স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে।
২) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করতে হবে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল)।
৩) অবিলম্বে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘এই মুহূর্তে দরকার, সেনাবাহিনী ঠিকাদার,’ ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আবাসন, কবে দিবা প্রশাসন,’ ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাস চাই, শিক্ষার গতি বাড়াই,’ ‘এক দুই তিন চার, ক্যাম্পাস আমার অধিকার,’ ‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ স্লোগান দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আধা ঘণ্টা রাস্তা অবরোধের পর পুনরায় মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে এসে উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার ম্যুরাল স্থাপনের সিদ্ধান্তে জবিতে অস্থিরতা
জবির বোটানি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আমাদের নৈতিক অধিকার। আমাদের হল নাই, ক্যাম্পাস নাই। দীর্ঘদিন ধরে আমরা শুনছি শুধুমাত্র ক্যাম্পাস হচ্ছে। কিন্তু কোনো কাজের কাজ হচ্ছে না।’
জবি শিক্ষার্থী নূর নবী বলেন, প্রশাসন কাজে গড়িমসি করে। যেখানে এক থেকে দুই বছরে একটা পূর্ণাঙ্গ কাজ হয়ে যায় সেখানে বছরের পর বছর কাজ চলে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ে কিন্তু কাজের অগ্রগতি থাকে না।
এছাড়া সেনাবাহিনীর কাছে এই ক্যাম্পাসের কাজ অতিদ্রুত হস্তান্তর করে দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে বলে জানান জবি শিক্ষার্থী নূর নবী।
১৬৪ দিন আগে