খাদ্য নিয়ে আমাদের সমস্যা নেই জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘এখন পুষ্টিকর আর নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা জনগণের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করছি।’
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে আশুগঞ্জ সাইলো প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যালেন্সিং, মডার্নাইজেশন, রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড এক্সপ্যানশন (বিএমআরই) সম্পন্ন হওয়ার ফলে আশুগঞ্জ সাইলো তার পূর্বের কর্মক্ষমতা ফিরে পেয়েছে। মেশিনগুলো সম্পূর্ণ নতুন হয়ে যাওয়ায় প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ৫০০ টন গম গ্রহণ ও বিতরণ করা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ‘আশুগঞ্জ সাইলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। নতুন সাইলো নির্মাণ ব্যয়বহুল। তবে মাত্র ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সাইলোকে আমরা ফিরিয়ে দিয়েছি। সরকারি অর্থ সাশ্রয়ই আমাদের লক্ষ্য। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি খাদ্য গুদামে ধারণক্ষমতা বর্তমানে প্রায় ২৩ লাখ টন। আগামী জুনের মধ্যে এই ক্ষমতায় আরও সাড়ে ৫ লাখ টন যুক্ত হবে। এছাড়া সারা দেশে পুরাতন জরাজীর্ণ গুদাম সংস্কারের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ধারণ ক্ষমতা ৩০ লাখ টন হয়ে যাবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মঈন উদ্দিন মঈন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় সাফল্য অর্জন করেছে। আশুগঞ্জের মতো কৌশলগত স্থানে সাইলো নির্মাণের ফলে এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে গম বিতরণ সহজ হবে।’
খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন এসময় বলেন, ‘একটি নতুন সাইলো স্থাপন করতে গেলে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হয়। আশুগঞ্জ সাইলোর বিএমআরই করে, অর্থাৎ যন্ত্রপাতিগুলোকে সচল করে এটিকে চালু রাখা হয়েছে। এর ফলে আর্থিকভাবে আমরা সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘করোনাকালে খাদ্য নিয়ে আমাদের তেমন বেগ পেতে হয়নি। কারণ আমাদের ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল সঠিক ছিল। প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই খাদ্য নিরাপত্তার কথা বলেন। তিনি আমাদের উৎসাহিত করেন। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ সাইলো সুপার খন্দকার সিরাজুস সালেকিন।